#
হৃদি বোর ফিল করছে। হান্নান খান একটা কল অ্যাটেন্ড করতে গিয়েছে।
আরহাম একটা সুট পরে হৃদির দিকে তাকায়।
হৃদির দৃষ্টি যেন আঁটকে গেল সে দিকে,
কি অসম্ভব সুদর্শন দেখা যাচ্ছে তাকে। হৃদির দেখার মাঝেই লোকটা আরহামের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
"একটু দেখতেও দিল না ভালো করে। "
মনে মনে কথা গুলো বলে, হৃদি চোখ সরিয়ে পাশে থাকা পানি তুলে নেয় হাতে।
"পার্ফেক্ট একেবারে ম্যানিকিনের মত আপনার শরীর টা।। কিভাবে এত সুন্দর।"
আরহাম ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে।
লোকটার চোখের হাবভাব ভালো ঠেকছে না তার৷
"এরকম বডি আমি জীবনে প্রথম দেখলাম। "
কথাটা বলে লোকটার হাত আরহামের বুকে চলে যায়।
আরহাম চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে পড়ে।
হৃদি মাত্র পানি মুখে দিয়েছিল।
লোকটার কান্ড দেখে সেটা বিষম খেয়ে পানি সব বাইরে বেরিয়ে আসে।
আরহাম, লোকটার হাত সরিয়ে দু কদম পিছিয়ে যায়।
"স্টপ দেয়ার।"
চিৎকার করে ওঠে আরহাম।
হৃদি শব্দ করে হেসে দেয়।
আরহাম রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হৃদির দিকে। কিন্তু হৃদি সেত হৃদি-ই। হাসি তার থামছে না।
আরহাম হৃদির হাত ধরে ওকে টেনে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।। ওদিকে ডিজাইনার লোকটা পেছন থেকে আওয়াজ দিচ্ছে,
"স্যার কোন সুট পরবেন ডিসাইড করলেন না।"
হৃদির হাসি থামছে না।
সে কন্ট্রোললেস হয়ে হাসতেই আছে।
"থাম৷"
হৃদির যেন কোন ইচ্ছাই নেই হাসি থামানোর।
আরহামের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।
কিন্তু পরক্ষণেই হৃদির হাসির শব্দে মুগ্ধ হয়ে যায়।
দৃষ্টি স্থির রেখে মেয়েটার গাল ভরা হাসি উপভোগ করতে থাকে।
ডাইনিং টেবিল থেকে পানি নিয়ে রুমের দিকে যাচ্ছিল আসরাফ খান।
তার রুমের কাছেই হৃদির হাসির শব্দ শুনে পা থেমে যায় তার।
আসরাফ খান দু কদম এগিয়ে যায়।
তার সামনের দৃশ্য স্পষ্ট।
হৃদি হাসছে এবং তা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছে আরহাম। বিষয়টা তার কাছে মোটেই ভালো লাগল না।
"অনেক দুর গড়িয়ে যাচ্ছে জল। এবার বাঁধ দিতেই হবে।"
সেখানে তার ছেলে উপস্থিত। এই মুহুর্তে সেখানে ব্যাঘাত ঘটানোর ক্ষমতা আসরাফ খানের নেই। তাই তিনি নিজের রুমে চলে যায়।
আসরাফ খান যেতে আরহাম এগিয়ে আসে হৃদির দিকে এক কদম।
হৃদির হাসি বন্ধ হয়ে যায়।
সে এক কদম পিছিয়ে যায়।
"তোর হাসির চেয়ে কান্নাটা আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর, বিহঙ্গিনী।
হয়তো আমি-ই প্রথম পুরুষ, যে তোর হাসির চেয়ে কান্নাকে বেশি ভালোবাসে। তবে তোর ওই কান্না শুধুমাত্র আমার দেওয়া যন্ত্রণায় তোর সহ্য ক্ষমতা হারানোর পর হতে হবে।
তাহলে বেশি আনন্দ লাগবে। অন্যের জন্য কান্না করার পারমিশন তোর নেই। "
হৃদি স্তব্ধ হয়ে গেছে। কথা গুলোতে কেমন মাতাল করা অনুভুতি প্রকাশ পেল।
হটাৎ সেখানে হান্নান খান উপস্থিত হয় ওদের খুঁজতে খুঁজতে,
"দাদুভাই। কি ব্যাপারা তোমরা এখানে কেন?"
হৃদি হাসি থামিয়ে দেয়।
"কাল কি পরবে ঠিক করেছো?"
কথাটা শুনে হৃদি আবারো হেসে দেয়।
"কি হলো তুমি হাসছো কেন?".
আরহাম বিরক্ত হয়ে চোখ ঘুরিয়ে নেয়।
" আমি দেখে নেব দাদা। এখন ঘুমাতে যাও।"
"ঠিক আছে। গুড নাইট "
হৃদি নানার দিকে তাকিয়ে শব্দ করে হাসি থামিয়ে দেয়। তারপর একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে,
"আমিও ঘুমাব দাদা। টাটা।"
হৃদি চলে যায় প্রেমার রুমে।
আরহাম তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়। এবং ধিরে বলে ওঠে,
"পাগলী একটা৷"
"হুম পাগলের পাগলী।"
"স্টপ ওল্ড ম্যান।"
"ওল্ড ম্যান মাই ফুট৷"
আরহাম হেসে দেয়।
"তোর বিহঙ্গিনী তোর আসল পরিচয় জানলে তোকে মেনে নেবত?"
"না মেনে নিলে বন্দি করব। তবুও ওকে আমার জীবনেই আসতে হবে।"
"লুসিফার। ক্লেইম ডাউন। রাগান্বিত হয়ে সব কিছু হাসিল হয়না৷"
"She is mine. And she have to accept it. By hook or by crook. "
হান্নান খান দীর্ঘশ্বাস ফেলেন৷ এবং চলে যায় নিজের রুমে।
আরহামও তার রুমে চলে আসে। উত্তরে বাতাস বইছে। আরহামের মাস্টার বেডরুমে উপর দিকে একটা সুন্দর বড় জানালা আছে।
কিন্তু কথ হলো এই জানালা বন্ধ ছিল।
তবে এখন খোলা কিভাবে।
আরহাম এগিয়ে যায়।
আরহাম