শশুরবাড়ির লোকেরা বউদের কথা শোনানোর সাহস কোথা থেকে পায় জানেন? স্বামীর কাছ থেকেই। কারণ, যখন স্বামী নিজের পরিবারের অন্যায় কথার প্রতিবাদ না করে বরং উল্টো নিজের স্ত্রীকেই কথার জবাব দেয়, তখনই শশুরবাড়ির লোকেরা সাহস পেয়ে যায়।
আমার একটা ঘটনা খুব মনে পড়ে—যেদিন আমার শাশুড়ী প্রথমবার আমাদের বাসায় আসেন, সেদিন তিনি আমার স্বামীর বেডরুমে এসে তাকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে ছিলেন। আমি তখন জানালার পাশে বসে ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে, আমার স্বামী আমাকে টেনে নিয়ে নিজের বুকে শুইয়ে নিলো। তার মাথা তার মায়ের বুকে, আর আমি ছিলাম তার বুকের ওপর। হয়তো শুনতে অদ্ভুত লাগবে, কিন্তু এই ছোট্ট আচরণের মাঝেই ছিলো অনেক বড় একটি বার্তা—তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, মা বাবা যতই থাকুক, স্ত্রীও তার জীবনের সমান গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কাউকে পেয়ে তিনি স্ত্রীকে ভুলে যাবেন না।
এই বিষয়টি আমার শাশুড়ীর ভালো লাগেনি, কিন্তু তিনি মুখে হাসি ধরে নর্মাল থাকার অভিনয় করেছিলেন। আসলে তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না যে তার ছেলে এখন ভাগ হয়ে গেছে—একটুটা সময়, ভালোবাসা, যত্ন এখন অন্য কারও জন্যও বরাদ্দ।
উনার কাছে ‘বউ’ মানেই হচ্ছে—ঘর পরিষ্কার করা, রান্না করা, জামাকাপড় ধোয়ার দায়িত্ব নেওয়া একজন কাজের মানুষ। কারণ, উনার স্বামী কোনোদিন তাকে গুরুত্ব দেননি, ভালোবাসেননি। তাই হয়তো তিনি মেনে নিতে পারেন না, কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে সম্মান ও ভালোবাসা দিলে।
যাই হোক, আমার শাশুড়ী যতদিন ছিলেন, নানাভাবে আমাকে ছোট করেছেন, বাজে কথা বলেছেন। আমি কখনো জবাব দিইনি। কিন্তু আমার স্বামী প্রতিটি কথারই জবাব দিয়েছেন। আমাদের প্রেমের বিয়ে, তাই শশুরবাড়ির কেউই আমাকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি—তবে মুখে মধুর হাসি ঝরাতেই জানে।
কিন্তু এবার যখন আমার শাশুড়ী দেখলেন যে ছেলে আর ছেলের বউ একসাথে সত্যিই খুশি—তখন সেই ঈর্ষায়, সহ্য করতে না পেরে এমন এমন বিষাক্ত কথা বলে ফেললেন যে, তার নিজের ছেলের মনেই কষ্ট জমে গেলো। ভাবতে পারেন? নিজের মা হয়ে, ছেলের সুখে কিভাবে হিংসা করতে পারেন!
তবুও বাবা-মা, হাজার দোষ হলেও বাবা-মা। একদিন আমার স্বামী বলছিলেন,
“জানো? বাবা-মা যতই খারাপ হোক, তারপরও তারা বাবা-মা। কিছু করার নেই।”
আমি চাই না মা-ছেলের সম্পর্ক নষ্ট হোক, তাই সব সময় চুপ থাকি, কে কী বলছে তাতে কিছু বলি না। তবে একটা কথা বুঝেছি—আমার শাশুড়ী, ভাসুর, শশুর—যারা-ই হোক না কেন, আমার স্বামীর কাছে আমাকে নিয়ে যত খারাপ কথাই বলুক, আজ যদি আমার স্বামীর সাপোর্ট না পেতাম, আমার সংসার কখনো টিকে থাকতো না।
আমার স্বামীর একটা কথা—
“মা-বাবা অন্যায় করলে তাদের জবাব দেবো, আর বউ অন্যায় করলে বউকেও জবাব দেবো।”
আমি তার এই চিন্তাধারাকে সম্মান করি।
আর দুঃখের বিষয়—এখনো আমার স্বামী আমার এমন কোনো দোষ খুঁজে পায়নি।
সবাই যদি বিপক্ষে চলে যায়, তবুও একটি মেয়ে সুখী হতে পারে—যদি স্বামীর সাপোর্ট থাকে।
বিঃদ্রঃ- এক বোনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা।
মেয়েরা — সমাজের অর্ধাঙ্গিনী, শক্তি, স্নেহ আর সৌন্দর্যের প্রতীক। তারা শুধু পরিবারের নয়, জাতিরও গর্ব। মেয়েরা একদিকে যেমন মমতাময়ী মায়ের রূপে স্নেহ বিলায়, তেমনি আবার শিক্ষিকা, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, নেতা বা যোদ্ধা হয়ে সমাজে অসামান্য ভূমিকা পালন করে।
কিছু দিক থেকে মেয়েদের নিয়ে বলা যায়:
🔹 সাহস ও শক্তি:
