9 在 ·翻译

বাবার রাজকন্যা

image
3 d ·翻译

গল্প: পুরনো ফোন

বাবার পুরনো ফোনটা ফারহান খেলনা ভেবে খেলছিল।
হঠাৎ দেখতে পায়, মায়ের সাথে বাবার শেষ ছবি।
সে ফোনটা বুকের কাছে চেপে রাখে।
স্মৃতি কখনো ডিলিট হয় না।

একটি ছেলেকে বলা এক বাবার হৃদয়ছোঁয়া কথা......!

বাবা ছেলেকে বললেন:

“আগে নতুন বউকে গরুর গাড়ি নয়, পালকিতে করে আনা হতো জানিস কেন?
যাতে সবাই বুঝে নেয়, একজন রাজরানিকে আনা হচ্ছে, সাধারণ কাউকে নয়।
পালকি থেকে নামার পরেও সে যেন সারাজীবন এই সম্মানেই থাকে
এটা তোর দায়িত্ব।”

“তুই জানিস, নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে?
সে কাঁদে।

কার জন্য কাঁদে?
শুধু ফেলে আসা মা-বাবার জন্য না,
সে কাঁদে অজানা ভবিষ্যতের ভয়ে।

তোর কাজ হলো
এই কান্নাই তার জীবনের শেষ কান্না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।”

“এরপর সে কাঁদবে মাত্র দুইবার:
১/ মা হওয়ার আনন্দে,
২/তুই মারা গেলে, তোর শোকে।

মাঝখানে যত দুঃখ আসবে,
তুই হবে তার চোখের অশ্রুমুছনো হাত।”

“জানিস, বউ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় কিসে?
স্বামীর খারাপ ব্যবহারে।

আমি খুব রাগী,
তবু কখনো তোর মায়ের সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলিনি।
বিয়ে মানে একটা মেয়ের জীবনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া।
এ দায়িত্ব ভুলে গেলে, সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি করতেই হবে।”

“আরেকটা কথা মনে রাখিস
তোর বউয়ের মা-বাবাকে কখনো ‘শ্বশুর-শাশুড়ি’ বলিস না,
মা-বাবা বলিস।
তুই যেমন বলবি, তোর বউ তেমনই শিখবে।
ভালোবাসা শেখানো শুরু হয় নিজের ব্যবহার দিয়ে।”

“সৃষ্টিকর্তা সবকিছু দেখেন।
তোর পাল্লায় তুই যা দিবি,
তিনি তাঁর পাল্লায় ঠিক তাই দিবেন।”

বিয়ে মানে শুধু দু’জন মানুষের বন্ধন নয়,
এটা একে অপরের চোখের জল মুছে ফেলার চুক্তি।

*****যদি বাবার এই উপদেশ ভালো লেগে থাকে,
শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন হয়তো কোনো এক ছেলের চোখ খুলে যাবে আজ 🥰🥀#foryouシ

এক বৃদ্ধের কথা শুনে রাসূল (সাঃ) হেঁচকি দিয়ে কান্না করছিলেন।কিন্তু কেন?কি ঘটেছিলো বৃদ্ধের সাথে?

একবার রাসূল (সাঃ) এর কাছে এক সাহাবী এসে বললো, হে রাসূল (সাঃ), আমার বাবা আমার সম্পদ খরচ করে ফেলে কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করে না। রাসূল (সাঃ) উত্তরে বললেন, তোমার বাবাকে ডেকে আনো।

যখন বৃদ্ধ বাবাকে ডাকা হলো, তখন তিনি রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, হে নবী (সাঃ) কেন আমাকে ডেকেছেন? উত্তর নবী (সাঃ) বললেন, আপনার ছেলে অভিযোগ করছে।

এই কথা শুনে বৃদ্ধ বাবা খুবই কষ্ট পেলেন এবং মনে মনে দু:খে কয়েকটি ছন্দ পড়লেন। পড়তে পড়তে তিনি সভার ভিতরে আসলেন।

