‘মৃত্যু’ যতটা নিশ্চিত, তার আগমনের সময়কাল ততটাই অনিশ্চিত। পূর্ব নির্ধারিত কোনো শিডিউল নেই। আগাম ঘোষণা ছাড়া হাজির হবে, যেকোনো মুহূর্তে অপ্রত্যাশিত ও অনাকাক্সিক্ষত সময়ে।
‘সূরা নিসার আটাত্তর’ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সতর্ক করেন — ‘তোমরা যেখানেই থাকো, মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই। যদিও তোমরা সুদৃঢ় সুউচ্চ দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করো।’
সুতরাং মৃত্যুর প্রস্তুতি সদা নিয়ে রাখা চাই। চাকচিক্যময় এ দুনিয়ায় কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। তাই তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের ভাষ্যমতে— ‘দুনিয়ার মুহব্বত সব পাপ ও অনিষ্টের মূল। আর মৃত্যুর স্মরণ নশ্বর জগতের সব আসক্তিকে নির্মূল করে দেয়’।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা মৃত্যুকে কখনও স্মরণ করি না। মনে উদয় হয় না— এই ক্ষণিকালয় ছেড়ে যেতে হবে যে অন্ধকার কবরে। অথচ এই মৃত্যুই পরকালীন অসীম জীবনের সেতুবন্ধ ও চিরস্থায়ী অনন্তযাত্রার বাহন। সেই অনন্তযাত্রার পালকিতে চড়ে পাড়ি দিতে হবে বাস্তবতার দিকে, চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশের পথে। সেদিন ইনসাফের মহামহিমের আদালতে ‘মৃত্যু’ যতটা নিশ্চিত, তার আগমনের সময়কাল ততটাই অনিশ্চিত। পূর্ব নির্ধারিত কোনো শিডিউল নেই। আগাম ঘোষণা ছাড়া হাজির হবে, যেকোনো মুহূর্তে অপ্রত্যাশিত ও অনাকাক্সিক্ষত সময়ে।
‘সূরা নিসার আটাত্তর’ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সতর্ক করেন — ‘তোমরা যেখানেই থাকো, মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই। যদিও তোমরা সুদৃঢ় সুউচ্চ দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করো।’
সুতরাং মৃত্যুর প্রস্তুতি সদা নিয়ে রাখা চাই। চাকচিক্যময় এ দুনিয়ায় কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। তাই তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের ভাষ্যমতে— ‘দুনিয়ার মুহব্বত সব পাপ ও অনিষ্টের মূল। আর মৃত্যুর স্মরণ নশ্বর জগতের সব আসক্তিকে নির্মূল করে দেয়’।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা মৃত্যুকে কখনও স্মরণ করি না। মনে উদয় হয় না— এই ক্ষণিকালয় ছেড়ে যেতে হবে যে অন্ধকার কবরে। অথচ এই মৃত্যুই পরকালীন অসীম জীবনের সেতুবন্ধ ও চিরস্থায়ী অনন্তযাত্রার বাহন। সেই অনন্তযাত্রার পালকিতে চড়ে পাড়ি দিতে হবে বাস্তবতার দিকে, চূড়ান্ত হিসাব — নিকাশের পথে। পার্থিব জীবনের প্রতিটি প্রহরের হিসাব দিতে হবে ইনসাফের মহামহিমের আদালতে। সেদিনের অনুশোচনা কোনো কাজে আসবে না। ইরশাদ হচ্ছে, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে’ (সূরা ইয়াসিন : ৬৫)।
এজন্য আমাদের সকলের উচিত মৃত্যু পরবর্তী হিসাবের পূর্বে, আমরা নিজেরা নিজেদের জীবনের অঙ্ক মিলিয়ে নিই। আমরা কি আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলছি— নাকি তাঁর অবাধ্য হচ্ছি। ইত্যাদির হিসাব মিলিয়ে সঠিক পথে চলতে শুরু করি। নতু'বা মৃত্যুর পর আক্ষেপ করা ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না।
اَللَّهُمَّ ارْزُقْنِيْ فِيْهِ طَاعَةَ الْخَاشِعِيْنَ، وَاشْرَحْ فِيْهِ صَدْرِيْ بِإِنَابَةِ الْمُخْبِتِيْنَ، بِأَمَانِكَ يَا أَمَانَ الْخَائِفِيْن
‘হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে তোমার বিনয়ী বান্দাদের মতো আনুগত্য করার তাওফিক দাও। তোমার আশ্রয় ও হেফাজতের ওসিলায় আমার অন্তরকে প্রশস্ত করে তোমার ভয়ে ভিরু ও বিনয়ী বান্দাদের অন্তরে পরিণত করে দাও। হে আল্লাহ ভিরুদের আশ্রয়দাতা।’
اللهم اغسل قلبي بماء الثلج والبرد، ونق قلبي من الخطايا كما نقيت الثوب الأبيض من الدنس، وباعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب
‘হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে বরফ ও শীতল পানি দিয়ে ধৌত করুন। আর আমার অন্তর গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করে দিন, যেভাবে আপনি শুভ্র বস্ত্রের ময়লা পরিষ্কার করে থাকেন এবং আমাকে আমার গুনাহ থেকে এতটা দূরে সরিয়ে রাখুন, পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তকে পশ্চিম প্রান্ত থেকে যত দূরে রেখেছেন।’
#সৈয়দ মুকসিত
BD JIME ISLAME
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?