বোকা হালুর বিয়ের বুদ্ধি
গ্রামের এক কোণে বাস করতো হালু। সবার কাছে বোকা হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। যতবারই কোনো কাজে যেত, কিছু না কিছু গোল বাঁধিয়ে ফেলতো। কিন্তু তার একটাই স্বপ্ন—বিয়ে করবে একটা সুন্দরী মেয়ে, আর তারপর সবাইকে দেখিয়ে বলবে, “এই আমি হালু, আর এই আমার বউ!”
একদিন বাজারে গিয়ে হালু শুনলো এক লোক বলছে, “যে বিয়ে করতে চায়, সে যেন শহরে গিয়ে ‘বিয়ের অফিসে’ আবেদন করে। টাকা আর ছবি দিলেই কাজ হয়ে যাবে।”
হালু তো ভেবেই বসলো—ব্যস! জীবন সার্থক!
তিন দিন পর গাধার গলায় দড়ি বেঁধে, নিজের একটা তেল মাখা ছবি হাতে শহরের দিকে রওনা দিল। পথে লোকজন জিজ্ঞেস করে, “হালু, কোথায় যাও?”
সে গর্ব করে বললো, “বিয়ের ফরম জমা দিতে! এবার আমার কপাল খুলছে!”
শহরে গিয়ে সে এক সরকারি অফিসে ঢুকে পড়লো—ভুল করে পৌরসভার জন্মনিবন্ধনের ঘরে। কাউন্টারে গিয়ে বললো, “বিয়ে করতে এসেছি!”
কর্মকর্তা অবাক, “বিয়ে? এখানে তো জন্ম নিবন্ধন হয়!”
হালু বলে, “তাতে কী? জন্ম হলে বিয়ে হয়, তাই তো? কাজ শুরু করে দেন।”
ভেতরে থাকা লোকজন হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ে। হালু তখনো সিরিয়াস মুখে ছবি আর ৫০০ টাকা এগিয়ে দেয়।
অফিসার মজা নিতে চাইল। বললো, “ঠিক আছে, আমরা তোমার বিয়ে ঠিক করে দেবো। তবে মেয়েকে আনতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।”
হালু খুশি হয়ে ফিরে গেল গ্রামে। সবাইকে বললো, “বিয়ে ঠিক! শহর থেকে মেয়ে আসছে!”
এক সপ্তাহ পর হালু ফের শহরে হাজির। অফিসার বললো, “মেয়ে তো এসেছে, তবে সে পাকা বুদ্ধির। তুই যদি একশো গরু উপহার দিতে পারিস, তাহলেই বিয়ে হবে।”
হালু মাথা চুলকে বললো, “গরু তো নেই, গাধা চলবে?”
অফিসার হেসে বললো, “তোর মতো গাধাকেই মেয়ের জন্য ঠিক করেছি!”
সেই দিন থেকে সবাই বলে, “হালু না বোকার হালু, কিন্তু স্বপ্ন দেখে রাজা হবার!”
#sifat10