যখন তিনি দরজা দিয়ে দরবারে ভিতরে আসলেন, তখন জীবরাঈল (আ আসলেন নবীর কাছে।

বললেন, হে রাসূল (সা, আল্লাহ বলেছেন এই ব্যক্তির সমস্যা পরে শুনবেন, প্রথম ওই কবিতা শুনেন যেটা তিনি ছেলের কষ্টে মনে মনে বলেছেন। উনি সবার সামনে বলেন নি, কিন্তু আল্লাহ শুনেছেন।

অত:পর রাসূল (সাঃ) বৃদ্ধ লোকটিকে বললেন, আপনার সমস্যার কথা পরে শুনি, আগে আপনি ওই কবিতা শুনান যেটা একটু আগে আপনি মনে মনে পড়লেন।

বৃদ্ধ লোকটি বললেন,আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহর রাসূল।হে আল্লাহ রাসূল (সাঃ) আমি দুংখে কয়েকটি ছন্দ মনে মনে বলেছিলাম,জোরে বলে নি।

তবুও আপনার আল্লাহ সেটা আরশের উপর থেকে শুনেছেন।সত্যিকার অর্থেই আপনি সত্য এবং আপনার রব সত্য।

রাসূল (সাঃ) বললেন,কি বলেছিলেন?

বৃদ্ধ বললেন আমি মনে মনে বললাম,হে আমার পুত্র,যেদিন তুই জন্ম নিয়েছিলি,সে দিন থেকে আমি নিজের জন্যে জীবনযাপন করা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমরা তোর জন্যে জীবনের সফর শুরু করেছিলাম।

তোকে শীতল ছায়া বসানোর জন্যে,নিজে গরম বাতাসের সাথে লড়েছি।তোকে ঠান্ডা বাতাস থেকে বাঁচানোর জন্যে বরফের মধ্যে কাজ করেছি।তোর একটু হাসি দেখার জন্যে,সারারাত ছটফট করেছি।

নিজের সম্পূর্ণ যৌবনের শক্তি দিয়ে সারারাত নির্বোধ ষাঁড়ের মত খেটেছি,তোকে বড় করার জন্যে।

আমি বৃদ্ধ হতে লাগলাম,তুই যুবক হতে শুরু করলি।আমার কোমর কুঁজো হতে লাগলো তোর কোমর মজবুত হতে থাকলো।

আমার পা থেকে প্রাণ বের হয়ে গেলো,তোর পা শক্ত হলো।আমার হাত কাঁপতে শুরু লাগলো,তোর হাত মজবুত হলো।আমি দুর্বলতায় গড়াগড়ি করতে লাগলাম,তুই অংহকারী হতে লাগলি।

তখন আমার মনে পড়লো,যেমন আমি আমার ছেলের জন্যে ধাক্কা খেতাম,ওর জন্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম,ওর জন্যে আল্লাহর কাছে ছটফট করতাম।আজকে মনেহয় আমার এই পড়ন্ত বয়সে,ও আমার আশ্রয় হবে।

কিন্তু তোর মধ্যে যখন যৌবনের তরঙ্গ দৌড়াচ্ছিলো, আর বার্ধক্য আমাকে খেয়ে ফেললো।যখন যৌবন তোকে সোজা করলো আর বার্ধক্য আমাকে বাকা করে দিলো,কোমর কুঁজো করে দিলো।

তুই আমাকে একদম এমনভাবে দেখতে লাগলি যেন, তুই মালিক আর আমি চাকর।

তোর এমন চাহনি দেখে, আমি আমার ত্রিশ বছরের জীবন ভুলে গেছি। আর বলতে লাগলাম, হ্যাঁ হ্যাঁ আমি বাবা না, আমি চাকর।

হে আমার নবী (সাঃ),আপনিই বলুন,যদি ও আমার সন্তান হতো,তাহলে এভাবে না তাকাতো।

এই ছেলে আমার রাত জেগে ছটফট করাকে ভুলে গেছে,দিনের পর দিন আমার শীত-গরমের সাথে লড়াই করা ভুলে গেছে,নির্বোধ ষাঁড়ের মতো খাটুনিকে ভুলে গেছে,আমার সকল সুখ-দুংখকে দাফন করার কাহিনী ভুলে গেছে।

