৫
তবে হঠাৎ একটি বই হাত ছুঁতেই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটল—
রায়ান দেখল সে ঢুকে গেছে বইয়ের ভিতরে!
সে এখন এক যুদ্ধক্ষেত্রে,
মধ্যযুগীয় সৈন্যের রূপে,
কাঁধে তলোয়ার, সামনে শত্রু।
৬
বুঝল—এই লাইব্রেরি আসলে একটা "স্মৃতির জাদুঘর"।
যারা ভুলে গেছে, যারা চাপা দিয়েছে, যারা হারিয়ে গেছে—
তাদের জীবনের এক টুকরো এখানে ধরা থাকে।
কিন্তু কে তৈরি করেছে এই জায়গা?
৭
তাদের দেখাশোনা করে এক প্রাচীন রোবট-মতো সত্তা—নাম ইয়ান।
ইয়ান বলে,
“তুমি প্রথম যে নিজের ইচ্ছায় এ জায়গায় এসেছে।
তুমি চাইলে অন্যদের ভুলে যাওয়া সত্য ফিরিয়ে দিতে পারো।”
রায়ান প্রশ্ন করল, “কিন্তু আমি তো শুধু বই ভালোবাসি!”
ইয়ান বলল,
“সত্যি ভালোবাসলে, বই তোমাকে নিয়ে যাবে এমন জায়গায়,
যেখানে তুমি নিজের গল্পটাই নতুন করে লিখতে পারো।”
---
শেষাংশ
রায়ান এখন হেমলক লাইব্রেরির একজন "সংরক্ষক"।
সে বাইরের জগতে ফিরেছে ঠিকই,
কিন্তু প্রতি সপ্তাহে সে গোপনে নতুন একেকটা স্মৃতির বই উদ্ধার করে,
আর হারানো সত্যের গল্প ফেরত দেয় মানুষকে।
আর লাইব্রেরির লাল দরজাটা এখন আর কেউ ভয় পায় না—
কারণ এখন সেটা একটা প্রবেশপথ—
ভবিষ্যতের দিকে।
---
শেষ।
---