#
কনক ::::: কি বলছিস টা কি তুই অনন্যা।তুই ভালো করেই জানিস আমি এইসব অপছন্দ করি।
.
অনন্যা ::::: তুমি অপছন্দ করলে কিছু যাই আসে না।আজকে তোমার কোন কথা শুনা হবে না।তুমি আর ভাবি এখন রোমান্টিক গানে ডান্স করছ এইটাই ফাইনাল।তাড়াতাড়ি আস তোমরা এইখানে।
.
অনন্যা নিজেই ছুটে এসে কনক আর ছোঁয়াকে টেনে ধরে নিয়ে গেল।সামনে ধার করিয়ে দিল।ছোঁয়া আর কনক বুঝতে পারছে না এখন ওরা কি করবে।সবার জোরাজুরিতে দুইজনেই রাজি হয়ে গেল।কনক যখন ছোঁয়াকে টাচ করল তখন ছোঁয়া সাথে সাথে কেঁপে উঠল।কারন জীবনে প্রথম ছোঁয়াকে কোন ছেলে টাচ করল।
.
ছোঁয়া শুধু বারবার কেঁপেই চলেছে।দুইজনের নাচ শেষ।সবাই জোরে জোরে হাততালি দিল।ছোঁয়া লজ্জা পেয়ে উপরে চলে গেল।আর মনে মনে বলছে,,,
.
ছোঁয়া ::::: রাক্ষসটা আমাকে ছুল আর আমার কোনরকমই লাগল না।আর উনি এত এইরকম কেন সকলের সাথেই রাগ দেখিয়ে কথা বলেন।মানছি যে উনি একটা রাগি মানুষ তাই বলে এত রাগ দেখাতে হবে।এত রাগ কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি।
.
কনক ঘরে ঢুকেই দরজাটা আটকিয়ে দিয়ে ছোঁয়ার হাত ধরে টান দিল।অনেক শক্ত করে ধরল হাতটা।কনক অনেক রেগে রয়েছে ছোঁয়ার উপর।ছোঁয়া অনেক ব্যাথা পাচ্ছে।ছোঁয়া আর সহ্য করতে পারছে না।ছোঁয়া একসময় বলে উঠল,,,
.
ছোঁয়া ::::: আমার হাত ছাড়ুন আপনি।আমার খুব ব্যাথা লাগছে।হাতটা ছাড়ুন।
.
কনক ::::: হাতে ব্যথা পান আর হাত কেটেই যাক আই ডন্ট কেয়ার।আজকে দুপুরে বেলাই আমার যা খুশি তাই বলেছেন কিন্তু আমি কিছুই বলেনি তাই বলে ভাববেন না যে রাতে কিছু বলব না।এখনই দেখতে পারবেন আমার কত রাগ।এখন তুমি বুঝবে।
.
এই কথা বলে কনক আরও শক্ত করে ধরল ছোঁয়ার হাতটা।ছোঁয়া আস্তে আস্তে করে চিৎকার করে উঠল।কনক হাতে একটা কাঁচের গ্লাস নিল।তারপর সেটা দূরে ছুড়ে মারল।আর ছোঁয়াকে সেই কাঁচগুলোর উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।
.
ছোঁয়ার হাত দিয়ে অনেক রক্ত পড়ছে।ছোঁয়া কান্না করছে।তারপর কনক ছোঁয়ার উপর কাঁথা আর বালিশ ছুঁড়ে মারল।আর বলল,,,
.
কনক ::::: লাইট টা অফ করে দিয়ে নিচে শুয়ে পড়।
.
কনক এই কথা বলার পর পরই শুয়ে পড়ল।ছোঁয়ার হাত দিয়ে এতই রক্ত পড়ছে যে না বলার মত।ব্যান্ডেজ যে কোথায় রাখা আছে এই ঘরে সেটা তো ছোঁয়া জানেই না।ছোঁয়া একটা পুরনো শাড়ি বের করে তা ছিড়ে হাতটা কোন রকমে বেঁধে রাখল।
.