সব ভুলে আজকে আমার সাথে এমনভাবে কথা বলছে, যেন সে আমার মনিব।ঠিক আছে,আমার সন্তান আমি চাকরই,তুই আমার মালিক কিন্তু প্রতিবেশী তো।

মানুষ তো,প্রতিবেশিকে জিজ্ঞেস করে,কেমন আছে, কোন প্রয়োজন আছে কিনা?মাঝে মাঝে এইটুকুই জিজ্ঞেস করতি।

এই ঘটনা শুনে,আমার নবী (সাঃ) কান্না করতে করতে হেঁচকি দিয়ে ফেলেন।

এরপর রাসূল (সাঃ),ওই ছেলের কাঁদ ধরে বললেন,বাহির হয়ে যাও আমার সামনে থেকে,চোখের সামনে থেকে দূরে চলে যাও।তোমার সকল সম্পদ তোমার বাবার,আর এই বাবাই আজকে তোমার হাতে অপমানিত হলো।

রাহাত প্রতিদিন স্কুলে যায় একটা নীল ছাতা নিয়ে, বাবার উপহার। একদিন বৃষ্টির মধ্যে ছাতাটা লাইব্রেরিতে ফেলে আসে। বাসায় ফিরে মনে পড়তেই মন খারাপ হয়ে যায়।

পরদিন ছুটে যায় স্কুলে, কিন্তু ছাতাটা নেই। মনে হয়, বাবার স্মৃতিটাও হারিয়ে গেছে।

দুদিন পর ফারুক কাকা এসে বললেন, “এই ছাতাটা কি তোমার?”
রাহাত অবাক হয়ে দেখে—সেই নীল ছাতা!

ছাতাটা আবার হাতে পেয়ে, মনে হলো বাবার ভালোবাসাও ফিরে এলো।

1 在 ·翻译

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়ারাহমাতুল্লাহি।

​হযরত উমর (রা.) আনুমানিক ৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আদি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল খাত্তাব ইবনে নুফাইল এবং মায়ের নাম ছিল হানতামা বিনতে হিশাম। তিনি শৈশবে উট চরাতেন এবং কুরাইশদের মধ্যে একজন প্রভাবশালী ও শক্তিশালী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তৎকালীন আরবের ঐতিহ্য অনুযায়ী লেখা, পড়া ও বংশতালিকা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।
​ইসলাম গ্রহণ
​ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন ইসলামের ঘোর বিরোধী। তিনি রাসূল (সা.) এবং মুসলমানদের উপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন। একবার তিনি রাসূল (সা.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তরবারি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। পথিমধ্যে এক ব্যক্তি তাকে জানায় যে তার নিজের বোন ও ভগ্নিপতি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এ কথা শুনে তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং প্রচণ্ড রাগান্বিত হয়ে তাদের উপর চড়াও হন। সেখানে তিনি সূরা ত্ব-হা-এর কিছু আয়াত পাঠ করেন এবং এর সৌন্দর্য ও সত্যতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণের ফলে মুসলমানরা প্রকাশ্যে কাবা ঘরে সালাত আদায় করার সাহস পায়। রাসূল (সা.) তাকে "আল-ফারুক" (সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধিতে ভূষিত করেন।
​খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ
​হযরত আবু বকর (রা.)-এর ইন্তেকালের পর তিনি মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার খিলাফতের মেয়াদকাল ছিল ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি এই সময়ে ইসলামী সাম্রাজ্যকে পারস্য, বাইজান্টাইন এবং অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করেন। তার শাসনামলেই ইসলাম এক বিশাল শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়।
​শাসন ব্যবস্থা ও অবদান
​হযরত উমর (রা.)-এর শাসনামল ছিল ন্যায়, সুবিচার এবং প্রজাহিতৈষী শাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার কিছু উল্লেখযোগ্য অবদান নিচে উল্লেখ করা হলো:
​ন্যায়পরায়ণতা: তিনি একজন কঠোর ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—সকলের জন্য তার বিচার ছিল সমান।
​প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি একটি সুশৃঙ্খল প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন। তিনি বিভিন্ন প্রদেশকে বিভক্ত করে সেখানে গভর্নর, বিচারক, ও অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেন।
​অর্থনৈতিক ব্যবস্থা: তিনি যাকাত এবং কর আদায়ের জন্য আলাদা বিভাগ স্থাপন করেন। সরকারি কোষাগার (বায়তুল মাল) প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেনাবাহিনীর জন্য নিয়মিত বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করেন।
​নাগরিক সুবিধা: তিনি বিভিন্ন শহরে রাস্তাঘাট, সেতু, মসজিদ এবং সরাইখানা নির্মাণ করেন।
​শিক্ষার প্রসার: তিনি শিক্ষার প্রসারেও গুরুত্ব দেন এবং বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা স্থাপন করেন।
​শাহাদাত
​৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে (২৩ হিজরীর ২৬শে জিলহজ্জ), একজন পারসিক দাস আবু লু'লু'র হাতে ফজরের সালাত আদায় করার সময় তিনি শহীদ হন। তার মৃত্যুর পর হযরত উসমান (রা.) তৃতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হযরত উমর (রা.)-কে মসজিদে নববীতে রাসূল (সা.) ও হযরত আবু বকর (রা.)-এর পাশেই দাফন করা হয়।
​যদি আপনার তার জীবনের কোনো নির্দিষ্ট দিক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে আমাকে জানাতে

