31 में ·अनुवाद करना

প্রিয় নবী ﷺ যখন ফাতিমাহ রাঃ কে ওনার ওফাত হওয়ার বিষয়ে অবগত করেন তখন ফাতিমাহ রাঃ কেঁদে ফেলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ চুপেচুপে বলেন, ফাতিমাহ রাঃ ই উনার পরিবারবর্গের মধ্যে সর্বপ্রথম উনার সঙ্গে মিলিত হব, তখন ফাতিমাহ রাঃ (খুশিতে) হাসতে শুরু করলেন। (সহীহ বুখারী ৩৭১৬)

আমি আবারো উল্লেখ করছি,

আল্লাহ’র জ্ঞান তো অসীম। আল্লাহ পাক মহা অনুগ্রহ করে তাঁর রাসূলকে যা যা দরকার সবই জানিয়ে দিয়েছেন। কতটুকু জানিয়েছেন তার সীমা নির্ধারণ করার অধিকার আমাদের নেই, সেই সীমা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ ই ভালো জানেন। কিন্তু আমাদের জ্ঞান আল্লাহ’র রাসূলের জ্ঞানের তুলনায় অতি নগন্য। রাসলূল্লাহ ﷺ তো সৃষ্টির সূচনা থেকে কিয়ামত পর্যন্ত এবং জান্নাতবাসী জান্নাতে, জাহান্নামবাসী জাহান্নামে প্রবেশের কথাও উল্লেখ করে দিয়েছেন। আর এসবও সম্ভব হয়েছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা উনাকে জানানোর কারণে। আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা” আর “আল্লাহর সত্ত্বাগত ক্ষমতা” একই কথা নয়, তাই “প্রিয় নবী ﷺ আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় গায়েবের খবর জানেন” এ আকীদা পোষণ করা কখনোই কুফরী হতে পারে না কিংবা শিরক নয়।