তারপর লাইটটা অফ করে দিয়ে ছোঁয়া শুয়ে পড়ল।আর কান্না করতে লাগল।কান্না করতে করতে একসময় ছোঁয়া ঘুমিয়ে পড়েছে।আজানের শব্দে ছোঁয়ার ঘুম ভাঙ্গল।তারপর ধীরে ধীরে ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে যেয়ে ওযু টা করে এসে নামাজটা পড়ে নিল।
.
কালকে রাতে যে ছোঁয়ার হাত দিয়ে রক্ত পড়ছিল সেই রক্ত বোঝা যাচ্ছে।তাই ছোঁয়া পুরোনো কাপড়টা পানিতে ভিজিয়ে রক্ত মুছে দিল।তারপর নিচে চলে আসল।নিচে যেয়ে দেখে কনকের মা আমেনা নিচে রান্না করছে।হাতটা লুকিয়ে নিচে নেমে আসল।আমেনা ছোঁয়াকে দেখে বলছে,,,
.
আমেনা ::::: বউমা তুমি উঠে পড়েছ।কিন্তু তুমি এখনও এইভাবে কেন তুমি রেডি হওনি কেন?
.
ছোঁয়া ::::: রেডি কেন হব আম্মু?কোথায় যাব আমি আম্মু?
.
আমেনা ::::: কালকে তোমাকে কি বলেছি তুমি তোমার পড়াশুনা চালিয়ে যাবে।আজকে তুমি কলেজে যাবে।তাই তো বলছি এখনও রেডি হয়নি।
.
ছোঁয়া ::::: সেটা তো আমি বুঝতে পেরেছি আম্মু কিন্তু,,,,
.
আমেনা ::::: কিন্তু কি?
.
ছোঁয়া ::::: কিন্তু আমার বই খাতাগুলো এখনও আনা হয়নি এখানে।তাহলে আমি কি করে কলেজে যাব আম্মু।আজকে না হয় নিয়ে আসি কালকে থেকে না হয় কলেজে যাব আমি।
.
আমেনা ::::: ঠিক আছে তুমি যেটা ঠিক মনে কর।বউমা এই কফিটা কনককে দিয়ে আস।সকালবেলা সময়মত কফি না পেলে ও আবার রাগারাগি শুরু করে দিবে।তুমি তাড়াতাড়ি দিয়ে আস।
.
ছোঁয়া ::::: হুম ঠিক আছে।আমি দিয়ে আসছি।
.
ছোঁয়া উপরে গেল কফিটা নিয়ে।ছোঁয়া উপরে যেয়ে দেখে কনক ঘুম থেকে উঠে গেছে।কনক ছোঁয়াকে দেখে একটু রেগে গেল।ছোঁয়ার হাতে কফি মগ দেখে বলছে,,,,
.
কনক ::::: তুমি আমার জন্য কফি নিয়ে এসেছ কেন?
.
ছোঁয়া ::::: আসলে আম্মু বলল কফিটা আপনাকে দিয়ে আসতে।আমি ইচ্ছা করে আনি নি।আম্মুর কথা তো আর ফেলতে পারি না।
.
কনক ::::: ও।দাও।
.
ছোঁয়া কফি মগটা কনকের হাতে দিল।কনক এক চুমুক দিয়েই বলছে,,,
.
কনক ::::: কফি একদম ঠান্ডা হয়ে গেছে।কতবার বলেছি আমাকে গরম কফি দিতে কে শুনে আমার কথা।তোমার সব দোষ তুমি ইচ্ছে করেই লেট করে নিয়ে এসেছ কফি।
.
ছোঁয়া ::::: কি আমি ইচ্ছে করে লেট করেছি।আমি তো কোন লেটই করেনি।
.
কনক ::::: হ্যা তুমি ইচ্ছে করেই লেট করেছ।
.
এই কথা বলে রাগ দেখিয়ে ছোঁয়ার শরীরে কফিটা ছুড়ে দিল।আসলে কফিটা গরম রয়েছে।কনক ইচ্ছে করেই এই কাজটা করেছে ছোঁয়াকে শাস্তি দেওয়ার জন্য।রাগ দেখিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।
.
ছোঁয়া চলে যাচ্ছে ঘর থেকে।ঘরের বাইরে এসে দেখে আমেনা বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।ছোঁয়া আমেনাকে দেখে বলছে,,,
.
ছোঁয়া ::::: আম