1 在 ·翻译

#বাবা
একজন বাবা তার সন্তানের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন, যা সন্তানের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং শিক্ষাগত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে এর কিছু দিক আলোচনা করা হলো:
​১. ভালোবাসা এবং মানসিক সমর্থন
​একজন বাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো সন্তানকে নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং মানসিক সমর্থন দেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে:
​সময় দেওয়া: সন্তানের সাথে গুণগত সময় কাটানো, যেমন - খেলাধুলা করা, গল্প বলা, বেড়াতে যাওয়া, বা শুধু তাদের কথা শোনা।
​আবেগিক বন্ধন: সন্তানের প্রতি স্নেহ, মমতা এবং উষ্ণতা প্রকাশ করা। তাদের অনুভূতিগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাদের পাশে থাকা।
​উৎসাহ দেওয়া: সন্তানের ছোট-বড় সব অর্জনে প্রশংসা করা এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করা।
​নিরাপত্তা অনুভব করানো: সন্তানকে বোঝানো যে বাবা সর্বদা তাদের পাশে আছেন এবং তাদের সুরক্ষা দেবেন।
​২. দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ
​সন্তানের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা বাবার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এর মধ্যে রয়েছে:
​খাদ্য ও পুষ্টি: স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা যাতে সন্তানের সঠিক শারীরিক বিকাশ হয়।
​পোশাক: ঋতু এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আরামদায়ক ও পরিচ্ছন্ন পোশাক সরবরাহ করা।
​আবাসন: একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং আরামদায়ক পরিবেশে বসবাসের ব্যবস্থা করা।
​শিক্ষা: সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহন করা, স্কুলে ভর্তি করানো এবং শিক্ষামূলক উপকরণ সরবরাহ করা।
​৩. সুশিক্ষা এবং দিকনির্দেশনা
​সন্তানের সঠিক বিকাশের জন্য বাবার উচিত তাদের সুশিক্ষা এবং নৈতিক দিকনির্দেশনা দেওয়া:
​শিক্ষায় সহায়তা: পড়াশোনায় উৎসাহিত করা, হোমওয়ার্কে সাহায্য করা এবং তাদের শিক্ষামূলক আগ্রহ বাড়ানো।
​মূল্যবোধ শেখানো: সততা, সম্মান, সহানুভূতি, দায়িত্বশীলতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মতো গুণাবলী শেখানো।
​শৃঙ্খলা শেখানো: সঠিক-ভুল চিনতে সাহায্য করা এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখানো, তবে তা যেন ইতিবাচক এবং গঠনমূলক হয়।
​উদাহরণ স্থাপন: বাবা নিজে ভালো আচরণ এবং ইতিবাচক মূল্যবোধের উদাহরণ স্থাপন করেন, যা সন্তান অনুসরণ করে।
​৪. স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
​সন্তানের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাবার একটি মৌলিক দায়িত্ব:
​নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: সন্তানের নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় টিকা নিশ্চিত করা।
​সুস্থ জীবনযাপন: ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব সম্পর্কে শেখানো এবং নিজে তা অনুসরণ করা।
​নিরাপত্তা: বাড়িতে এবং বাইরে সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিপদ সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
​৫. সামাজিক এবং মানসিক বিকাশ
​সন্তানকে সমাজের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বাবার ভূমিকা অপরিহার্য:
​সামাজিক দক্ষতা: অন্যদের সাথে মিশতে এবং বন্ধুত্ব তৈরি করতে সাহায্য করা। ভাগ করে নেওয়া, সহযোগিতা করা এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখানো।
​সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে সমস্যা সমাধানের সুযোগ দেওয়া এবং তাদের ভুল থেকে শিখতে উৎসাহিত করা।
​স্বাধীনতা দেওয়া: বয়স অনুযায়ী সন্তানকে স্বাধীনতা দেওয়া, যাতে তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে এবং দায়িত্ব নিতে শেখে।
​একজন বাবা তার সন্তানের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারেন, যা তাদের সারা জীবনের পথচলায় সাহায্য করবে। উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও প্রতিটি বাবার নিজস্ব কিছু বিশেষ উপায় থাকতে পারে যা তার সন্তানের জন্য সবচেয়ে উপকারী।

