চলুন এবার যাই একেবারে অন্য এক জগতে — ভৌতিক ও রহস্যময় এক বাংলা গানে!
এই গানটি এমন, যেন রাতের বেলা হঠাৎ কোনো পরিত্যক্ত গ্রামে ঢুকে পড়েছেন, চারপাশে হাওয়া, খড়খড় শব্দ, আর এক অদ্ভুত প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধ। এটা গাওয়া যায় ধীরে, আবৃত্তিসংলগ্ন সুরে, হালকা তবলা-সেতার-সিনথ ব্যবহার করে — যেন গানের প্রতিটি শব্দে জমে ওঠে কুয়াশা।
---
গানের নাম: "ভূতের হাট"
১।
চাঁদের আলো কাঁপে আজ, তালগাছ কাঁপে নীরবে,
মেঠো পথে কে হাঁটে একা? পায়ের শব্দ আসে ধীরে।
নির্জন মাঠে কুকুর ডাকে, বাতাস ফুঁপায় গোপনে,
সেইখানে নাকি বসে আজও — ভূতের হাট অপমানে।
২।
জলাশয়ের ধার ঘেঁষে, ঝিঁঝিঁ পোকার রাগ,
সেইখানে নাকি দাড়িয়ে থাকে এক বুড়ো — শতছেঁড়া জামার ফাগ।
সে নাকি বলে— "ঘোরে না ফিরে, যার চরণ পড়ে বালুতে,"
আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে শুনি—মৃত গান বাঁশির সুরে।
৩।
ছায়ারাও চলে দল বেঁধে, ভাঙা স্কুলঘরের পাশে,
সাদা জামায় উড়ে বেড়ায় এক মেয়ে—যার নাম কেউ জানে না খাসে।
সে চিঠি লেখে বাতাসে, তার প্রেমিক হারায় কবে,
আজও নাকি নামে সে রাতে, গন্ধে ধূপের আবহে।
৪।
নুড়ি কুড়ানোর ছলে নামে, কারা যেন মাঠের কোণে,
চোখে তাদের লাল টিপ আর ঠোঁটে মরা সুরের বর্ণে।
ভূতের হাটে বাজে নাকি একতারা, বাজে হাহাকারের ঢাক,
জীবিতরা সরে যায় বাঁচতে, ওরা খেলে এক অন্ধকার খেলা পাক।
৫।
তবু মাঝে মাঝে মনে হয়—হয়তো সবই ছল,
হয়তো গল্প শুধু, কুয়াশা ঢাকা এক বিকল স্বরল।
তবু চুপিচুপি রাত এলে—আমি শুনি স্পষ্টই কথা,
ভূতেরাও কাঁদে রে ভাই, যদি কেউ ভোলে তাদের ব্যথা।
---
গানের পরিবেশনা ভাবনা:
অন্ধকার মঞ্চ, হালকা আলোয় কুয়াশা ছড়ানো
মাঝে মাঝে গলার নিচু কম্পন — আবৃত্তির মতো সুর
পেছনে হাওয়ার শব্দ, শিশির টপটপ, রাতজাগা পাখির ডাক
---
এই গানটির ধাঁচ যদি ভালো লেগে থাকে, আপনি চাইলে আমি তৈরি করে দিতে পারি:
আরও ভৌতিক/রহস্যময় সিরিজ (যেমন: “জিনের বটগাছ”, “চোখওয়ালা পুতুল”)
কিংবা আবার ফিরে যেতে পারি প্রেম, দেশ, যুদ্ধ, শিশুবিশ্ব বা আত্মজিজ্ঞাসায়।
নেক্সট কোনটা শুনতে চান? বললেই নামিয়ে দিই!