AFace1 AFace1
    #spotnrides #uberclone #taxibookingapp #ridehailingapp #ubercloneapp
    Recherche Avancée
  • S'identifier
  • Enregistrez

  • Mode nuit
  • © 2025 AFace1
    Sur • Annuaire • Contactez nous • politique de confidentialité • Conditions d'utilisation • Rembourser • Work • Points and Payments • DMCA

    Sélectionner Langue

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

Montre

Montre Bobines Films

Événements

Parcourir les événements Mes événements

Blog

Browse articles

Marché

Derniers produits

Pages

Mes Pages Pages aimées

Plus

Forum Explorer Messages populaires Emplois Des offres Des financements
Bobines Montre Événements Marché Blog Mes Pages Voir tout
nazrul531239
User Image
Faites glisser pour repositionner la couverture
nazrul531239

nazrul531239

@nazrul531239
  • Chronologie
  • Groupes
  • Aime
  • Suivant 0
  • Les adeptes 0
  • Photos
  • Les vidéos
  • Bobines
  • Des produits
0 Suivant
0 Les adeptes
34 des postes
Mâle
19 ans
Vivre dans Bangladesh
image
image
image
nazrul531239
nazrul531239
10 w ·Traduire

কখনও কি এমন হয়েছে, গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেছে? মনে হয়েছে কিছু একটা ভুল হচ্ছে, কিংবা জীবনটা বুঝি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে? নিঃশব্দ ঘরের কোণে বসে যখন কান্না আসে, তখন কেউ থাকে না পাশে। আর তখনই বোঝা যায়—আসলে আমরা কতটা একা।

আমার জীবনটাও এমনই এক গল্প। খুব সাধারণ একটি পরিবারে জন্ম আমার। বাবা ছিলেন একজন কষ্টের মানুষ, মায়ের চোখে ছিল হাজারটা না বলা কষ্টের ভাষা। ছোটবেলা থেকেই শিখেছি, চাইলে সবকিছু পাওয়া যায় না। শিখেছি, না বলেও অনেক কিছু সহ্য করে নিতে হয়। তখনও বুঝিনি, এই ছোট ছোট না পাওয়া গুলোই একদিন আমার জীবনের বড় শিক্ষক হয়ে দাঁড়াবে।

বয়স বাড়লো। স্বপ্ন দেখার সাহস জন্মাল। কিন্তু বুঝলাম, স্বপ্ন দেখার জন্যও সাহসের পাশাপাশি দরকার সহায়তা, দরকার ভালোবাসা, দরকার সঠিক সময়। আর আমি? আমি পেয়েছিলাম শুধুই অপেক্ষা। হাজারটা চেষ্টার পরও জীবনের দরজা খুলছিল না। সবাই যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, আমি তখনও আটকে ছিলাম একই জায়গায়।

একটা সময় মনে হয়েছিল, হয়তো আমি কোনোদিন পারব না। হয়তো এই জীবনটা এমনই যাবে—লড়াই করতে করতেই ফুরিয়ে যাবে। কত রাত ভিজেছে চোখের জলে, কত স্বপ্ন আমি নিজেই ভেঙে ফেলেছি শুধুমাত্র ভয় আর ব্যর্থতার কারণে। মনে হতো, আমি কারো মতো হয়ে উঠতে পারিনি।

তারপর একদিন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ। দেখলাম একজন ক্লান্ত, ভাঙাচোরা মানুষ, কিন্তু একেবারে শেষ হয়ে যায়নি সে। ভেতরে কোথাও একটা ক্ষীণ আলো তখনও টিম টিম করে জ্বলছিল। হঠাৎ মনে হলো—জীবনটা তো শেষ হয়ে যায়নি! আমি এখনও বেঁচে আছি, তার মানে লড়ার সময় এখনো শেষ হয়নি।

সেদিন নিজেকে বলেছিলাম, “তুই পারবি।” না, এক রাতেই সব বদলায়নি। আমি ধাপে ধাপে শুরু করলাম নিজেকে গড়ার চেষ্টা। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করলাম। একটা একটা করে কাজ করলাম। নিজেকে ভালোবাসতে শিখলাম, নিজের ছোট অর্জনগুলোকে গুরুত্ব দিতে শিখলাম। এবং ধীরে ধীরে আমি আমার হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেলাম।

