গল্পের নাম: ছায়াপথের চিঠি
প্রথম দাদা: রাতের ডাকঘর
গ্রামের ঠিক শেষ প্রান্তে, যেখানে ধানখেত মিলিয়ে গিয়েছে দূরের কুয়াশার সঙ্গে, সেখানে এক পুরনো আমগাছের নিচে ছিল একটা অদ্ভুত ডাকঘর। কেউ জানে না কে বানিয়েছে, কিন্তু শোনা যায়, রাত বারোটার পর সেখানে কেউ একজন চিঠি রেখে যায়।
চিঠিগুলো কেউ দেখে না, কেউ পড়ে না — কারণ সেগুলো থাকে অদৃশ্য। তবে যদি কারো মনে কোনো প্রশ্ন খুব গভীর হয়ে জমে ওঠে, আর যদি সেই রাতে তারা আমগাছের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে একা, তাহলে হয়তো তারা একটা চিঠি পায় — হাওয়ায় ভেসে আসা, মনের ভেতর পড়া যায় এমন এক অদৃশ্য বার্তা।
এই গল্পের শুরু ঠিক সেইরকম এক রাতে, এক কিশোরের সঙ্গে। তার নাম অনির্বাণ।
সে সেদিন রাতে ঘুমাতে পারেনি। তার মনে ছিল একটা প্রশ্ন—
“আমি আসলে কে?”
সে নিঃশব্দে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো, হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেল সেই অদ্ভুত আমগাছটার নিচে। কুয়াশায় মোড়া চারপাশ, পাখিরা নিশ্চুপ, বাতাস থমকে আছে।
হঠাৎ করেই তার কানে এল একটা শব্দ — যেন কাগজের খসখসানি।
তখনই ঘটলো প্রথম অলৌকিক ঘটনা।
আকাশ থেকে নেমে এল এক অদৃশ্য চিঠি, আর অনির্বাণের মাথার ভেতর ভেসে উঠল এক বাক্য:
"তোমার আত্মা বহুকাল ধরে হাঁটছে — তুমি কেবল তার সাম্প্রতিক প্রতিবিম্ব মাত্র।"
অনির্বাণ স্থির হয়ে গেল। বুকের ভেতর যেন এক আলো জ্বলে উঠল।
কিন্তু তখনো সে জানত না — এই চিঠির পর আরও আসছে। আরও রাত, আরও প্রশ্ন, আরও উত্তর।
এবং শুরু হলো এক এমন যাত্রা, যেখানে পৃথিবী শুধু একমাত্র থাম নয়।
Suraiya Soha
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