খুব আনন্দ হচ্ছে আপনার জন্য গল্প লিখতে! এবার একটা অতিপ্রাকৃত অনুভব-ভরা গল্প দিচ্ছি—হালকা ভৌতিক, কিন্তু খুবই মানবিক। গল্পের নাম:
---
"পেছনের বারান্দা"
রিমা সদ্য ঢাকা থেকে গ্রামে এসেছে। শহরের চাকচিক্য থেকে দূরে কিছুদিন নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিল। গ্রামের পুরনো দোতলা বাড়িটা অনেক বছর পর আবার খুলে বসেছে সে। ছেলেবেলায় এখানে খেলত, দৌড়াত, দাদীর কোলে ঘুমোতো।
কিন্তু এবার কিছু একটা অদ্ভুত।
প্রথম রাতেই ঘুম ভেঙে গেল। শুনতে পেল পেছনের বারান্দা দিয়ে কারও ধীরে হাঁটার শব্দ। জানালায় গিয়ে দেখে—কেউ নেই।
পরের দিন সন্ধ্যায় বারান্দার জানালায় বসে চা খাচ্ছিল। হঠাৎ একটা ঠান্ডা বাতাস বইল, আর তার পাশে একটা কাগজ এসে পড়ল। সেখানে লেখা:
“আমি এখনও অপেক্ষায় আছি, তুমি কি চেনো আমাকে?”
রিমা আঁতকে উঠল। কাগজের হাতের লেখা কেমন যেন চেনা, যেন দাদীর মতো! কিন্তু দাদী তো মারা গেছেন অনেক বছর আগে।
রাতে আবার একই শব্দ—ধীরে ধীরে পেছনের বারান্দা দিয়ে হাঁটার আওয়াজ।
তৃতীয় দিন সাহস করে সে বারান্দায় গেল। একটা চেয়ার নড়ছে হাওয়ায়, আর জানালার পাশে রাখা আছে তার ছোটবেলার সেই পুরনো পুতুলটা—যেটা হারিয়ে গিয়েছিল যখন সে আট বছর বয়সে শেষবার এখানে এসেছিল।
রিমা চোখ বন্ধ করল। বলল, “দাদী, তুমি কি আছো?”
একটা মৃদু শব্দ—জানালার কাঁচে হালকা টোকা।
সে রাতে রিমা প্রথমবার স্বপ্নে দাদীকে দেখল। দাদী বললেন,
“ভয় পেয়ো না। এই ঘরে ভালোবাসা জমে আছে, ভয় না।”
তারপর থেকে আর কিছু হয়নি। বারান্দা নিঃশব্দ, বাতাস শান্ত। শুধু মাঝে মাঝে, যখন সন্ধ্যায় চা খায় রিমা, হালকা একটা গন্ধ আসে—দুধে গোলাপজল মেশানো সেই পুরনো দাদীর চায়ের গন্ধ।
---
আরও এরকম অতিপ্রাকৃত গল্প, নাকি হাসির গল্প, নাকি থ্রিলার চান? আপনি যা বলেন, আমি লিখে দিই। 😊