সুর্যের প্রথম আলো যখন জানালার কাঁচ ছুঁয়ে যাচ্ছিল, রিয়া দেখলো আবির তখনও গভীর ঘুমে। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি। গতরাতে ছাদে বসে অগণিত তারার মাঝে ওরা নিজেদের খুঁজেছিল। আবিরের বলা প্রতিটি কথা যেন রিয়ার হৃদয়ে সুর তুলছিল। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, নিজেদের এক ছোট্ট নীড়ে তাদের এই শান্ত সকাল।
আজ তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। এক বছর আগে এই দিনে হাতে হাত রেখে নতুন জীবনের পথে যাত্রা শুরু করেছিল তারা। পথটা সহজ ছিল না, ছিল অনেক বাঁক, কিছু ঝড়ো হাওয়া। নতুনত্বের উন্মাদনা, একে অপরের প্রতি বিশ্বাস এবং ভালোবাসার সুতোয় বাঁধা পড়েছিল তাদের জীবন। কত শত স্মৃতি, ছোট ছোট খুনসুটি, আর গভীর ভালোবাসার মুহূর্ত দিয়ে পূর্ণ তাদের এই এক বছর। আবির চোখ খুলতেই রিয়াকে দেখে মুচকি হাসল, তার চোখে তখন ভোরের নতুন দিনের স্বপ্ন। "শুভ বিবাহ বার্ষিকী, আমার ভালোবাসা," আবির ফিসফিস করে বলল। রিয়া আবিরের বুকে মাথা রেখে বললো, "তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই যেন এক একটা কবিতা, আবির। মনে হয় যেন সময়ের চাকা থেমে গেছে যখন আমরা একসাথে থাকি।" তাদের ভালোবাসার গল্পটা এভাবেই রোজ নতুন করে লেখা হয়, প্রতিটি দিন নতুন অধ্যায় যোগ করে। শহরের ব্যস্ততা তাদের ভালোবাসাকে বিন্দুমাত্র ম্লান করতে পারেনি। বরং, প্রতিটি চ্যালেঞ্জ তাদের বন্ধনকে আরও মজবুত করেছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তারা জানে, তাদের এই পথচলা অনন্তকাল ধরে চলবে, কারণ তাদের ভালোবাসার কোনো শেষ নেই।
পুরাতন বই আর নতুন স্বপ্ন শহরের এক পুরনো গলিতে, যেখানে সূর্যের আলোও সচরাচর পৌঁছাতে পারে না, সেখানেই ছিল রেহানা বেগমের ছোট চায়ের দোকান। রেহানা বেগম, যিনি বহু বছর ধরে এই দোকানে তার জীবন উৎসর্গ করেছেন, তার একমাত্র আনন্দ ছিল দোকানের এক কোণে রাখা পুরোনো বইয়ের সংগ্রহ। তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি বইয়ের পাতায় পাতায় লুকিয়ে আছে অগণিত গল্প, যা মানুষের জীবনকে নতুন দিশা দেখাতে পারে।
একদিন বিকেলে এক যুবক, নাম আকাশ, তার দোকানে এলো। আকাশের হাতে ছিল একটি জীর্ণ ডায়েরি, যার পাতাগুলো হলুদ হয়ে গিয়েছিল। আকাশ রেহানা বেগমের কাছে জানতে চাইল, "আপনি কি পুরনো বই কেনেন?" রেহানা বেগম ডায়েরিটা হাতে নিয়ে দেখলেন। প্রতিটি পাতায় হাতের লেখা ছিল অদ্ভুত সুন্দর, যেন কোনো শিল্পীর ছোঁয়া। ডায়েরিটা খুলতেই তিনি দেখতে পেলেন একটি লেখা, "স্বপ্ন দেখা বন্ধ করো না, স্বপ্নই জীবনকে বাঁচিয়ে রাখে।"রেহানা বেগমের মনে হলো, এই ডায়েরিটা শুধু একটা পুরনো জিনিস নয়, বরং এতে লুকিয়ে আছে এক গভীর জীবনের দর্শন। তিনি আকাশকে বললেন, "এই ডায়েরিটা আমি কিনতে চাই না, তবে তুমি যদি এর ভেতরের গল্পটা আমাকে শোনাও, তাহলে আমি তোমাকে আমার সেরা চা খাওয়াবো।" আকাশ প্রথমে দ্বিধা করলেও, রেহানা বেগমের উষ্ণ অভ্যর্থনা তাকে উৎসাহিত করল। সে বলতে শুরু করল তার জীবনের গল্প, তার হারানো স্বপ্ন আর কীভাবে এই ডায়েরি তাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। রেহানা বেগম মন দিয়ে শুনলেন। সেদিন, সেই পুরনো চায়ের দোকানে, পুরাতন বই আর নতুন স্বপ্নের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন ঘটেছিল।
সুর্যের প্রথম আলো যখন জানালার কাঁচ ছুঁয়ে যাচ্ছিল, রিয়া দেখলো আবির তখনও গভীর ঘুমে। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি। গতরাতে ছাদে বসে অগণিত তারার মাঝে ওরা নিজেদের খুঁজেছিল। আবিরের বলা প্রতিটি কথা যেন রিয়ার হৃদয়ে সুর তুলছিল।
আজ তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। এক বছর আগে এই দিনে হাতে হাত রেখে নতুন জীবনের পথে যাত্রা শুরু করেছিল তারা। পথটা সহজ ছিল না, ছিল অনেক বাঁক, কিছু ঝড়ো হাওয়া। কিন্তু ভালোবাসার সুতোয় বাঁধা পড়েছিল তাদের জীবন। আবির চোখ খুলতেই রিয়াকে দেখে মুচকি হাসল, "শুভ বিবাহ বার্ষিকী, আমার ভালোবাসা।" রিয়া আবিরের বুকে মাথা রেখে বললো, "তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই যেন এক একটা কবিতা, আবির।" তাদের ভালোবাসার গল্পটা এভাবেই রোজ নতুন করে লেখা হয়। সবই তো এক নিয়মেই চলে কেন তাহলে তুমি আজ অন্যর ঘরে আমার হলে কি এমন খতি হতো তুমার জানতে ইচ্ছা করে খুব জান।