1 在 ·翻译

​সৌরভ আর রূপার গল্পটা শুরু হয়েছিল একদম সাধারণভাবেই। একই কলেজে পড়ত ওরা, কিন্তু প্রথমদিকে তাদের মধ্যে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। সৌরভ ছিল একটু লাজুক আর রূপা ছিল ভীষণ চঞ্চল। ক্লাসের ফাঁকে রূপা যখন বন্ধুদের সঙ্গে হাসাহাসি করত, সৌরভ দূর থেকে ওকে দেখত। রূপার হাসিতে এমন একটা কিছু ছিল যা সৌরভের মনকে ছুঁয়ে যেত।
​একদিন কলেজ ক্যাম্পাসে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সৌরভ সেদিন নিজের লেখা একটা কবিতা আবৃত্তি করে। রূপা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। আবৃত্তি শেষে রূপা নিজেই এগিয়ে এসে সৌরভকে অভিনন্দন জানায়।
​রূপা: "তোমার কবিতাটা অসাধারণ ছিল। আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেছি।"
​সৌরভ: "ধন্যবাদ। আসলে আমি ভাবিনি যে... তুমি শুনবে।"
​রূপা: "কেন শুনব না? ভালো জিনিস সবাই শুনতে চায়।"
​সেইদিন থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব শুরু হয়। ক্লাসের ফাঁকে গল্প করা, টিফিনের সময় একসঙ্গে ক্যান্টিনে যাওয়া, লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করা—এভাবেই তাদের দিন কাটতে থাকে। সৌরভ দেখতে পায় রূপার চঞ্চলতার আড়ালে একটা সংবেদনশীল মন আছে, আর রূপা বুঝতে পারে সৌরভের লাজুকতার নিচে লুকিয়ে আছে গভীর আবেগ।
​তাদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে ভালোবাসায় রূপ নেয়। কলেজ শেষ হওয়ার পর তাদের সম্পর্কের আসল পরীক্ষা শুরু হয়। সৌরভ একটা চাকরির খোঁজে অন্য শহরে চলে যায়। রূপা তখনও নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, কিন্তু তাদের ভালোবাসা আরও দৃঢ় হয়। প্রতিদিন রাতে ভিডিও কলে কথা বলা, একে অপরের খোঁজ নেওয়া—এভাবেই তারা একে অপরের পাশে থাকত।
​কিন্তু হঠাৎ রূপার পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে ফেলে। ছেলেটি প্রতিষ্ঠিত, বিত্তবান। রূপা এই খবরটা সৌরভকে জানাতে ভয় পাচ্ছিল। অবশেষে যখন সে সৌরভকে জানায়, সৌরভের পৃথিবীটা যেন ভেঙে পড়ে। সে রূপাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু রূপা পরিবারের চাপের কাছে অসহায় ছিল।
​রূপা: "আমি জানি, আমাদের দুজনের স্বপ্ন ছিল একসাথে থাকার। কিন্তু আমার বাবার সম্মান... আমার পক্ষে এই বিয়েটা না করা সম্ভব নয়।"
​সৌরভ: "তাহলে কি সব শেষ হয়ে যাবে? আমাদের এতদিনের ভালোবাসা, স্বপ্ন... সব মিথ্যে হয়ে যাবে?"
​রূপা কাঁদতে কাঁদতে ফোন রেখে দেয়। সৌরভের মন ভেঙে যায়, কিন্তু সে হাল ছাড়ে না। সে ঠিক করে, রূপাকে সে কিছুতেই হারাতে দেবে না। পরের দিনই সে নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে রূপার শহরে ফিরে আসে।
​রূপার বাড়ির সামনে এসে সৌরভ রূপাকে ফোন করে।
​সৌরভ: "আমি তোমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো, তাহলে একবারের জন্য বেরিয়ে এসো।"
​রূপা দ্বিধায় পড়ে যায়। সে এক মুহূর্তের জন্য ভাবে, কী করবে? তারপর তার মনে পড়ে সৌরভের বলা প্রতিটি কথা, তাদের একসাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত। সে তার মনের কথা শোনে, ভালোবাসাকে বেছে নেয়।
​রূপা দৌড়ে বেরিয়ে আসে। তাদের দুজনকে দেখে রূপার পরিবার অবাক হয়ে যায়। অনেক বোঝানো এবং অনেক কষ্টের পর রূপার বাবা তাদের ভালোবাসাকে মেনে নিতে বাধ্য হন।
​আজও সৌরভ আর রূপা তাদের পুরনো গল্পটা মনে করে হাসে। তাদের ভালোবাসা প্রমাণ করেছে যে সত্যিকারের ভালোবাসার সামনে কোনো বাধাই বড় নয়। তাদের গল্পটা কেবল দুটি মানুষের গল্প নয়, বরং ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের জয়।

