11 sa ·Isalin

__________________________________________

লন্ডনের আকাশটা কুয়াশায় মেঘে মোড়ানো।জানালার বাহিরে হালকা হালকা রিমিঝিম বৃষ্টি হচ্ছে।মাঝে মাঝে বাজ পড়ছে—একটা অজানা বার্তা দিয়ে যাচ্ছে বারবার।।অদিতির জানালার কাঁচের জমে থাকা কুয়াশা আর বৃষ্টি ভেজা ফোঁটা গলে নিচে পড়ছে।রুমে একটা মোমবাতি টিমটিম করে আআলো জ্বলছে।বাইরের রাস্তায় স্ট্রিট লাইটের হালকা কমলা আলো বৃষ্টিতে ভিজে ঝাপসা দেখাচ্ছে।রুমটা অদ্ভুদ একটা নিরবতা ছাপিয়ে যাচ্ছে। রুমে দুজনের নিশ্বাসের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ফারিস হেলান দিয়ে সোফাতে বসে আছে।এই বান্দা আজকে নিয়ত করে আসছে এখান থেকে না যাওয়ার। অদিতি ফারিসের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।তার ঠোঁটগুলো অনবরত কেঁপে উঠছে....

অদিতি দাঁড়িয়ে আছে জানালার পাশে। ঠোঁট কাঁপছে অনবরত। রাগে, না অন্যকিছুতে,সে নিজেও জানে না।

ফারিস হঠাৎ তার গলা খাঁকারি দিয়ে বলে ওঠে,

"এভাবে ঠোঁট কাঁপতে থাকলে আমাকে সামলানো তোর জন্য মুশকিল হয়ে পড়বে, সুইটহার্ট।"

আবার সেই ফারিস খানের লাগামহীন কথা বার্তা।অদিতির রাগ এক লাফে চূড়ায় উঠে যায়।

— "আপনি এক্ষুনি আমার ফ্ল্যাট থেকে চলে যান!

রাগে তার কথাও গলা দিয়ে নামছে না।চারদিকে তাকিয়ে দেখে কিছু আছে কি না, ফারিসকে ছুঁড়ে মারার জন্য।

ফারিস ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি দিয়ে বলে,

"তুই যা খুঁজছিস, ওগুলো দিয়ে আমার কিছুই হবে না... বরং তুই কষ্ট পাবি,সেটা আমি দেখতে পারবো না।"

অদিতি চট করে কুশনটা তুলে ফারিসের দিকে ছুঁড়ে মারে।
— "আপনাকে একদম সহ্য হয় না আমার! সবসময় নিজের মতো করে কথা বলেন। কেউ তো আপনাকে এখানে আসতে বলেনি!"

ফারিস একহাতে কুশনটা ধরে নিয়ে মুচকি হাসল।
— "তুই বলিছিস আমাকে, এখানে তুই এসেছিস... তোর জন্যই তো আসতে হয়েছে আমাকে। তুই তো কোথাও গেলে শান্তিতে থাকতে দিস না।"

— "আমি আপনাকে বলিনি, আমার পিছনে বডিগার্ডদের মতো পাহারা দিতে। বেরিয়ে যান,আমার চোখের সামনে থেকে।
অদিতি এবার সোফার পাশে থাকা ম্যাগাজিনটা তুলে ধরল।

ফারিস হেসে উঠে দাঁড়াল, মাটিতে নামল একটা পা দিয়ে।
"ম্যাগাজিন দিয়ে কি মারবি? তুই ভাবছিস আমি ভয় পাই?"

"আপনি ভয় পান না, কিন্তু মাথাটা একেবারে খারাপ। এই ঠাণ্ডায় মোমবাতির আলোতে বসে আছেন। স্বাভাবিক মানুষ হলে এতক্ষণে বাড়ি চলে যেত!"

ফারিস তার দিকে এক পা এগিয়ে এলো।
"আমি স্বাভাবিক না। বিশেষ করে তোর সামনে তো একদমই না।"

"আপনি!"
অদিতি চেঁচিয়ে উঠল, আর একটা বই তুলে নিতে গেল।

ফারিস হঠাৎ সামনে গিয়ে বইটা কেড়ে নিল।
"তুই এইসব ছুঁড়বি না, নাহলে তোকে ধরে বিছানায় বেঁধে রাখতে হবে।"

অদিতি থমকে গেল। চোখ কপালে, রাগ এখন মাথায় উপরে.....
"আপনি… আপনি এসব কী বলেন?! আমি পুলিশ ডাকব!"

