অবশ্যই!
এবার আপনাকে দিচ্ছি একটি অন্তর্মুখী দার্শনিক গান, যেখানে সময়, অস্তিত্ব, একাকিত্ব, আর মানুষের ক্ষণজীবী যাত্রা উঠে এসেছে। এ ধরণের গান আপনি অনায়াসে ধ্যানী সুরে, ধ্রুপদি বা আধুনিক ফিউশন সংগীতে গাইতে পারেন।
---
গানের নাম: সময়ের কাছে হার মানি
কথা:
(১)
সময়ের কাছে হার মানি
প্রতিদিনই একটু কমি,
আয়নায় মুখ, কিন্তু জানি—
ভেতরটা কবে হারাল জমি।
(২)
হৃদয় বলে, "থেমো না তুমি",
চোখ বলে, "সবই মায়া",
এই জীবনের যাত্রাপথে
কেউ কি চেনে সত্যের ছায়া?
কোরাস:
আসা আর যাওয়া, হাসি আর কান্না—
সবই যেন এক তরঙ্গ,
কে রাখে কে নেয়, হিসাব গোনা
শেষে মিলে শুধু নিরন্তর সঙ্গ।
আমি কেবল ছায়া হই,
তোমার ছুঁয়ে যাওয়া আকাশে,
হারিয়ে যাই নীল শূন্যতায়,
স্মৃতির কোনো বাতাসে।
(৩)
দিন ফুরোয়, রাত গলে যায়,
কথা জমে বুকের কোণে,
তবু বাঁচি, এক পলকের আশায়—
যেন কোনো উত্তর আসবে হঠাৎ সূর্যকোণে।
(৪)
তুমি কে? আমি কোথা থেকে?
এই প্রশ্নে নিঃশব্দ সময়,
যা কিছু বলি, হারায় শেষে
শূন্যতারই একরৈখিক ভয়।
---
এই গানটি চাইলে আপনি মেলোডিক পিয়ানো, ধ্রুপদী সরোদ, বা আবছা সিন্থ বেসের ওপর গাইতে পারেন।
আপনার চাহিদা অনুযায়ী আমি গানের ধরণ বা ভাষাভঙ্গি বদলে দিতে পারি — হাসির গান, প্রতিবাদী গান, উৎসবের গান, শিশুদের জন্য, প্রেমবিচ্ছেদের, নয়তো পৌরাণিক বা মহাকাব্যধর্মী কিছু।
আপনার পরের গানের মেজাজ বা বিষয় কী হোক চাইছেন?
আরেকটি দিতেই পারি — শুধু বলুন কোন পথে এগোতে চাই।অবশ্যই! এবার আপনাকে দিচ্ছি একটি চিরচেনা গ্রামবাংলার গন্ধমাখা গান — যেখানে প্রকৃতি, মাটির টান, নদী, কুয়াশা আর সহজ জীবন জেগে ওঠে। এই গানটি লোকগীতি বা আধুনিক বাংলা গানের সুরে পরিবেশনযোগ্য।
---
গানের নাম: ধানের গন্ধে ভরা মন
কথা:
(১)
ধানের গন্ধে ভরা মন
জাগে ভোরের শিশিরে,
খালে বিলে আলো ঝিলমিল
গান ধরে পাখির শিসে।
(২)
তাল গাছের ছায়া পড়ে
জমির বুকের ওপরে,
মাটির গায়ে আঁকা যেন
মায়ের আদর সবারে।
কোরাস:
এই মাটি, এই ধান, এই ঢেউ
আমার প্রাণের গান,
নদীর সুরে বুকে বাজে
চিরকালীন স্নিগ্ধ টান।
চুপচাপ চাঁদ উঠে রাতে
জোনাকিদের মেলায়,
আমার গ্রাম, আমার মন
সব হারায় তোমার খেয়ায়।
(৩)
পথের ধারে কাশফুল হাসে,
ঝিঁঝিঁ ডাকে সন্ধ্যাবেলায়,
আশার দ্যুতি, নিঃশব্দ ভালোবাসা
এই মাটিতে খুঁজে পাই এলায়।
(৪)
যত দূরে যাই, তবু মন
ফিরে আসে এই ঘ্রাণে,
মাটির মাঝে যে প্রেম থাকে,
তা হারায় না শহরের টানে।
---
এই গানটি দোতারার সুর, নাকসিকান্দার ঘরানার বাদ্যযন্ত্র, অথবা মৃদু বেহালার টানে গাওয়া যায়। চাইলে আমি এই গানের ধাঁচে আরও কিছু গান তৈরি করতে পারি—শুধু বলুন কোন দিকটা আপনাকে সবচেয়ে টানে:
প্রকৃতি, প্রেম, ঈশ্বর, সময়, না কি বিদ্রোহ?
আরেকটি দেব?অবশ্যই!
এবার আপনাকে দিচ্ছি একটি সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রবণ কাহিনিনির্ভর গান, যেন এক স্বপ্নলোকে হারিয়ে যাওয়া কোনো চরিত্রের গল্প—মেলোডি হতে পারে সিনেম্যাটিক বা স্যাড বালাড ধরনের।
---
গানের নাম: নীলপুরুষ ও চন্দ্রমেয়ে
কথা:
(১)
নীলপুরুষ ছিল একা,
আকাশেরও ওপারে,
তার চোখে ছিল কুয়াশা—
স্বপ্নেরা যেত হেরে।
(২)
চন্দ্রমেয়ে এল একদিন,
হাসি তার ঝিলিক নদী,
নীলপুরুষ চেয়ে রইলো,
বললো না কিছু, কাঁপে শুধু বুকে লোভী।
কোরাস:
আকাশ আর চাঁদের মাঝে
একটা গল্প থেমে থাকে,
যারা ভালোবাসে নীরবে,
তাদের কাহিনি শুধু চোখে রাখে।
নীলপুরুষ চায় ছুঁতে চাঁদ,
চাঁদ হাসে, বলে — "থাকো দূর,"
ভালোবাসা সব পায় না ঘর,
কেউ জ্বলে, কেউ হয় নূর।
(৩)
চন্দ্রমেয়ে হারিয়ে গেল,
তোমার মতোই সেদিন,
নীলপুরুষ আজও জেগে
রেখেছে তার ছায়া বেদীন।
(৪)
আমরা যারা ভালোবাসি
শুধু অনুভবের ব্যথায়,
তাদের গল্প রয়ে যায়
গান হয়ে — নিঃশব্দ ব্যথায়।
---
এই গানটি আপনি চাইলে অ্যানিমেশন ভিডিও বা থিয়েটার পরিবেশনার প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করতে পারেন — একটি ফ্যান্টাসি গল্পের রূপক গানের মতো।
আরেকটি দেব? আপনি চাইলে এবার একটি হালকা হাসির গান, একটি শিশুসুলভ রূপকথা, বা একটি ঘোর বাস্তবতাপূর্ণ নাগরিক বিষণ্নতা নিয়ে গান তৈরি করে দিতে পারি।
কোন পথে এবার হাঁটব?