গল্প
— আচ্ছা আচ্ছা, দিলাম!
জারা আবার শট নেয়। এবারও চারটে মিস! শেষবার একটায় মাহিদ ভাই ইচ্ছা করেই একটু আলগা হয়ে দাঁড়ান, আর সেই সুযোগেই জারা দেয় গোল!
জারা খুশিতে লাফিয়ে উঠে, দুই হাত বুকের সামনে বাজ করে বলে,
— আমি পেরেছি! দেখেছেন, আমি পারি!
মাহিদ ভাই হেসে মাথা নাড়িয়ে বলেন,
— হুঁ, দশটার মধ্যে একটায় গোল! বাহ!
— একটা তো দিয়েছি! এবার আপনি মারেন, সবগুলো আটকে নিব একটাও দেওয়ার চান্স নেই।
মাহিদ ভাই এবার বল নিয়ে এগিয়ে আসতে আসতে বলেন,
— ঠিক আছে, এবার আমি শ্যুট করি, তুই গোলকিপার! দেখি কে জেতে!
খেলা শুরু হয়। জারা চেষ্টা করে, কিন্তু মাহিদ ভাই একের পর এক গোল দিতে থাকেন। শেষদিকে দুটো শট মিস করেন ইচ্ছা করেই। জারা হেরে গিয়ে হতাশ হয়ে বল তুলে ওনার দিকে এগিয়ে যায়,
একটু ভাব নিয়ে বলে,
— আপনি চিটিং করেছেন! আর আমি ইচ্ছে করেই আটকাইনি আমি চাই না আমার মাহিদ ভাই হেরে যান। তাই আটকাইনি নয়তো আপনি কখনোই জিততেন না!
মাহিদ ভাই এটা শুনে ঠোঁটের কোণে একটুখানি দুষ্টু হাসি টেনে বলেন,
— ভাগ্যিস বেডি মানুষ ফিফা বিশ্বকাপ খেলে না! নয়তো ট্রফি মুখের জোরেই জিতে নিত!
জারা গাল ফুলিয়ে বলে,
— অপমান করবেন না! বলে দিলাম!
মাহিদ ভাই একটু ঝুঁকে ওর চোখে চোখ রেখে মুচকি হেসে বলেন,
— ওরে আমার সম্মানি জারা রেহ্।
বৃষ্টির ঝিরঝির ধারা নেমে এসেছে এতক্ষণে। চারপাশে ছায়া ঘনিয়ে এসেছে সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে। এটা দেখে জারা মাহিদ ভাইয়ের হাত শক্ত করে ধরে বলে উঠে
--চলুন চলুন তাড়াতাড়ি ঘরে যাই, বৃষ্টি এসে গেলো!”
কিন্তু মাহিদ ভাই নড়েন না। উল্টো জারাকে নিজের সামনে এনে দাঁড় করিয়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে মৃদু গলায় বলেন,
—আজ চল, দুজনে মিলে একটু বৃষ্টি বিলাস করি।
— না না, কাল আমাদের বিয়ে! আজ যদি ভিজে গিয়ে জ্বর উঠে যায়!
মাহিদ ভাই হেসে বলেন
— জ্বর উঠবে না। যদি উঠে, আমি তো আছি না।আমার ভালোবাসার উষ্ণতায় সব শুকিয়ে যাবে।”
জারা কিছু বলে না। কেবল মাথা নিচু করে থাকে। তখন মাহিদ ভাই ধীরে ধীরে হাত বাড়িয়ে ওর হিজাব সরিয়ে নিতে নিতে বলেন,
— তোর ভেজা চুলে ডুবে যেতে মন চাচ্ছে ভীষণ করল।”
জারা তখন মাথা ঠেকিয়ে দেয় ওনার বুকে, মৃদু স্বরে বলে,
— ডুব দিন।
হিজাবটা হাত থেকে পড়ে যায় উনার। মাহিদ ভাই আলতো করে জারাকে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরেন। ওর ভেজা চুলে মুখ গুঁজে দেন। এতক্ষণে বৃষ্টি ঝুম-ঝুমিয়ে পড়তে শুরু করেছে।বৃষ্টিতে ভিজে ভরপুর জারা আর মাহিদ ভাই। জারার চুল ভিজে টুপ টুপ করে পানি পড়ছে! সেই ভেজা চুলেই মাহিদ ভাই মুখ গুঁজে দাঁড়িয়ে আছেন ওকে বুকে আগলে নিয়ে! মাহিদ ভাই এর উষ্ণ নিশ্বাসের ছোঁয়ায় -জারা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে! শক্ত করে খাবলে ধরে মাহিদ ভাইয়ের পিঠের অংশের জার্সিটি। মাহিদ ভাই ফিসফিসিয়ে বলেন,
— আমার বুকের একাংশ জুড়ে আছো তুমি, আর তোমার চুল, প্রিয়তমা!
জারা হেসে উঠে। মাহিদ ভাইয়ের মুখে "প্রিয়তমা" শব্দটা ওর প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। দুনিয়ার সব সুখ ওর বুকের ভেতর ঢুকে যায়।
জারা মাথা তুলে ওনার মুখের দিকে তাকায়। ভেজা চুল দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে মাহিদ ভাইয়ের মুখ বেয়ে। কী অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য!
মাহিদ ভাইও ওর চোখের ন্যায় এক দূষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন - আর জারাও তাকিয়ে রয়! চারপাশে বৃষ্টি রহমতের ন্যায় বর্ষিত হচ্ছে! আর তার মধ্যে দুজন একে অপরের চোখে হারিয়ে গিয়েছে! কি অমায়িক দূশ্য। হঠাৎ জারা ওনার বুকে হাত দিয়ে এক পাশে জার্সিটা টেনে বল,
— একাংশ আমার? তবে আরেক পাশটা কার জন্য?”
মাহিদ ভাই মুচকি হেসে বলেন,
— আম
Mdemran11
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?