মেয়েরা আজ শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় — তারা আকাশ ছুঁয়েছে, পাহাড় জয় করেছে, এমনকি মহাকাশেও পা রেখেছে। তারা প্রমাণ করেছে, ইচ্ছা আর পরিশ্রম থাকলে কিছুই অসম্ভব নয়।
🔹 ভালোবাসা ও ত্যাগ:
মায়ের মমতা, বোনের বন্ধুত্ব, সঙ্গিনীর সহানুভূতি — সবই জীবনে আলাদা করে আলো জ্বালে।
🔹 সমতা ও অধিকার:
মেয়েরাও পুরুষদের সমান — এই উপলব্ধি আজকের সমাজে খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার অধিকার মেয়েদেরও সমানভাবে থাকা উচিত।
🔹 সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব:
সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা থেকে শুরু করে প্রযুক্তি ও রাজনীতিতে মেয়েদের অসাধারণ অবদান রয়েছে।
এক কথায়, মেয়েরা শুধু “নারী” নয় — তারা হচ্ছে “নবজাগরণের অনুপ্রেরণা।”
পাখি — প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি। তারা ডানা মেলে আকাশে উড়ে বেড়ায়, আমাদের মনে জাগিয়ে তোলে স্বাধীনতার অনুভূতি। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি কোণে পাখির বাস, এবং প্রতিটি প্রজাতির পাখির রয়েছে নিজস্ব রূপ, গঠন ও স্বভাব।
কিছু দৃষ্টান্ত:
দোয়েল — বাংলাদেশের জাতীয় পাখি, ছোটখাটো আর চঞ্চল, মিষ্টি সুরে গান গায়।
ময়না — মানুষের কথা অনুকরণ করতে পারে, বেশ বুদ্ধিমান।
শালিক, কাক, চড়ুই — শহরে গ্রামে সর্বত্র দেখা যায়।
রাজধানি বনেও যেমন দেখা যায় বাজপাখি বা ঘুঘু, তেমনি বন-জঙ্গলে রয়েছে হরিয়াল, টিয়া, মুনিয়া ইত্যাদি।
পাখিরা শুধু সৌন্দর্য নয়, পরিবেশের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল রক্ষা করে, পরাগায়নে সাহায্য করে, এবং প্রকৃতির খাদ্যচক্রে ভূমিকা রাখে।
অবশ্যই! ঈদুল আজহা মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি "কুরবানির ঈদ" বা "বড় ঈদ" নামেও পরিচিত। ঈদুল আজহা হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয়, যা হজের সময়ের সঙ্গেও সম্পর্কিত।
ঈদুল আজহার তাৎপর্য:
ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা হল ত্যাগ ও আত্মসমর্পণ। এই উৎসবটির পেছনে রয়েছে নবী ইব্রাহিম (আ.)-এর কাহিনি, যিনি আল্লাহর নির্দেশে নিজ পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কুরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁর এই নিষ্ঠা দেখে ইসমাইলের পরিবর্তে একটি পশু পাঠিয়ে দেন। এর মাধ্যমে মুসলমানদের শিক্ষা দেওয়া হয়—আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করাই ঈমানদারের পরিচয়।
ঈদুল আজহার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো:
1. কুরবানি: সামর্থ্যবান মুসলমানরা গরু, খাসি, ছাগল, উট ইত্যাদি পশু কুরবানি দিয়ে থাকেন। এই কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা হয়—এক ভাগ গরিবদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের জন্য এবং এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য।
2. ঈদের নামাজ: ঈদের দিন সকালে বিশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।
3. ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহানুভূতি: ঈদুল আজহার মাধ্যমে মুসলমানরা গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়ান, তাদের সাহায্য করেন, যা সমাজে সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলে।
ঈদের শুভেচ্ছা:
ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানাতে সাধারণত বলা হয়: "ঈদ মোবারক! আল্লাহ আমাদের কুরবানি কবুল করুন এবং সবাইকে শান্তি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত করুন।"
তুমি চাইলে এই নিয়ে একটি ছোট বক্তব্য, কবিতা, বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের লেখাও করে দিতে পারি।