তবে একা ছিলাম না। পথের মধ্যে কিছু মানুষ এসেছিল—কেউ অল্প সময়ের জন্য, কেউ স্থায়ীভাবে। তাদের কেউ কেউ বিশ্বাস জুগিয়েছে, কেউ ঠকিয়েছে। কিন্তু সবাই একেকটা শিক্ষা দিয়ে গেছে। আমি বুঝলাম, মানুষ আসে ও যায়, কিন্তু আমি নিজেকে হারাতে পারি না। নিজেকে ভালোবাসা শিখতে হবে, নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে।

আজ যখন পেছনে ফিরে তাকাই, দেখি—আমি বদলে গেছি। আগের মতো নই। আমি এখনো ভাঙি, কাঁদি, ক্লান্ত হই। কিন্তু আমি জানি, আমি আবার উঠেও দাঁড়াতে পারি। কারণ আমি শিখে গেছি—ভেঙে পড়া মানেই শেষ না, বরং ওটাই হয়তো নতুন করে গড়ার সূচনা।

জীবনটা এখনো কঠিন। কিন্তু আগের মতো আর ভয় করে না। কারণ আমি জানি, আমি একা হলেও আমার ভেতরে আছে হাজারটা শক্তির গল্প। আমি জানি, আমি বেঁচে আছি—কারণ আমি ভেঙে পড়িনি।

এই লেখাটা তাদের জন্য, যারা আজ হয়তো কাঁদছে নিঃশব্দে, কেউ বুঝছে না তাদের কষ্ট। যারা নিজের জীবনের দরজা বন্ধ দেখতে পাচ্ছে। আমি শুধু বলতে চাই—তুমি একা নও। আমিও একদিন তোমার মতো ছিলাম। তুমি পারবে, একটু একটু করে। শুধু নিজেকে বিশ্বাস করো। সময় লাগবে, ভুল হবে, আবার শিখতে হবে। কিন্তু একদিন দেখবে, তুমি ঠিকই পারো।

শেষ কথা, দয়া করে নিজেকে কখনো হালকা করে দেখো না। তুমি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ—তোমার অনুভূতি, তোমার স্বপ্ন, তোমার ছোট ছোট চেষ্টাগুলো—সবই খুব দামি।

ভালোবাসা নিও। যদি কখনো মনে হয় কেউ বুঝছে না, তাহলে এই লেখাটা আবার পড়ো। মনে রেখো, তুমি একা নও।

Aimer
Commentaire
Partagez
nazrul531239
nazrul531239
10 w ·Traduire

কখনও কি এমন হয়েছে, গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেছে? মনে হয়েছে কিছু একটা ভুল হচ্ছে, কিংবা জীবনটা বুঝি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে? নিঃশব্দ ঘরের কোণে বসে যখন কান্না আসে, তখন কেউ থাকে না পাশে। আর তখনই বোঝা যায়—আসলে আমরা কতটা একা।

আমার জীবনটাও এমনই এক গল্প। খুব সাধারণ একটি পরিবারে জন্ম আমার। বাবা ছিলেন একজন কষ্টের মানুষ, মায়ের চোখে ছিল হাজারটা না বলা কষ্টের ভাষা। ছোটবেলা থেকেই শিখেছি, চাইলে সবকিছু পাওয়া যায় না। শিখেছি, না বলেও অনেক কিছু সহ্য করে নিতে হয়। তখনও বুঝিনি, এই ছোট ছোট না পাওয়া গুলোই একদিন আমার জীবনের বড় শিক্ষক হয়ে দাঁড়াবে।

বয়স বাড়লো। স্বপ্ন দেখার সাহস জন্মাল। কিন্তু বুঝলাম, স্বপ্ন দেখার জন্যও সাহসের পাশাপাশি দরকার সহায়তা, দরকার ভালোবাসা, দরকার সঠিক সময়। আর আমি? আমি পেয়েছিলাম শুধুই অপেক্ষা। হাজারটা চেষ্টার পরও জীবনের দরজা খুলছিল না। সবাই যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, আমি তখনও আটকে ছিলাম একই জায়গায়।

