একদিনের এক গভীর অন্ধকার রাতে, গ্রামের শেষ প্রান্তের পুরনো বটগাছটার নিচে বসে ছিল কিশোর নামের এক ছেলে। কিশোরের বন্ধুরা সবাই বলত, বটগাছটার নিচে রাতে গেলে নাকি অদ্ভুত সব কান্নার শব্দ শোনা যায়। কিন্তু কিশোর ছিল দুঃসাহসী, ভয় না পেয়ে সে ঠিক করল, আজ রাতে সে একাই যাবে।
বেশ খানিকক্ষণ পর সে বটগাছের কাছে পৌঁছাল। অন্ধকারে সে কাঁপতে কাঁপতে বটগাছের নিচে বসল। হঠাৎ, এক ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে গেল, আর তারপরই শোনা গেল মৃদু কান্নার শব্দ। কিশোরের গা ছমছম করে উঠল, কিন্তু সে উঠে দাঁড়াল না।
একসময় সে বুঝতে পারল, এ কান্নার শব্দ কোনো মানুষের নয়, বরং যেন বটগাছের ভেতর থেকে ভেসে আসছে। সে কাঁপতে কাঁপতে গাছের গুঁড়ির দিকে তাকাল। আচমকা গাছের গায়ে যেন এক দমকা আলো জ্বলে উঠল, আর সেই আলোয় ভেসে উঠল এক বিবর্ণ মুখ – দৃষ্টি যেন শূন্যে স্থির!
কিশোর ভয়ে দম বন্ধ করে ফেলল। মুখটা বলল, "তুমি এখানে কেন এসেছো? ফিরে যাও... এই গাছের অভিশাপ ভাঙবে না!"
কিশোর আর এক মুহূর্তও দাঁড়াতে পারল না। সে দৌড়ে গ্রামের দিকে ছুটল, আর সেই কান্নার শব্দ ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল অন্ধকারের গভীরে...
যদি তুমি আরেকটা ভুতের গল্প চাও, বললে সাথে সাথেই শোনাবো! 👻🖤🌲