অধ্যায় ৪: সমুদ্রের অন্তরে আত্মদর্শন
সমুদ্র তাকে গিলে ফেলে।
তারা কথা বলে না, শুধু ঢেউ।
কবি বুঝে, সময় মানে শুধু একের পর এক বিস্মরণ,
আর জীবন মানে খালি হওয়া।
সমুদ্র বলে—
"তুমি যাকে কবিতা বলো,
আমি তাকে বলি কান্না।
তুমি যাকে জীবন বলো, আমি তাকে বলি অপেক্ষা।"
অধ্যায় ৫: ঘুমের শহরে দ্বিতীয় জন্ম
পৃথিবীর এক নিঃস্তব্ধ শহরে সে ফের জন্মায়,
এবার সে মানুষ—রক্ত-মাংসের।
কিন্তু স্মৃতি থেকে যায়,
সে মনে রাখে আগুনের প্রেম, সমুদ্রের কান্না।
সে লেখে, দিন-রাত,
লিখে যায় এমন কবিতা যা কেবল শিশুরাই বুঝে।
লোকেরা তাকে পাগল বলে,
কিন্তু সে জানে, পাগল মানে যা সত্যি তা বলা।
অধ্যায় ৬: শূন্যের সুরে বিদায়
শেষে সে আবার ফেরে সেই শূন্যতায়,
যেখান থেকে এসেছিল।
সে বলে, “আমি এসেছিলাম খালি হাতে,
কিন্তু নিয়ে যাচ্ছি কিছু শূন্যতা।”
তখন শূন্যতা তাকে জিজ্ঞেস করে,
"তুমি কি শিখেছ এত জন্মে?"
সে হাসে, বলে,
“ভালোবাসা হারিয়ে যায় না,
শুধু রূপ বদলায়;
জীবন ফুরায় না,
শুধু ভাষা পাল্টায়।”
---
শেষ পঙ্ক্তিগুলো—
তুমি যদি হারিয়ে যাও,
জেনে রেখো—শূন্যতা তোমায় ধারণ করবে।
আর কোনো কবি, একদিন,
তোমার ছায়া দেখে নতুন কবিতা লিখে ফেলবে।
Nirobkhan
Xóa nhận xét
Bạn có chắc chắn muốn xóa nhận xét này không?