একটা সময় মনে হয়েছিল, হয়তো আমি কোনোদিন পারব না। হয়তো এই জীবনটা এমনই যাবে—লড়াই করতে করতেই ফুরিয়ে যাবে। কত রাত ভিজেছে চোখের জলে, কত স্বপ্ন আমি নিজেই ভেঙে ফেলেছি শুধুমাত্র ভয় আর ব্যর্থতার কারণে। মনে হতো, আমি কারো মতো হয়ে উঠতে পারিনি।

তারপর একদিন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ। দেখলাম একজন ক্লান্ত, ভাঙাচোরা মানুষ, কিন্তু একেবারে শেষ হয়ে যায়নি সে। ভেতরে কোথাও একটা ক্ষীণ আলো তখনও টিম টিম করে জ্বলছিল। হঠাৎ মনে হলো—জীবনটা তো শেষ হয়ে যায়নি! আমি এখনও বেঁচে আছি, তার মানে লড়ার সময় এখনো শেষ হয়নি।

সেদিন নিজেকে বলেছিলাম, “তুই পারবি।” না, এক রাতেই সব বদলায়নি। আমি ধাপে ধাপে শুরু করলাম নিজেকে গড়ার চেষ্টা। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করলাম। একটা একটা করে কাজ করলাম। নিজেকে ভালোবাসতে শিখলাম, নিজের ছোট অর্জনগুলোকে গুরুত্ব দিতে শিখলাম। এবং ধীরে ধীরে আমি আমার হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেলাম।

তবে একা ছিলাম না। পথের মধ্যে কিছু মানুষ এসেছিল—কেউ অল্প সময়ের জন্য, কেউ স্থায়ীভাবে। তাদের কেউ কেউ বিশ্বাস জুগিয়েছে, কেউ ঠকিয়েছে। কিন্তু সবাই একেকটা শিক্ষা দিয়ে গেছে। আমি বুঝলাম, মানুষ আসে ও যায়, কিন্তু আমি নিজেকে হারাতে পারি না। নিজেকে ভালোবাসা শিখতে হবে, নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে।

আজ যখন পেছনে ফিরে তাকাই, দেখি—আমি বদলে গেছি। আগের মতো নই। আমি এখনো ভাঙি, কাঁদি, ক্লান্ত হই। কিন্তু আমি জানি, আমি আবার উঠেও দাঁড়াতে পারি। কারণ আমি শিখে গেছি—ভেঙে পড়া মানেই শেষ না, বরং ওটাই হয়তো নতুন করে গড়ার সূচনা।

জীবনটা এখনো কঠিন। কিন্তু আগের মতো আর ভয় করে না। কারণ আমি জানি, আমি একা হলেও আমার ভেতরে আছে হাজারটা শক্তির গল্প। আমি জানি, আমি বেঁচে আছি—কারণ আমি ভেঙে পড়িনি।

এই লেখাটা তাদের জন্য, যারা আজ হয়তো কাঁদছে নিঃশব্দে, কেউ বুঝছে না তাদের কষ্ট। যারা নিজের জীবনের দরজা বন্ধ দেখতে পাচ্ছে। আমি শুধু বলতে চাই—তুমি একা নও। আমিও একদিন তোমার মতো ছিলাম। তুমি পারবে, একটু একটু করে। শুধু নিজেকে বিশ্বাস করো। সময় লাগবে, ভুল হবে, আবার শিখতে হবে। কিন্তু একদিন দেখবে, তুমি ঠিকই পারো।

শেষ কথা, দয়া করে নিজেকে কখনো হালকা করে দেখো না। তুমি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ—তোমার অনুভূতি, তোমার স্বপ্ন, তোমার ছোট ছোট চেষ্টাগুলো—সবই খুব দামি।

ভালোবাসা নিও। যদি কখনো মনে হয় কেউ বুঝছে না, তাহলে এই লেখাটা আবার পড়ো। মনে রেখো, তুমি একা নও।

Aimer
Commentaire
Partagez
nazrul531239
nazrul531239
10 w ·Traduire

জীবনটা ঠিক তখনই সবচেয়ে কঠিন হয়ে ওঠে, যখন হঠাৎ করেই সবকিছু থেমে যায়। চারপাশের সবাই ছুটে চলছে, আর তুমি—একটি জায়গায় থেমে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করছো, “আমি আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?” সেই থেমে যাওয়া মুহূর্তটাই হয়তো আমাদের ভেতরের সবচেয়ে সত্যি কণ্ঠস্বরটা শোনার সুযোগ দেয়।

