30 ב ·תרגם

যখন শুনলাম ও তোমার সাথে প্রেম করে। তখনি তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল। সত্যি কথা বলতে ছেলের আমার হাজার দোষ থাকলেও ওর মনটা অনেক ভালো । ও কখনো মানুষ ঠকাবে না। এই বিশ্বাস রাখতে পারো।  

তোমার সাথে যোগাযোগ করার তো কোনো বুদ্ধি নাই। আর আমার যে ছেলে, ওকে বললে জীবনে তোমাকে বাসায় আনবে না। তাই তোমার জন্য কেনা শাড়িটার মধ্যে চিঠিটা দিয়ে দিলাম। জন্মদিনের দিন অবশ্যই আমাদের বাসায় আসবে। তোমার জন্য মজার মজার সব রান্না করে রাখবো। আর হ্যাঁ, তুমি যে আমাদের বাসায় আসবে সেটা আমার ছেলেকে যেন আগেভাগে বলো না। 

ইতি

তোমার হবু শ্বাশুড়ি। 

চিঠি পড়ে আশার দিকে তাকিয়ে আছি। এমন সময় আবার কে যেন কলিংবেল টিপলো। চিঠিটা আশার হাতে দিয়ে দরজা খুলে দেখি আব্বা। হাতে দুইটা নতুন ঝাড়ু।  আব্বার হাতে ঝাড়ু দেখেই দৌড়ে আমার রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম। আজ আর রক্ষা নাই। ইচ্ছেমত একটার পর একটা কাপড় পরতে লাগলাম। যেন ঝাড়ুর বারি কম লাগে শরীরে। মনে মনে গুনতে লাগলাম আব্বার এটা কততম ঝাড়ুর বারি। ওপাশ থেকে আম্মা দরজা ধাক্কাচ্ছে আর আমি কাপড় পরেই চলেছি।

হঠাৎ ওপাশ থেকে আম্মাই বলে উঠলো ” রোজ, দরজা খোল বাবা। ওরে ভয় পাসনে। এসব তো তোর বাবার প্ল্যানিং”।

প্ল্যানিং 

রিফাত আহমেদ