দরজায় দরজায় বিক্রি হচ্ছে, 'বিয়ের নামে'
'ফ্রি স্যাম্পল',
একটা 'লাইভ ডেমো' যার এক্সপায়ারি ডেট আজই!
ব্যাপারটা এমন,, অনেকদিন ভালো খায় না,,
চল, 'মেয়ে দেখার নামে,, চা-বিস্কুটের বিলটা সেভ করি...
কাস্টমার ফিডব্যাক' নেওয়া ,, অর্ধেকটাই সমালোচনা,
সাপ্লাই চেইনের দর কষাকষি— এই আরকি!

শুভদৃষ্টি"? "পাত্রী দেখা"? — ভণ্ডামির শীতল প্রলেপ!
ভিতরে বিদ্রুপ হাসি নিয়ে যাওয়া চোদ্দগুষ্টি,,
খুঁজবে প্রিমিয়াম সব ভার্সন—
'রাশিয়ান লেদার', রান্নায় অস্কার জিতা,
``বয়স হাঁটুর নিচে,,
দক্ষতা: সংসার ঘানি থেকে,, তেল বের করে সবাইকে তেলতেলে রাখা,,!
যেন, প্রডাক্ট স্পেসিফিকেশন' চেকলিস্টে,,
একটা বাদ পড়লে,, এই ভার্সন রিজেক্ট,,
কিছু টাকার,, সান্ত্বনা-বন্ড হাতে ধরিয়ে,, মূল্যবোধ রিফান্ড করে দেয়া।।

বিয়ের নামে,, মেয়েদের পণ্যের ডেমো" বানিয়ে রাখা,,
কতবার দেখলে 'ফুল ভার্সন' নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে?"
সম্মানের পলিসি কী?"
এই ক্লান্তিকর, অস্বস্তিকর প্রক্রিয়ায়,,
অস্তিত্বের সংকট:,, পাত্রী দেখার নামে,,
তার,, রঙিন নখের নিচে লুকানো কতটা আঁচড়?
কতটা 'রক্তপাত?
ম্যানিকিউর হাসিতে তবুও চাই এই সমাজ নিখুঁত আর্ট,
ভেতরের বিষাদ-চিৎকারের,, কোনো দাম নেই,,
অন্যের ফ্রি দেখার আত্মসন্তুষ্টিতে।"