আমি জানি, কারণ আমি নিজে অনুভব করেছি।

আমার জীবনটা এমন কোনো রঙিন গল্প নয়, যেখানে সবকিছু একটার পর একটা নিখুঁতভাবে সাজানো। এটা সেই গল্প, যেখানে প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে না-পাওয়া, ভুলে যাওয়া, প্রত্যাখ্যান, একাকিত্ব, আর অজস্র কান্না।

ছোটবেলায় আমার খুব ইচ্ছে ছিলো বড় হয়ে মানুষ হবো—স্রেফ জীবনের জন্য নয়, আশেপাশের মানুষদের জন্যও কিছু করব। বাবা-মার মুখে হাসি ফোটাবো। কিন্তু সময় যত গড়ালো, বুঝলাম শুধু ইচ্ছা থাকলেই হয় না, বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর।

আমি খুব সাধারণ একটি পরিবারে বড় হয়েছি। বাবা একজন পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন, যিনি নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে আমাদের জীবন গড়তে চেয়েছেন। মা—একজন নীরব সংগ্রামী, যার চোখে সবসময় ক্লান্তি ছিল, তবু মুখে হাসি রাখতেন। আমি তাঁদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জীবনের প্রথম ধাক্কাটা তখনই আসে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হই।

সবাই বলল, “আরও চেষ্টা করো”, কিন্তু কেউ বলল না, “তোমার কষ্টটা আমি বুঝি।” সেই প্রথম বুঝেছিলাম—মানুষ ব্যর্থতার পাশে দাঁড়ায় না, বরং সরে যায়। শুরু হলো এক নতুন যুদ্ধ—নিজের সঙ্গে।

দিনের পর দিন নিজেকে বুঝিয়েছি, “সব ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু আদৌ কি ঠিক হচ্ছিল? একটার পর একটা চাকরির ইন্টারভিউতে ব্যর্থ, চারপাশের মানুষদের ‘তুই তো কিছু করতে পারলি না’ টাইপ কথাবার্তা, আর নিজের প্রতি জন্ম নেওয়া একরাশ অবিশ্বাস—সবকিছু মিলিয়ে নিজেকে মানুষ বলে মনে হতো না। একটা সময় মনে হতো, “আমার না থাকলেই বোধহয় ভালো হতো।”

তখনই বুঝলাম, ডিপ্রেশন কী জিনিস। মুখে বলাটা সহজ, কিন্তু যখন রাতে বিছানায় শুয়ে চাঁদের আলো জানালা দিয়ে পড়ছে, আর তুমি নিজের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করছো—সেই যন্ত্রণা কেউ বোঝে না।

প্রতিদিনের লড়াই ছিল নিঃশব্দ। বাইরে সবার সামনে হাসি, ভেতরে একেবারে শূন্য। ফেসবুকে সবাই নতুন চাকরি, প্রেম, বিয়ে, ঘুরতে যাওয়ার ছবি দিচ্ছে—আর আমি নিজের মোবাইলটাও দেখতে চাইতাম না। কারণ সবকিছু মনে করিয়ে দিত আমি পিছিয়ে আছি।

তবু হঠাৎ করেই কোনো একদিন, খুব ছোট একটা ঘটনাই জীবন বদলে দেয়। আমারও তেমনই একদিন হয়েছিল। এক বিকেলে বাসার পাশের পার্কে গিয়েছিলাম কিছুটা সময় চুপচাপ বসে থাকতে। হঠাৎ দেখি, একটা ছোট বাচ্চা সাইকেল চালাচ্ছে—বারবার পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে বারবার উঠে দাঁড়াচ্ছে, আবার চালাতে শুরু করছে।

আমি তখন চেয়ারে বসে নিজেকে প্রশ্ন করলাম, “এই বাচ্চাটাও তো পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে তো হাল ছাড়ছে না! তাহলে আমি কেন নিজেকে শেষ মনে করছি?”

