পাগলা কুকুর আর বিচারসভা
এক গ্রামে এক পাগলা কুকুর এসে লোকজনকে তাড়া দিতে শুরু করল। কেউ হেঁটে গেলে তাড়া দেয়, সাইকেল গেলে কামড়াতে আসে, এমনকি হাঁস-মুরগি দেখলেও ধাওয়া করে।
গ্রামের সবাই অতিষ্ঠ! অবশেষে বড় হুজুরের উঠানে এক বিচারসভা বসানো হলো। সভাপতির আসনে চেয়ারম্যান, পাশে হুজুর, একপাশে পীরসাহেব আর চারপাশে গাঁয়ের মানুষ।
চেয়ারম্যান বলল,
— এই কুকুরের বিচার হবে। কেউ কিছু বলো!
একজন বলল,
— আমি কাল বাজার যাচ্ছিলাম, হঠাৎ কামড় দিতে আসছে। জুতা ছুড়ে মারছি!
আরেকজন বলল,
— আমার মুরগির পিছে এমনভাবে ছুটছিল, মুরগি পাখি হয়ে উড়তে শিখে গেছে!
হুজুর গম্ভীর হয়ে বললেন,
— এই কুকুর কি মানুষের ক্ষতি করছে?
— করছে, করছে!
পীরসাহেব বললেন,
— তবে ওর উপর জ্বিন ভর করছে। একে ঝাড়ফুঁক লাগবে!
চেয়ারম্যান বললেন,
— না, ঝাড়ফুঁক পরে হবে। আগে আইন!
— ও কুকুর, আইন কীভাবে চলবে? — এক বৃদ্ধ বলল।
চললো তর্ক—ঝাড়ফুঁক না গুলি? একপাশে হুজুর বলছেন পানি পড়া লাগবে, আরেকপাশে চাচা বলছেন “কুকুরে পানি খাওয়ালে তো বেহাল!”
শেষমেশ ঠিক হলো—একটা পাকা রুটি দিয়ে কুকুরের সামনে রাখা হবে। যদি সে খেয়ে চুপ থাকে, তবে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর যদি আবার ধাওয়া করে, তবে গা ধুইয়ে ঝাড়ফুঁক করানো হবে।
রুটি দেয়া হলো। কুকুর খেয়ে দৌড়ে পালাল।
চেয়ারম্যান বললেন,
— মামলা মিটলো! কুকুর চায় না বিচারসভা, চায় শুধু রুটি আর শান্তি!
#sifat10