পাঠ্যপুস্তক প্রসঙ্গ ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পরে পাঠ্যপুস্তক রচনার উদ্যোগ নেয় কলিকাতা স্কুল-বুক সোসাইটি (১৮১৭)। এর প্রধান কয়েকজন লেখক ছিলেন: রামকমল সেন (১৭৮৩-১৮৪৪), রাধাকান্ত দেব (১৭৮৪-১৮৬৭), তারিণীচরণ মিত্র প্রমুখ। এঁদের গ্রন্থগুলি মূলত উপকথা-নীতিকথা ভিত্তিক। প্রকৃত পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন শ্রীরামপুর কলেজের শিক্ষকগণ। পাঠ্যপুস্তকগুলিতে বিষয়গত প্রয়োজনই প্রাধান্য পায়, ফলে সেগুলির সাহিত্যমূল্য বিচার্য নয়; বরং উল্লেখ্য যে, বাংলা ভাষার পাঠকের কাছে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা বলার যে আবশ্যকতা ছিল এবং তার জন্য যে ভাষা নির্মাণের প্রয়োজন ছিল তা এগুলিদ্বারা সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য বিভাষা থেকে বিষয় ও শব্দ গ্রহণ করাও জরুরি ছিল।
রামমোহন পর্ব বাংলা গদ্যসাহিত্যের প্রথম উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি হলো সন্দর্ভ জাতীয় রচনা। এ ধারার প্রবর্তক রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩)। তিনি বেদান্তের অনুবাদ এবং কিছু মৌলিক গ্রন্থও রচনা করেন। ব্রাহ্মধর্মের প্রচারক হিসেবে হিন্দু ধর্মবেত্তাদের সঙ্গে ধর্ম ও তত্ত্ববিষয়ক এবং সহমরণবিষয়ক সমাজসংস্কার আলোচনা তাঁর মৌলিক রচনার প্রধান বিষয়। তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত গৌড়ীয় ব্যাকরণের জন্যই তিনি সমধিক খ্যাত। এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক বাংলা ব্যাকরণ।
Suraiya Soha
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?