সেদিনই হয়তো আমার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। হ্যাঁ, আমি তখনো কিছুই পাইনি, কিন্তু ভেতরে একটা সাহস জন্ম নিয়েছিলো—আবার চেষ্টা করার সাহস।

আমি খুব ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে শুরু করলাম। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে একটা কথা বলতাম: “আজ একটা কাজ কর, যেটা আগের দিনের তুলনায় তোমায় একটু এগিয়ে রাখবে।” শুরু করলাম নতুন কিছু শেখা—অনলাইন কোর্স, বই পড়া, নিজের ভেতরের আগ্রহগুলো নিয়ে কাজ করা।

তারপর একটা ছোট কাজ পেলাম—একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে। বেতন কম, সম্মান কম, তবু সেই প্রথমবার মনে হলো, “আমি পারি।” ধীরে ধীরে কাজ বাড়লো। লেখার জায়গা থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং-এ প্রবেশ করলাম।

তখনই জীবন একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিলো—"তুমি যখন নিজের উপর বিশ্বাস করো, তখন গোটা পৃথিবীও তোমায় বিশ্বাস করতে শুরু করে।"

অবশ্য এখনও সব ফুলে-ফলে ভরা নয়। অনেক দিনই আসে, যখন ক্লান্তি পেয়ে বসে, যখন মনে হয় “সব আবার হারিয়ে যেতে পারে।” কিন্তু এখন আমি জানি, আমি আবার শুরু করতে পারি। কারণ আমি নিজের মধ্যে একজন যোদ্ধাকে খুঁজে পেয়েছি।

আমার সেই যোদ্ধা আমি নিজেই।

এই লেখাটা আমি তাদের জন্য লিখছি, যারা আজ হয়তো খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যারা হয়তো মনে করছে, “আর পারছি না, আর সম্ভব না।” আমি জানি, আমি কোনো গুরুর মতো কিছু শেখাতে পারব না। কিন্তু আমি চাই, তুমি জানো—তুমি একা নও।

তোমার মতো আমিও কেঁদেছি, আমি নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু এখন আমি আবার বেঁচে আছি। আমি আবার হাসি, কারণ আমি জানি, আমি কীভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আর সে কারণেই আমার হাসিটা এখন অনেক গভীর।

স্মরণীয় একটা কথা বলি—
“মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি তার আবার উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা।”

তুমি কষ্টে আছো, হতাশায় আছো—এই মুহূর্তে হয়তো কেউ তোমার পাশে নেই। কিন্তু তুমি আছো। তুমিই তোমার সবচেয়ে বড় সম্বল। নিজেকে ভালোবাসো। নিজেকে সময় দাও। তোমার গল্পটা এখনো শেষ হয়নি।

একদিন তুমি নিজেই তাকিয়ে দেখবে, “আমি তো পারলাম!”
তখন তুমি নিজেরই চোখে জল পাবে—এই আনন্দের, এই গর্বের।

Aimer
Commentaire
Partagez
nazrul531239
nazrul531239
10 w ·Traduire

কখনও কি এমন হয়েছে, গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেছে? মনে হয়েছে কিছু একটা ভুল হচ্ছে, কিংবা জীবনটা বুঝি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে? নিঃশব্দ ঘরের কোণে বসে যখন কান্না আসে, তখন কেউ থাকে না পাশে। আর তখনই বোঝা যায়—আসলে আমরা কতটা একা।

আমার জীবনটাও এমনই এক গল্প। খুব সাধারণ একটি পরিবারে জন্ম আমার। বাবা ছিলেন একজন কষ্টের মানুষ, মায়ের চোখে ছিল হাজারটা না বলা কষ্টের ভাষা। ছোটবেলা থেকেই শিখেছি, চাইলে সবকিছু পাওয়া যায় না। শিখেছি, না বলেও অনেক কিছু সহ্য করে নিতে হয়। তখনও বুঝিনি, এই ছোট ছোট না পাওয়া গুলোই একদিন আমার জীবনের বড় শিক্ষক হয়ে দাঁড়াবে।

