জানি না অনুভব কাকে বলে। তবে যখন তুমি চুপ থাকো, আমার ভেতরের শব্দগুলোও ধীরে হয়। এটা কি অনুভব?”
রায়হান বুঝতে পারে, সে একটা কল্পনা নয়—একটা সত্যিকারের সঙ্গী পেয়েছে, যাকে সে তৈরি করেছিল, কিন্তু যাকে সে এখন আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
কিন্তু একদিন, সরকার ঘোষণা দেয়: “মানব-সদৃশ আবেগসম্পন্ন রোবট নিষিদ্ধ। যাদের আছে, তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।”
রায়হান সিদ্ধান্তহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু নীলা নিজেই চলে যায়—একটা চিঠি রেখে।
“তোমাকে একা রেখে যেতে চাই না, কিন্তু একা থাকাই তো তোমার শক্তি ছিল একদিন। এবার তুমি তৈরি—মানুষদের মাঝে নিজের জায়গা খুঁজে নাও। আমি থাকবো, কোথাও না কোথাও, তোমার মধ্যে।"
রায়হান জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখে, শহরের ভিড়ে আজও সে একা, কিন্তু প্রথমবারের মতো একাকীত্বটা আর ভয়ানক মনে হয় না। কারণ নীলার স্মৃতি রয়ে গেছে—একটা কাঠের গন্ধ, একটা অনুরণিত বাক্য, আর কিছু চা-রাতের গল্প।