"একটা মানুষের আত্মা নিয়ে খেলা 'ফ্রি ট্রায়ালের' 'জিগস পাজলে?"
"মায়ের চোখে চাপা উদ্বেগ",
বাবার হতাশা নামে,, 'অভিশাপ হয়ে যাওয়া কন্যা শব্দটাতে,,
..সমাজের বানানো নিয়মের পণ্যায়নে,,..
ছেলের পছন্দ, খালু, মামাদের পছন্দ না,,
``প্রত্যাখ্যান,, সেই ক্ষতচিহ্ন এই সমাজ আবার আঙ্গুল দিয়ে দেখায়,,
,,এই উপুযুক্ত না!!

তার চিৎকার পোঁছে না,, 'অন্ধ নীরবতা চারদিক',
নিজের ভিতর দুমড়ে যাওয়া,, আর্তনাদ বলে,,
``শোরুমের ডামি নই আমি,
না কোনো 'রিটার্ন পলিসি' সম্বলিত জিনিস!
তবুও... 'বিয়ের নামে'
সস্তা নাটকের রিহার্সাল কেন বারবার হয়?

হ্যাঁ,, দেখার নিয়মে দেখুক,, পথের কাকও যেন শব্দ শুনতে না পায়"
``রিজেক্ট বাটন সবার অধিকারে থাকুক,,
``চাপিয়ে দেয়া না``।

——————
বিয়ের নামে!
সাজিদুল্লাহ ফরহাদ।

একটা ছোট গল্প লিখে দিলাম — জীবন, স্বপ্ন আর সাহস নিয়ে।


---

গল্প: “ছোট্ট প্রদীপ”

একটা অজ পাড়াগাঁয়ে থাকত এক ছেলেমেয়ে — অর্ণব আর তার ছোট বোন দীপা। মা নেই, বাবা দিনমজুর। ঘরে না ছিল বিদ্যুৎ, না ছিল মোবাইল ফোন। কিন্তু ছিল অদ্ভুত এক স্বপ্ন — দীপার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।

প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দীপা বাবার পুরনো হারিকেনটা জ্বালিয়ে পড়াশোনা করত। আর অর্ণব, যাকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়নি, বসে বসে বোনের বইয়ের পাতা উল্টে দিত।

একদিন স্কুলে এক শিক্ষক এসে বললেন, “আগামী সপ্তাহে একটা বৃত্তি পরীক্ষা হবে। যারা পাশ করবে, তারা শহরের ভালো স্কুলে ভর্তি হতে পারবে।”

দীপা চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করল, “আমি কি পারব দাদা?”

অর্ণব মুচকি হেসে বলল, “তুই হারলে আমি মানতে পারব না। তুই তো আমার প্রদীপ — আমার স্বপ্ন।”

সেই এক সপ্তাহ অর্ণব আর ঘুমালো না। দীপার পড়া মুখস্থ করে তাকে শেখাত, নিজে বুঝত না, তবুও কষ্ট করে বোঝাত। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা ধরে রাখত, খাবার না খেয়ে বই আনত।

পরীক্ষা হলো।

এক মাস পর চিঠি এলো — “দীপা বৃত্তি পেয়েছে।”

সবাই খুশি, আর অর্ণব কাঁদছে।

দীপা জিজ্ঞেস করল, “তুই কাঁদছিস কেন দাদা?”

অর্ণব বলল, “আমার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে — এখন সে নিজেই আলোকিত করবে চারপাশ।”


---

শেষ

তোর যদি কোনো বিশেষ থিম, চরিত্র, বা সময়কাল চাও (ভবিষ্যৎ, প্রাচীনকাল, শহর, গ্রাম, রোমান্টিক, হাসির ইত্যাদি),

আমরা দু ভাই বোন
মা বাবার দুই নয়ন

image