বয়স বাড়লো। স্বপ্ন দেখার সাহস জন্মাল। কিন্তু বুঝলাম, স্বপ্ন দেখার জন্যও সাহসের পাশাপাশি দরকার সহায়তা, দরকার ভালোবাসা, দরকার সঠিক সময়। আর আমি? আমি পেয়েছিলাম শুধুই অপেক্ষা। হাজারটা চেষ্টার পরও জীবনের দরজা খুলছিল না। সবাই যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, আমি তখনও আটকে ছিলাম একই জায়গায়।

একটা সময় মনে হয়েছিল, হয়তো আমি কোনোদিন পারব না। হয়তো এই জীবনটা এমনই যাবে—লড়াই করতে করতেই ফুরিয়ে যাবে। কত রাত ভিজেছে চোখের জলে, কত স্বপ্ন আমি নিজেই ভেঙে ফেলেছি শুধুমাত্র ভয় আর ব্যর্থতার কারণে। মনে হতো, আমি কারো মতো হয়ে উঠতে পারিনি।

তারপর একদিন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ। দেখলাম একজন ক্লান্ত, ভাঙাচোরা মানুষ, কিন্তু একেবারে শেষ হয়ে যায়নি সে। ভেতরে কোথাও একটা ক্ষীণ আলো তখনও টিম টিম করে জ্বলছিল। হঠাৎ মনে হলো—জীবনটা তো শেষ হয়ে যায়নি! আমি এখনও বেঁচে আছি, তার মানে লড়ার সময় এখনো শেষ হয়নি।

সেদিন নিজেকে বলেছিলাম, “তুই পারবি।” না, এক রাতেই সব বদলায়নি। আমি ধাপে ধাপে শুরু করলাম নিজেকে গড়ার চেষ্টা। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করলাম। একটা একটা করে কাজ করলাম। নিজেকে ভালোবাসতে শিখলাম, নিজের ছোট অর্জনগুলোকে গুরুত্ব দিতে শিখলাম। এবং ধীরে ধীরে আমি আমার হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেলাম।

তবে একা ছিলাম না। পথের মধ্যে কিছু মানুষ এসেছিল—কেউ অল্প সময়ের জন্য, কেউ স্থায়ীভাবে। তাদের কেউ কেউ বিশ্বাস জুগিয়েছে, কেউ ঠকিয়েছে। কিন্তু সবাই একেকটা শিক্ষা দিয়ে গেছে। আমি বুঝলাম, মানুষ আসে ও যায়, কিন্তু আমি নিজেকে হারাতে পারি না। নিজেকে ভালোবাসা শিখতে হবে, নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে।

আজ যখন পেছনে ফিরে তাকাই, দেখি—আমি বদলে গেছি। আগের মতো নই। আমি এখনো ভাঙি, কাঁদি, ক্লান্ত হই। কিন্তু আমি জানি, আমি আবার উঠেও দাঁড়াতে পারি। কারণ আমি শিখে গেছি—ভেঙে পড়া মানেই শেষ না, বরং ওটাই হয়তো নতুন করে গড়ার সূচনা।

জীবনটা এখনো কঠিন। কিন্তু আগের মতো আর ভয় করে না। কারণ আমি জানি, আমি একা হলেও আমার ভেতরে আছে হাজারটা শক্তির গল্প। আমি জানি, আমি বেঁচে আছি—কারণ আমি ভেঙে পড়িনি।

এই লেখাটা তাদের জন্য, যারা আজ হয়তো কাঁদছে নিঃশব্দে, কেউ বুঝছে না তাদের কষ্ট। যারা নিজের জীবনের দরজা বন্ধ দেখতে পাচ্ছে। আমি শুধু বলতে চাই—তুমি একা নও। আমিও একদিন তোমার মতো ছিলাম। তুমি পারবে, একটু একটু করে। শুধু নিজেকে বিশ্বাস করো। সময় লাগবে, ভুল হবে, আবার শিখতে হবে। কিন্তু একদিন দেখবে, তুমি ঠিকই পারো।

শেষ কথা, দয়া করে নিজেকে কখনো হালকা করে দেখো না। তুমি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ—তোমার অনুভূতি, তোমার স্বপ্ন, তোমার ছোট ছোট চেষ্টাগুলো—সবই খুব দামি।

ভালোবাসা নিও। যদি কখনো মনে হয় কেউ বুঝছে না, তাহলে এই লেখাটা আবার পড়ো। মনে রেখো, তুমি একা নও।

