Panoorin
Mga kaganapan
Blog
Merkado
Mga pahina
Higit pa
Sigurado ka bang gusto mong i-unfriend?
Mag-load pa
Bibili ka na ng mga item, gusto mo bang magpatuloy?
Mst Jannat
নাম: আল-বাকারা (গরু)
আয়াত সংখ্যা: ২৮৬
অবস্থান: মদীনায় অবতীর্ণ
মূল বিষয়: শরিয়তের বিধান, ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ্জ, ইনসাফ, দান-সদকা, এবং মুসলমানদের সামাজিক-ব্যবস্থা
এই সূরার নামকরণ করা হয়েছে ‘বাকারা’ (গরু) নামক আয়াত (আয়াত ৬৭–৭৩)-এর ঘটনা থেকে, যেখানে বনি ইসরাঈলকে একটি গরু কোরবানি করতে বলা হয়েছিল।
🌟 মূল বিষয়বস্তু ও তাফসিরের গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ
🟨 ১. আলিফ-লা-মীম (আয়াত ১)
এটি ‘হুরুফে মুকাত্তা’আত’—যার প্রকৃত অর্থ আল্লাহই ভালো জানেন। এটি কুরআনের প্রতি শ্রদ্ধা জাগিয়ে তোলে।
🟨 ২. আল-কুরআনের গুণাবলি (আয়াত ২):
"এই কিতাবে কোনো সন্দেহ নেই, এটা মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত।"
➡ যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য কুরআন আল্লাহর পথ দেখায়।
🟨 ৩. তিন শ্রেণির মানুষ:
১. মুত্তাকী বা বিশ্বাসী
২. কাফের (অস্বীকারকারী)
৩. মুনাফিক (ভণ্ড মুসলিম)
➡ সূরা শুরুতেই মানুষের এই শ্রেণীগুলো ব্যাখ্যা করা হয় (আয়াত ২-২০)
🟨 ৪. আদম (আ.) এর সৃষ্টি ও ইবলিসের অহংকার (আয়াত ৩০–৩৯):
আল্লাহ আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে ফেরেশতাদের সিজদা করতে বলেন। ইবলিস অহংকার করে অমান্য করে, ফলে সে বিতাড়িত হয়।
🟨 ৫. বনি ইসরাঈলের অবাধ্যতা (আয়াত ৪০–৭৩):
আল্লাহর অনেক নিয়ামত পাওয়ার পরও তারা বারবার অবাধ্যতা করে। গরুর কুরবানির ঘটনা তাদের অবিশ্বাস ও জটিল মনোভাবের পরিচয় দেয়।
🟨 ৬. কেবলা পরিবর্তন (আয়াত ১৪২–১৫০):
নামাজের দিকনির্দেশ মক্কার কাবার দিকে পরিবর্তন করা হয়। এটি মুসলমানদের পরিচয়কে মজবুত করে।
🟨 ৭. রোজা, হজ ও জিহাদের বিধান:
রোজা: (আয়াত ১৮৩–১৮৫): “রোজা তোমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে…”
হজ: (আয়াত ১৯৬)
জিহাদ: (আয়াত ১৯০–১৯৫)
🟨 ৮. আয়াতুল কুরসি (আয়াত ২৫৫):
“আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই…”
➡ এটি কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত। তাওহীদের সবচেয়ে গভীর ব্যাখ্যা এতে রয়েছে।
🟨 ৯. ইমান, ইনসাফ, সুদ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিধান (আয়াত 275–282):
সুদ হারাম করা হয়েছে
ইনসাফপূর্ণ লেনদেনের নির্দেশনা
সবচেয়ে বড় আয়াত (আয়াত ২৮২): দেনাদারের লিখিত চুক্তি বিষয়ে
🟨 ১০. শেষ দুই আয়াত (আয়াত ২৮৫–২৮৬):
বিশ্বাস, অনুগত্য ও আল্লাহর করুণার আবেদন নিয়ে শেষ হয় সূরাটি।
বিশেষত আয়াত ২৮৬-এ দোয়া আছে:
"হে আমাদের রব! আমাদেরকে সেই দায়িত্ব দিও না যা আমরা বহন করতে পারি না... আমাদের ক্ষমা করো, দয়া করো, ও সাহায্য করো..."
✅ সূরা আল-বাকারার ফজিলত:
রাসুল (সা.) বলেন:
"সূরা আল-বাকারা পাঠ করো, কেননা তা পাঠ করলে বরকত হয়, ছেড়ে দিলে আফসোস হয়, আর তা জিনদের বিতাড়িত করে।"
(সহিহ মুসলিম)
🔚 উপসংহার:
সূরা বাকারা ইসলামি জীবনযাত্রার পূর্ণ দিক নির্দেশনা দেয়। এতে আক্বিদা, ইবাদত, সমাজ, আইন—সবকিছু রয়েছে। এটি একটি মুসলিমের জন্য জীবনের সংবিধান।
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?