ফারিস এখন অদিতির আরো কাছে আসে।অদিতির দিকে একটু ঝুঁকে হাস্কিসুরে বলতে থাকে,
"ডাক পুলিশ, ডাক এই পৃথিবীর মানুষকে।তোর সামনে আমি কারো কথায় থামি না, সুইটহার্ট।"

"আপনি একটা পাগল!"

"হ্যাঁ, তোর জন্য পাগল, সুইটহার্ট। "

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

অদিতি রাগে ফুঁসছে।বড় বড় চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছে ফারিসের দিকে।ফারিস অদিতির রাগ দেখে মনে মনে হাসছে।তার সুইটহার্টকে রেগে গেলে কত সুইট লাগে সে নিজেও জানে না।ফারিসের মন চায়, অদিতিকে সামনে বসিয়ে ওর চোখের দিকে সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকতে।কিন্তু সেই ভাবনার ছেদ করে অদিতির দিকে তাকায়।

অদিতি পিছিয়ে আসতে আসতে হঠাৎই,

"আআহ!"

একটা মাদার বোর্ডের সাথে পা আটকে যায়।হুড়মুড়িতে পড়ে একেবারে ফারিসের বুকের ওপর।
ফারিস তখনও সেই সোফায় হেলান দিয়ে বসা। আর এবার, ঠাণ্ডা বাতাসে জড়ানো সেই রুমে, শুধু দুইটা নিঃশ্বাসের আওয়াজ।

ফারিস এক হাতে অদিতির কোমর চেপে ধরে ফেলে, যেন না পড়ে যায়।
"তুই কি পড়ে যাস নাকি ইচ্ছা করে আসিস আমার গা ঘেঁষে?"
ফারিস ছোট কামড়ে বলতে থাকে।

অদিতি গলায় রাগ, চোখে একরাশ ঘৃনা নিয়ে বলে,
"আপনি—আপনি একটা অসভ্য লোক! আমি পড়ে গেছি, সেটা দেখার বদলে বাজে কথা বলছেন!"

ফারিস ফিসফিসিয়ে, ঠোঁট প্রায় ছুঁয়ে বলে,
"তুই পড়ে গেছিস, সেটা আমি দেখেই তো তোকে ধরেছি... না হলে পড়ে থাকতি মেঝেতে, অন্ধকারে, একা..."

অদিতির হৃদস্পন্দন বাড়তে থাকে। সে উঠে দাঁড়াতে যায়, কিন্তু ফারিস ছাড়ে না।

"তুই এত রাগিস ক্যান রে? ভয় পাস তো?"

অদিতি উঠে দাঁড়ায় একরকম ধাক্কা দিয়ে।
"আপনাকে ভয় পাই না।আমাকে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। আজকের পর থেকে আমাকে ছুঁলে আপনার মুখ ফা টিয়ে দিবো আমি।আমার কাছে একদম আসার চেষ্টা করবেন না।না হলে এর ফল খুব খারাপ হবে।

"Challenge accepted, sweetheart."

ফারিস চুপ থেকে গম্ভীর গলায় বলে,
"তুই বারবার বলছিস, আমি তোর কিছুই পারব না... সত্যি এতই অবহেলা করিস আমাকে?"

অদিতি জোরে জোরে হাসে...
"আপনি তো... আর কী? শুধু মুখে বড় বড় কথা বলেন। ভয় দেখান।একটা ছেলে হয়ে , যে হয়তো জীবনে কাউকে ভালোবাসেনি... বা কাউকে কাছে ঘেষতে দেয়নি।কালে মেয়ে বলে অপমান করেছেন।তাহলে আজ সেই মেয়েকে কাছে পাওয়ার জন্য এতো আজহারী কেনো।

ফারিস চুপচাপ তাকিয়ে থাকে অদিতির দিকে।শক্ত হাতে অদিতির ঠোঁট চেপে ধরে। ফারিসের চোখ এখনও লাল হয়ে আছে।

ঠাসসসসসস্.......

"আজকের পর নিজেকে সামলে কথা বলবি... সুইটহার্ট।"

ফারিস বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে যায়, অদিতিকে দেওয়া সেই ঘড়িটা। দরজাটা জোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।

চলবে...

কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 m ·Isalin

কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
2 m ·Isalin

Finalisina












কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image

Premiere Dentistry For Expert Dental Care | Bergen-dentistry.com

 Visit Bergen-dentistry.com, the leading provider of specialist dentistry, for the best dental treatment you've ever had. Put your grin in our hands.

https://bergen-dentistry.com/

image

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image