Aimer
Commentaire
Partagez
nazrul531239
nazrul531239
10 w ·Traduire

জীবনটা ঠিক তখনই সবচেয়ে কঠিন হয়ে ওঠে, যখন হঠাৎ করেই সবকিছু থেমে যায়। চারপাশের সবাই ছুটে চলছে, আর তুমি—একটি জায়গায় থেমে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করছো, “আমি আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?” সেই থেমে যাওয়া মুহূর্তটাই হয়তো আমাদের ভেতরের সবচেয়ে সত্যি কণ্ঠস্বরটা শোনার সুযোগ দেয়।

আমি জানি, কারণ আমি নিজে অনুভব করেছি।

আমার জীবনটা এমন কোনো রঙিন গল্প নয়, যেখানে সবকিছু একটার পর একটা নিখুঁতভাবে সাজানো। এটা সেই গল্প, যেখানে প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে না-পাওয়া, ভুলে যাওয়া, প্রত্যাখ্যান, একাকিত্ব, আর অজস্র কান্না।

ছোটবেলায় আমার খুব ইচ্ছে ছিলো বড় হয়ে মানুষ হবো—স্রেফ জীবনের জন্য নয়, আশেপাশের মানুষদের জন্যও কিছু করব। বাবা-মার মুখে হাসি ফোটাবো। কিন্তু সময় যত গড়ালো, বুঝলাম শুধু ইচ্ছা থাকলেই হয় না, বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর।

আমি খুব সাধারণ একটি পরিবারে বড় হয়েছি। বাবা একজন পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন, যিনি নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে আমাদের জীবন গড়তে চেয়েছেন। মা—একজন নীরব সংগ্রামী, যার চোখে সবসময় ক্লান্তি ছিল, তবু মুখে হাসি রাখতেন। আমি তাঁদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জীবনের প্রথম ধাক্কাটা তখনই আসে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হই।

সবাই বলল, “আরও চেষ্টা করো”, কিন্তু কেউ বলল না, “তোমার কষ্টটা আমি বুঝি।” সেই প্রথম বুঝেছিলাম—মানুষ ব্যর্থতার পাশে দাঁড়ায় না, বরং সরে যায়। শুরু হলো এক নতুন যুদ্ধ—নিজের সঙ্গে।

দিনের পর দিন নিজেকে বুঝিয়েছি, “সব ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু আদৌ কি ঠিক হচ্ছিল? একটার পর একটা চাকরির ইন্টারভিউতে ব্যর্থ, চারপাশের মানুষদের ‘তুই তো কিছু করতে পারলি না’ টাইপ কথাবার্তা, আর নিজের প্রতি জন্ম নেওয়া একরাশ অবিশ্বাস—সবকিছু মিলিয়ে নিজেকে মানুষ বলে মনে হতো না। একটা সময় মনে হতো, “আমার না থাকলেই বোধহয় ভালো হতো।”

তখনই বুঝলাম, ডিপ্রেশন কী জিনিস। মুখে বলাটা সহজ, কিন্তু যখন রাতে বিছানায় শুয়ে চাঁদের আলো জানালা দিয়ে পড়ছে, আর তুমি নিজের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করছো—সেই যন্ত্রণা কেউ বোঝে না।

প্রতিদিনের লড়াই ছিল নিঃশব্দ। বাইরে সবার সামনে হাসি, ভেতরে একেবারে শূন্য। ফেসবুকে সবাই নতুন চাকরি, প্রেম, বিয়ে, ঘুরতে যাওয়ার ছবি দিচ্ছে—আর আমি নিজের মোবাইলটাও দেখতে চাইতাম না। কারণ সবকিছু মনে করিয়ে দিত আমি পিছিয়ে আছি।

তবু হঠাৎ করেই কোনো একদিন, খুব ছোট একটা ঘটনাই জীবন বদলে দেয়। আমারও তেমনই একদিন হয়েছিল। এক বিকেলে বাসার পাশের পার্কে গিয়েছিলাম কিছুটা সময় চুপচাপ বসে থাকতে। হঠাৎ দেখি, একটা ছোট বাচ্চা সাইকেল চালাচ্ছে—বারবার পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে বারবার উঠে দাঁড়াচ্ছে, আবার চালাতে শুরু করছে।

আমি তখন চেয়ারে বসে নিজেকে প্রশ্ন করলাম, “এই বাচ্চাটাও তো পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে তো হাল ছাড়ছে না! তাহলে আমি কেন নিজেকে শেষ মনে করছি?”

