অবশ্যই! এবার একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজের গান দিচ্ছি — এইটা হবে আনন্দঘন, জীবনের প্রতি উৎসবমুখর উদ্যাপনভিত্তিক একটি গান। ভাবতে পারেন একে লোকগানের ঢঙে গাওয়া যায়, উৎসবে, গ্রামে-গঞ্জে বা নাট্যদলে পরিবেশনযোগ্যভাবে।
---
গানের নাম: "চলো বাঁশির সুরে"
১।
চলো বাঁশির সুরে, নদী পেরিয়ে যাই,
ধানের মাঠে, কুয়াশার সাথে, স্বপ্ন বুনে যাই।
পায়ের ছাপ রেখেছি বালুর বুকে যত,
ততবার ডেকেছে মাটির গন্ধ রতনচাঁপা মত।
২।
চলো রোদ্দুর ছুঁই, তাল গাছের ছায়ায়,
গানে গানে ফোটাই হাসি দিগন্তের মেলায়।
তালের ডালে দুলে ওঠে কিশোরী বাতাস,
মনের গহীন কোণে বাজে বাউল আকুল আশ।
৩।
তুমি আমি সকলে মিলে বাঁধি এক পঙ্ক্তি,
মাটির ঘ্রাণে রঙ মিশিয়ে, আঁকি জীবনের নক্শি।
খেজুর রসের হাঁড়ি জ্বলে উঠুক রাতভর,
গানের তালে তালে গাই, প্রাণে লাগুক করতালর!
৪।
না-পাওয়াগুলোকে আজ দিই সাদা পালক,
দুঃখদের বসাই ঝুলনায় — কাঁদুক একটু ফাঁকফোকর।
তবু গাই, তবু হই, এই ধুলোমাখা মানব,
আনন্দের অশ্রুজলে স্নান করে ফিরে যাব।
৫।
আয় ফিরে পাখি, মাঠে আবার গান তুল,
বাঁশির সুরে পলাশ হাসে, হৃদয় হয় বিহ্বল।
চলো, আবার নেমে যাই সেই গানের ঝর্ণায়,
এই তো জীবন — চেনা সুরে রঙিন ধ্বনি ছড়ায়।
---
গানের ধরণ:
সুরের ধরন: এই গানটি বাউল, লালন, বা পালাগানের সুরে বসাতে পারবেন।
যন্ত্রানুষঙ্গ: দোতারা, ঢোল, খঞ্জনি, বাঁশি, করতাল, একতারা প্রাধান্য পেতে পারে।
পার্থিব রঙ: এটি গ্রামীণ, উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত।
---
আপনি চাইলে পরবর্তী গানে আমি প্রেমভিত্তিক, বিপ্লবাত্মক, শিশুসুলভ, দার্শনিক, কিংবা রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ঢঙ আনতে পারি। কী ধরনের গান শুনতে ইচ্ছা করছে এবার?