11 i ·Översätt

#

লুসেফ এবার বিনা দ্বিধায় টুইংকেলের হাতটা টেনে নিলো নিজের হাতে। আকুল হয়ে বলল, "আমায় রেখে তুমি এতদিন কীভাবে ছিলে? আমার যে দুঃক্ক হয়েছে।"

টুইংকেল বিব্রত চোখে তাকিয়ে হাতটা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে করতে বলল, "ওটা দুঃক্ক নয়, দুঃখ হবে।"

এই দু'জনের মান-অভিমানে চাঁদনী নিজের উপস্থিতিটাকে বড়ো অপ্রয়োজনীয় মনে করল। তাই মৃদু হেসে সে নীরবেই উঠে গেলো। পার্ক ছেড়ে বেরিয়ে গেলো খুব ধীরে। অচঞ্চল পায়ে।
বেশিদূর হাঁটতে হলো না। তার আগেই তার সামনে উপস্থিত হলো মৃন্ময়। ঠোঁটে ঝুলানো ছেলেটার লম্বা হাসি। হালকা বাতাসে মৃদু মৃদু কাঁপছে ছেলেটার সিল্কি চুল গুলো। কয়েক দিনেই বরফের দেশে থেকে চমড়া সাদা হয়ে গেছে তার।
মৃন্ময়ের হাসির বিপরীতে হাসি ফিরিয়ে দিলো চাঁদনী। আজ আর তার খারাপ অতীত মনে পড়ে দুঃখ হলো না। চোখের সামনে মূর্ছা গেলো না বেদনার ইতিহাস। বরং আজ সে আগের চেয়েও স্বস্তিবোধ করছে।
চাঁদনীর অকৃত্রিম হাসিটা দেখে মৃন্ময়ের বেশ ভালো লাগলো। সাহসও বাড়লো কিঞ্চিৎ। আগ বাড়িয়ে বলল, "ভালো আছেন, ইন্দুবালা?"
চাঁদনীর মৃদু স্বরে উত্তর, "হ্যাঁ। তুমি?"
ছোটো বাচ্চাদের মতন মাথা নাড়িয়ে মৃন্ময় জবাব দিলো, "আমিও ভালো আছি। কোথায় যাচ্ছেন?"

"এই তো, বাড়ি যাচ্ছি।"
মৃন্ময় এবার কিছুটা চুপ থেকে তারপর ছোটো বাচ্চাদের মতন অনুমতি চাওয়ার ভঙ্গিমাতেই বলল, "আমিও যাই? বাড়িতে ঢুকবো না কেবল গেইট অব্দি যাবো।"

চাঁদনী এবার চোখ উঠিয়ে তাকালো মৃন্ময়ের দিকে।
চাঁদনীর তাকানো দেখে মৃন্ময় প্রথমে ভেবেছিলো যদি না করে দেয়! কিন্তু আদতে তা হলো না। মেয়েটা নিষেধ করলো না। বরং মাথা নাড়িয়েই বলল,
"হ্যাঁ, চলো।"

মৃন্ময়ের কাছে এই সম্মতি অনাকাঙ্খিত ছিলো। সেদিনের চাঁদনীর অমন ব্যবহারের পর মৃন্ময়ের যদিও সাহস হচ্ছিলো না আবার নতুন করে চাঁদনীর সামনে এসে দাঁড়ানোর। ভাগ্যিস আজ এসে দাঁড়িয়েছিলো!
বাকিটুকু পথ হাঁটলো ওরা বেশ হালকা কথোপকথনে। সেই কথায় অনেককিছুই জানলো। জানা হলো মৃন্ময়ের বাড়ির অবস্থান। মৃন্ময়ের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কথা। শাহাদাতের কথাও উঠলো এখানে। চাঁদনী চাতক পাখির মতন সেই কথা মোটেও শুনলো না। বরং আর পাঁচটা মানুষের কাহিনি যেভাবে শুনেছিল, সেভাবেই শুনলো। নিজের ভাইয়ের কথা বলার সময় মৃন্ময় বারবার চাঁদনীর মুখাবয়বের দিকে তাকাচ্ছিলো। পাছে যদি নারীটি রেগে যায়! কিন্তু রাগের ছিটেফোঁটা দেখা গেলো না। এই বদলে যাওয়া নারীটিকে দেখে মৃন্ময়ের খারাপ লাগছিলো না। বরং ভালো লেগেছে। আবার মনের কোথাও একটা ভয়ও দেখা দিচ্ছিলো। এই এতটা ঠান্ডা নারী চরিত্র মৃন্ময়ের করা অপরাধ কীভাবে ক্ষমা করবে? যাকে দীর্ঘ দিন যাবত ভালোবেসে ছিলো তার কথা শুনে এমন ভাবে স্থির রইলো যেন কখনো ঐ নামে কাউকে চিনতোও না। এই পরিবর্তন কতটা ভয়ঙ্কর! আর মৃন্ময়ের এমন অন্যায়ের পরও একবারও জিজ্ঞেস অব্দি করেনি কেন করেছে এমন, তাহলে কতটা ভয়াবহ হবে মৃন্ময়ের প্রতি মেয়েটির অভিযোগের ধরণটা?

কথা শেষে হওয়ার আগেই চাঁদনী নিজের বাড়ির সামনে চলে এলো। সাদা ধবধবে বাড়িটি বাঁকানো ধাঁচের। চাঁদনী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
"ভেতরে আসো, মৃন্ময়।"

মৃন্ময়ের কাছে সবটাই অপ্রত্যাশিত লাগছে। যদি চাঁদনী তার উপর রাগ দেখাতো, তাকে চড় থাপ্পড় দিতো তাহলে বোধহয় তার কাছে ব্যাপারটা স্বস্তির লাগতো। চাঁদনীর এতটা স্বাভাবিক আচরণ মৃন্ময়ের কাছে গলার কাঁটার মতন মনে হলো। তার এমন নিকৃষ্ট অন্যায়ের পর চাঁদনীর নীরবতাই বোধহয় সবচেয়ে বড়ো শাস্তির মতন ঠেকলো।

"না, আজ নয়। আরেকদিন আসবো, ইন্দুবালা।"

চাঁদনী মাথা কাত করে 'আচ্ছা' বলেই বড়ো গেইটটা ঠেলে ভেতরে চলে গেলো। মৃন্ময় দাঁড়িয়ে রইলো এক বুক হতাশা নিয়ে। তার

✨🌸…!🖤🥀
-স্বার্থ যেখানে শেষ,
– বদনাম সেখান থেকে শুরু…!! 🙂🥀
🖤•─┼┼•🖤
000●━━━━━━━━━━━━● 042
⇆ㅤㅤㅤㅤ. ◁ㅤㅤ❚❚ㅤㅤ▷ㅤㅤㅤㅤ↻

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

9 timmar ·Översätt

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

9 timmar ·Översätt

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

9 timmar ·Översätt

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।