সেদিনই হয়তো আমার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। হ্যাঁ, আমি তখনো কিছুই পাইনি, কিন্তু ভেতরে একটা সাহস জন্ম নিয়েছিলো—আবার চেষ্টা করার সাহস।

আমি খুব ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে শুরু করলাম। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে একটা কথা বলতাম: “আজ একটা কাজ কর, যেটা আগের দিনের তুলনায় তোমায় একটু এগিয়ে রাখবে।” শুরু করলাম নতুন কিছু শেখা—অনলাইন কোর্স, বই পড়া, নিজের ভেতরের আগ্রহগুলো নিয়ে কাজ করা।

তারপর একটা ছোট কাজ পেলাম—একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে। বেতন কম, সম্মান কম, তবু সেই প্রথমবার মনে হলো, “আমি পারি।” ধীরে ধীরে কাজ বাড়লো। লেখার জায়গা থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং-এ প্রবেশ করলাম।

তখনই জীবন একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিলো—"তুমি যখন নিজের উপর বিশ্বাস করো, তখন গোটা পৃথিবীও তোমায় বিশ্বাস করতে শুরু করে।"

অবশ্য এখনও সব ফুলে-ফলে ভরা নয়। অনেক দিনই আসে, যখন ক্লান্তি পেয়ে বসে, যখন মনে হয় “সব আবার হারিয়ে যেতে পারে।” কিন্তু এখন আমি জানি, আমি আবার শুরু করতে পারি। কারণ আমি নিজের মধ্যে একজন যোদ্ধাকে খুঁজে পেয়েছি।

আমার সেই যোদ্ধা আমি নিজেই।

এই লেখাটা আমি তাদের জন্য লিখছি, যারা আজ হয়তো খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যারা হয়তো মনে করছে, “আর পারছি না, আর সম্ভব না।” আমি জানি, আমি কোনো গুরুর মতো কিছু শেখাতে পারব না। কিন্তু আমি চাই, তুমি জানো—তুমি একা নও।

তোমার মতো আমিও কেঁদেছি, আমি নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু এখন আমি আবার বেঁচে আছি। আমি আবার হাসি, কারণ আমি জানি, আমি কীভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আর সে কারণেই আমার হাসিটা এখন অনেক গভীর।

স্মরণীয় একটা কথা বলি—
“মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি তার আবার উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা।”

তুমি কষ্টে আছো, হতাশায় আছো—এই মুহূর্তে হয়তো কেউ তোমার পাশে নেই। কিন্তু তুমি আছো। তুমিই তোমার সবচেয়ে বড় সম্বল। নিজেকে ভালোবাসো। নিজেকে সময় দাও। তোমার গল্পটা এখনো শেষ হয়নি।

একদিন তুমি নিজেই তাকিয়ে দেখবে, “আমি তো পারলাম!”
তখন তুমি নিজেরই চোখে জল পাবে—এই আনন্দের, এই গর্বের।

Aimer
Commentaire
Partagez
avatar

Tanzim Bin Helal

আপনি অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন। আপনাকে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা কিছু ফুলের সাথে 💮🌻🌻🌻💮।আরো জানাচ্ছি ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক।
Aimer
· Répondre · 1749147734

supprimer les commentaires

Etes-vous sûr que vous voulez supprimer ce commentaire ?

Chargez plus de postes

Désamie

Êtes-vous sûr de vouloir vous libérer?

Signaler cet utilisateur

Modifier loffre

Ajouter un niveau








Sélectionnez une image
Supprimer votre niveau
Êtes-vous sûr de vouloir supprimer ce niveau?

Avis

Afin de vendre votre contenu et vos publications, commencez par créer quelques packages. Monétisation

Payer par portefeuille

Alerte de paiement

Vous êtes sur le point d'acheter les articles, voulez-vous continuer?

Demande à être remboursé