,
‘পার্টি অফিসে রাতে চলে আসবো, আপনার ওখানে দেখা করবেন। বলে ব্যস্ত পায়ে হেঁটে বের হয়ে আসে।
আরিশ কে বের হতে দেখে আয়ান ও ব্যস্ত পায় হেঁটে বের হয়ে আসে,আরিশ গাড়িতে উঠে চোখের উপর হাত দিয়ে বসে থাকার মধ্যে ওর ফোনে ফোন আসে, আরিশ ফোন বাজতে দেখে চোখের উপর থেকে হাতটা সরিয়ে দেখে স্কিনে বাবাই নামটা ভেসে উঠছে। এটা দেখে আরিশ শত ক্লান্তির মাঝেও মুচকি হেসে ফোনটা রিসিভ করে বললো,
‘আসসালামু-আলাইকুম বাবাই।
‘অলাইকুম-আসসালাম।
‘কেমন আছো বাবাই?
‘ফাইন মাই সন, এই বাবাই টাকে তো একদম ভুলেই গেছো?
‘না বাবাই, দেশে ফেরার পর ইলেকশনের কাজে সময়টা অনেক বিজি কাটছে। তাই সময় করে,,
‘হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি বাবা, এইমাত্র লাইভ দেখলাম বাংলাদেশের, তুমি এমপি নেতৃত্ব পেয়েছ।
‘ছোটু কই বাবাই?
‘ও বিজনেস ডিল করতে আমেরিকা গিয়েছে। আজকে ফ্লাইট ল্যান্ড করার কথা।
‘মামনি কেমন আছে?
‘তোমার মামনি একদম তোমাকে ছাড়া ভালো নেই, সারাক্ষণ শুধু ‘লুসিয়ান’ আর তোমার কথা মুখে থাকবেই।
‘মামনির কাছে ফোনটা দাও।
‘ইন্দিয়া ত্যাইনিন’ ফোন টা ওনার স্বামী ‘জিয়ানলুইজি গেন্টানার’ এর কাছ থেকে নিয়ে অভিমানী কন্ঠে বললেন,
‘আমার কাছে আর ফোন দিয়ে কি করবে?শুনি?কেউ কি খবর নেয় আমার?
‘মামনি আই এম সরি, আসলেই ব্যাস্ত ছিলাম।
‘ঠিক আছে এইবারের মতো মেনে নিলাম, তবে দেশে যে বউয়ের জন্য ফিরলে তাকে তো একটা নজর আমাকে দেখালে না?
‘আসলে মামনি বিষয়টা মাথা থেকে বেরিয়ে গেছিল।
‘ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন’ জানেন আরিশ কেমন টাইপের ছেলে, ব্যক্তিগতভাবে উনি আরিশ কে আরিশের ব্যক্তিত্বের জন্য ভীষণ ভালোবাসেন। ঠিক যতটা উনি উনার লুসিয়ান কে ভালবাসেন ঠিক ততটাই। তাই আবারো অভিমানী কন্ঠে বললেন,
‘আমি এতকিছু জানি না আমার বউমাকে আজকেই দেখাবে।
‘ঠিক আছে মামনি আমি তোমাকে সন্ধ্যায় ভিডিও কল দিব।
‘হুম।
‘মামনি, লুসিয়ান ব্যাক করলে আমাকে ফোন দিতে বল।
‘হুম সে আমি তোমাকে বলতেও ফোন দেবে, আর না বললেও দিবে, এই কিছুদিন বিজনেস নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাগলামিটা একটু কমেছে। আর নয় তো তুমি ছাড়া তার নাকি চলেই না।
আরিশ আরো কিছুক্ষণ ওনাদের সাথে কথা বলে ফোনটা রেখে দেয়। আকাশে কালো মেঘের হাতছানি, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থেকে মুষলধারে নামবে নামবে ভাব। নামবে কি বৃষ্টি ছুপছুপ করে পুরো শহরে বর্ষণ করতে শুরু করে দিয়েছে। খিচে বৃষ্টি নামতে দেখে খান বাড়ির মেয়েদের আর পায় কে?রোদ, ইভা,ফারি জুথি,মনি সবগুলো একসাথে দৌড়ে ছাদে এসে মনের আনন্দে ঘুরঘুর করে ঘুরতে লাগলো আর বৃষ্টিকে উপভোগ করতে লাগলো। ফারি তো গান গাইতে গাইতে নাচ শুরু করল,
Aaj cham cham cham chalein
Mere sang sang sang
Tu hai jahaan main hoon wahaan
Saath chalti rahoon
Barsaat mein
Le ke tujhe
Bheegti rahoon
Tere hi baahon mein
Baahon mein reh loon…
মুষলধারা বৃষ্টির মধ্যে সবগুলো নাচছে আর যার যে গান মনে পড়ছে সে সেটাই বলছে, পাশাপাশি ইতিমধ্যে খান বাড়িতে খবর পৌঁছে গেছে, আরিশ ইলেকশনে বিজয় হয়েছে। এ নিয়ে বাড়ির কীর্তি দের আনন্দে মিষ্টি খাওয়ার জম চলছে। এমন সময় আরিশ আয়ান ভেজা শরীর নিয়ে খান বাড়িতে প্রবেশ করে, সানজিদা খান আরিশ কে দেখে ওর কাছে গিয়ে বললেন,
‘বাবার নাম রেখেছো?
‘আম্মু আমি ওনার নাম শুনতে চাই না।
‘উনি ভীষণ খুশি হয়েছে।
‘,,,,,,,,।
আরিশ কে চুপ করে থাকতে দেখে উনি নিঃশ্বাস ফেলে বললেন,
‘ভিজে আছো জামা কাপড় পাল্টে আসো।
‘মৌ কোথায়?
‘ওরা সবাই ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে গেছে।
আরিশ আর দাঁড়ালো না ও ভাবেই দ্রুত পায়ে উপরে ওঠে ছাদের দিকে চলে আসে,জুথি ওড়নাটা শরীর থেকে খুলে একটা পাশে রেখে ফারি কে চোখ টিপ দিয়ে barso re,, গানটা গাওয়ার সাথে নাচতে শুরু করল,
Barso re megha megha barso re
Aaye hain tujhe pukarane
Barso re megha megha barso re
Aaye hain tujhe pukarane
Chheda hai jahan mein aaj
Mujhko wohi dhoonde jaa
Barso re megha megha barso re
Aaye hain tujhe
Suraiya Soha
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?