মদিনা (আরবি: المدينة) : অর্থ শহর, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা থেকে হিজরত করে এখানে আগমনের পর এর নাম মদিনা রাখা হয়।
এ শহরকে ‘তাইবা’ নামেও ডাকা হয়, যা আরবি শব্দ ‘তিব’ (طيب) থেকে এসেছে—অর্থ ‘স্নিগ্ধতা বা পবিত্রতা’। আরেকটি নাম হলো ‘দারুল হিজরাহ’।, যার অর্থ ‘হিজরতের স্থান’। কারণ, এখানেই নবীজি (সা.) হিজরত করেছিলেন।
প্রথম বসতি ও উপজাতি
মদিনার ওয়াসিস অঞ্চলে প্রথমে দুটি কাবিলা বসতি গড়ে তোলে। তারা হলো বানু মাতরাওয়ীল ও বানু হাওফ। এই দুই গোত্রের বংশধারা নবী নূহ (আ.)-এর ছেলে শাম থেকে এসেছে। পরবর্তী কালে ইয়েমেনি গোত্র বানু আওস এবং বানু খাযরাজ মদিনায় এসে বসতি স্থাপন করে।
নবীজি (সা.)-এর ইয়াসরিবে আগমনে স্থানীয় সব ধর্মবিশ্বাসের এবং সব গোত্রের সব অধিবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁকে শান্তির দূত ও অভিভাবক হিসেবে সানন্দে মেনে নেয়। মহানবী (সা.)-এর আগমনে আনন্দে উদ্বেলিত জনতা নিজ শহরের নাম বদলে ফেলে রাখলেন মাদিনা। তখন থেকেই ইয়াসরিব হয়ে যায় মদিনা।
মদিনা সনদ
মানব ইতিহাসের প্রথম লিখিত সংবিধান রচনা করেন নবী মুহাম্মদ (সা.)। এটি মদিনা সনদ নামে পরিচিত। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে হিজরতের পর মহানবী (সা.) এই লিখিত সংবিধান রচনা করেন।
এটি ছিল ইতিহাসের প্রথম লিখিত সংবিধান। এর মাধ্যমে মুসলিম ও ইহুদিদের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ করা হয়। সকল সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়।
ইসলামি শাসনের কেন্দ্র মদিনা
নবীজি (সা.)-এর সময় এবং পরে ইসলামের প্রথম চার খলিফা এর আমলে মদিনা ছিল ইসলামি সাম্রাজ্যের রাজধানী। পরবর্তীতে উমাইয়া খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হলে রাজধানী দামেস্কে স্থানান্তরিত হয়।