বুদ্ধিমান চা-ওয়ালা
এক ব্যস্ত বাজারে নতুন এক চা-ওয়ালা দোকান খুলল। নাম দিল: “বিশ্বের সেরা চা!”
চারদিকে হৈচৈ পড়ে গেল—কে এই নতুন? এত আত্মবিশ্বাস?
প্রথমদিন থেকেই তার দোকানে লাইন! চায়ের স্বাদও খারাপ না, তবে লোকে যেন নামটাই বেশি মনে রাখছে।
পাশের পুরনো চা-ওয়ালা রমিজ কাকু জিজ্ঞেস করল,
— এই নাম রাখলি কেন? এখন থেকে সবাই তো তোর চা খাবে!
চা-ওয়ালা হেসে বলল,
— কাকু, নামেই তো ভোক্তা ধরে ফেলি! খাইয়ে যদি ভুল প্রমাণ করে, তখন তারা নিজেরাই বলে ওঠে—“তাই তো! সত্যিই সেরা!”
রমিজ কাকু ঠোঁট চেপে হাসল,
— বুঝেছি বাপু! বেচারার শুধু চা না, মস্তিষ্কও গরম!
তবে পরদিন সে দেখল, রমিজ কাকুর দোকানে নতুন সাইনবোর্ড ঝুলছে:
“সেরা চা’র গুরু, এখানে শেখে সবাই!”
নতুন চা-ওয়ালা মাথা চুলকায়—“আবার গুরু কে হইল!”
এরপর বাজারে আরেক দোকান চালু হলো:
“তাদের দুজনের চাও এখান থেকে শেখা!”
শেষমেশ বাজারের সবাই চা-ওয়ালা হয়ে গেল। আর মানুষ চায়ের স্বাদ কম, দোকানের নাম শুনে বেশি মজা পেল!
এই কিস্সার শিক্ষা—বুদ্ধি খাটাও, তবে সাবধানে। না হয় চারপাশেই তৈরি হবে বুদ্ধিমান প্রতিযোগী!
#sifat10