গল্পের নাম: “তাবুক শহরে সুজনের স্বপ্ন”
নাম তার মোঃ সুজন তরফদার। একদিন গ্রামবাংলার সবুজ মাঠ-ঘাট আর মায়ের আঁচলের ঘ্রাণ ছেড়ে, স্বপ্নের টানে পাড়ি জমায় সুদূর সৌদি আরবের তাবুক শহরে—নবীর দেশের পবিত্র বাতাসে ভরা এক ঐতিহাসিক নগরে।
প্রথমদিকে সবকিছুই ছিল অচেনা। ভাষা বোঝে না, মুখের খাবার কেমন যেন শুকনো লাগে, চারপাশে অজানা সব মানুষ আর কঠিন বাস্তবতা। দিনের পর দিন তাবুকের ঠাণ্ডা হাওয়া আর সূর্যভরা আকাশের নিচে কাজ করে, সন্ধ্যাবেলা ক্লান্ত শরীর নিয়ে সে তাকায় তার প্রিয় বাংলাদেশের আকাশ খুঁজে।
কিন্তু তাবুক শুধু প্রবাসের শহর না, এখানে আছে শান্তি, সুযোগ আর এক ধরণের আধ্যাত্মিক প্রশান্তি। সুজন বুঝে নিয়েছিল, এখানে শুধু কষ্ট নয়—আছে সম্ভাবনা। সততা আর পরিশ্রম দিয়ে সে হয়ে ওঠে কর্মক্ষেত্রে এক বিশ্বস্ত নাম।
নবীর দেশের এই শহরে প্রায়ই সে মসজিদে গিয়ে মাথা নিচু করে দোয়া করে—
“হে আল্লাহ, তুমি আমার মায়ের মুখে হাসি দাও। আমার ভাইবোনদের জীবন সুন্দর করো। আর আমার প্রিয় বাংলাদেশকে দাও শান্তি আর উন্নতির আলো।”
তাবুক শহরের রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় তার চোখে ভেসে ওঠে দেশের রাস্তা, গ্রামের পাশের হাট, আর সেই শৈশবের দিনগুলো। কিন্তু এখন সে জানে, সময় এসেছে স্বপ্ন বাস্তব করার।
প্রতি মাসে যখন সে টাকা পাঠায় দেশে, তখন তার মনে হয়—সে শুধু পরিবারের জন্য নয়, দেশের জন্যও কিছু করছে। গর্বভরে সে বলে—
“আমি মোঃ সুজন তরফদার, আমি সৌদি আরবের তাবুক শহরে থাকি। কিন্তু আমার মন পড়ে থাকে বাংলাদেশের মাটিতে। আমি কাজ করি তাবুকে, কিন্তু স্বপ্ন দেখি বাংলার সবুজে।”
ছোট্ট বার্তা:
"তাবুকের আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আমি ভাবি, আমার হৃদয় কোথায়? উত্তর আসে—বাংলাদেশে। আমি সুজন তরফদার, আমি প্রবাসী—কিন্তু আমার রক্তে বাংলা বইছে।
hanif ahmed Romeo
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Shakil Khan
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Aysha570
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