31 ב ·תרגם

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরুর পর থেকেই নিক্যাপ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছে। ব্যান্ডটি বেশ কয়েকবার ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের সঙ্গে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে আইরিশদের দুঃখ-দুর্দশার তুলনা করেছে।

তাদের প্রায় সব কনসার্টেই ফিলিস্তিনপন্থি স্লোগান শোনা যায়। ব্যান্ডের দাবি, ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসায় একটি মহল তাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাস্ট থেকে উঠে আসা তিন সদস্যের ব্যান্ডের গানেও তাদের প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তাধারার ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়। তাদের গানের কথায় উঠে এসেছে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ও আইরিশ রিপাবলিকান আন্দোলনের নানা চিহ্ন।

উল্লেখ্য, ওই আন্দোলনের লক্ষ্য হলো উত্তর আয়ারল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য থেকে আলাদা করে স্বাধীন আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের অংশ করে নেওয়া।

আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আইআরএ), ব্রিটেনপন্থি মিলিশিয়া ও যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত-সহিংসতায় উত্তর আয়ারল্যান্ডে গত তিন দশকে তিন হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।

গত মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার কোচেলার এক সংগীত উৎসবে গানের কথার মধ্যে ইসরায়েলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সংবাদের শিরোনাম হয় নিক্যাপ। তারা গানের মধ্যে 'ফা* ইসরায়েল, ফ্রি প্যালেস্টাইন' কথাগুলো জুড়ে দেয়।

গানের বাকি অংশে বলা হয়, 'আইরিশরাও নিকট অতীতে ব্রিটিশদের হাতে নির্যাতিত হয়েছে, কিন্তু আমাদের মাথার ওপর কখনো (গালি) আকাশ থেকে বোমা ফেলা হয়নি, আর বিষয়টি এমনও না যে আমাদের পালানোর পথ ছিল না। কিন্তু সেটা তাদের (গালি) নিজেদের বাড়ি এবং সেখানেই তাদের মাথার ওপর বোমা ফেলা হচ্ছে। যদি আপনারা একে গণহত্যা না বলেন, তা হলে এটাকে (গালি) কি বলবেন?'।