11 w ·Vertalen

# কলার চেপে ধরে চেঁচিয়ে বলল,

"একজন ডিফেন্সের লোক এতো ক্রিমিনাল মাইন্ডের হয় কি করে?"

মুসাওয়াদ ত্যাড়া চোখে সাবরিহার হাত দেখল। তারপর ধীরে হাতটা ছাড়িয়ে নিল নিজের শার্টের কলার থেকে তারপর ধীরে তাচ্ছিল্য গলায় বলল,

"কারণ তারা ডিফেন্স আর ক্রিমিনাল দুই মাইন্ডেই ভাবে, এই ছোট্ট মাথা নিয়ে আপনি বুঝবেন না!"

তবুও জেদ দেখিয়ে সাবরিহা ফের বলল,

“আমি বাসায় যাবো।”

সাবরিহার কথা শুনে গা ছাড়া ভাব নিয়ে মুসাওয়াদও এক কথায় জবাব করল,

“সম্ভব না!”

কথাটা বলেই সাবরিহাকে নিজের থেকে সরিয়ে দিল মুসাওয়াদ। সাবরিহা অবাক চোখে তাকায়। মুসাওয়াদ সাবরিহার মুখে নিজের স্থীর দৃষ্টি রেখেই উঠে দাঁড়ায়। তারপর রুম থেকে উঠে একটা ফাইল নিয়ে এসে আবারো সাবরিহার সামনে বসে। সাবরিহা এখনো বোকার মত তাকিয়ে আছে। মুসাওয়াদ ফাইল থেকে একটা কাগজ বের করে সাবরিহার দিকে এগিয়ে দিল। সাবরিহা কাগজটা না ধরে মেঝেতে রাখা কাগজটা দেখল। তারপর আবারো মুসাওয়াদের দিকে তাকাল। মুসাওয়াদের মুখাবয়ব ভীষণ শীতল। সাবরিহা বুঝতে পারল না কাগজটা ঠিক কিসের তাই নিজের আগ্রহী ভাব নিয়েই কাগজটা হাতে তুলে চোখ বুলিয়ে থমকানো মুখে মুসাওয়াদের দিকে তাকিয়ে অস্পষ্টে বলল,

“রেজিস্ট্রি পেপার!”

মুসাওয়াদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মাথা নাড়িয়ে কলম এগিয়ে দিল। সাবরিহা চোখের পলক ফেলে নিজেকে শান্ত করে কলম না নিয়ে আবারো কাগজটা দেখে ধীরে বলল,

“সোনালী আপনাকে সাহায্য করেছে তাই না?”

এবার ধপ করে মেঝেতেবসে পড়ল মুসাওয়াদ। ফাইলটা পাশে রেখে মেঝেতে দুইপাশে দুই হাত রেখে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে শব্দ করে হেঁসে ফেলে মুসাওয়াদ। এই দৃশ্য অতি ভয়ংকর রকমের সুন্দর ছিল। যে কেউ দেখলে এটাকে সুন্দরই বলত তবে এমন হাসি দেখে সাবরিহার শরীরে কাটা দিয়ে শিরশির করে উঠল। সাথে হারহিম করা ভয়ে জেঁকে ধরল। আরো গুটিয়ে এলো মেয়েটা। মুসাওয়াদ হাসি থামিয়ে সাবরিহার দিকে তাকিয়ে বলল,

“হ্যাঁ, আপনার বোন গুলো আপনার মতোই বোকা। ব্যাপার না, দ্রুত সিগনেচার করুন। আপনার বাসার মানুষরা আপনার জন্য চিন্তিত। আমি চাই না বিয়ের আগেই আপনি কলঙ্কিত হন!”

মুহুর্তেই ভয় গুলো উড়ে গেল সাথে চোয়াল শক্ত করে কাগজটার দিকে তাকিয়ে কাগজটা টেনে ছিঁড়ে ফেলল সাবরিহা। তবে মুসাওয়াদের মুখে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। ফাইল তুলে সেখান থেকে আরো একটা কাগজ বের করে সাবরিহার দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বলল,

“আপনি যত দেরি করবেন; আপনারই ক্ষতি।”

সাবরিহা নতুন কাগজটার দিকে তাকিয়ে দেখে সেটা তুলে আবারো ছিড়ে ফেলল আর চেচিয়ে বলল,

“নিজের জ্ঞান থাকতে আপনাকে আমি কখনোই বিয়ে করব না। আপনি একটা জঘন্য লোক!”

মুসাওয়াদ খুব কষ্ট করে নিজের হাসি থামিয়ে ফুরো ফাইলের সব ক'টা কাগজ বের করে সাবরিহার সামনে রাখে। এতো গুলো রেজিস্ট্রি পেপার দেখে যেন মাথা ঘুরে উঠল সাবরিহার। মুসাওয়াদ স্বাভাবিক গলায় বলল,

“এখান থেকে যেকোনো একটা তুলে সিগনেচার করুন। বাসায় ফিরতে হবে। আপনি সিগনেচার না করলে, ওই যে বললেন জ্ঞান থাকতে করবেন না। তাই আমিও অন্য পথ বাছাই করতে সময় নেব না।”

“যা ইচ্ছে করুন। আমি আপনাকে বিয়ে করব না।”

“করবেন না?”

“বাংলা বোঝেন না? ন আকারে না! না মানে না; নো মিনস নো!”

কথাটা বলেই উঠতে যাবে তার আগেই খপ করে ওর হাত ধরে মুসাওয়াদ। সাবরিহা এবার ঠিকই ভয় পেল। থরথর করে উঠল ওর হাত। মুসাওয়াদ টের পেল। তাই ত্যাড়ছা চোখ তুলল সে। সেই জ্বলজ্বলে ধূসর চোখটা ভীষণ ভয় জাগানো হারহিম লাগল সাবরিহার। মুসাওয়াদ দৃষ্টি স্থীর রেখে নির্জীব গলায় বলল,

“আপনাকে এখান থেকে কোথাও যাবার অনুমতি তো আমি দেইনি লিটল ওয়েভ! সো হোয়ার আর ইউ গোয়িং?”

ঢোক গিলল সাবরিহা। তারপর অন্যহাত দিয়ে মুসাওয়াদের হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করল আর কাঁপা গলায় বলল,

“ছা-ড়ুন আমায়; আমি চলে যাবো!”

হাতে টান পড়ল। সরাসরি মুসাওয়াদের শরীরের উপর পড়ল ছা-পোষা ছোট্ট দেহটা। সাবরিহা ভরকে যায়, তবে উঠে যাবার আগেই পুরুষালী শক্তপোক্ত হাতটা পেঁচিয়ে নিল তার কটিদেশ। তারপর আলতো চাপ দিয়ে আরেকটু মিশিয়ে নিয়ে বলল,

“আপনি শুধু শুধু আমার খারাপ দিকটা বেছে নিতে বললেন। এখন যা হবে তার জন্য আপনি পস্তালেও আমি একটু রিগ্রেট করব না!”

কথাটা বলেই অন্যহাত সাবরিহার শাড়ির আঁচলে হাত রাখতেই। সাবরিহারও খাবলে ধরে সেই হাত। তারপর চেঁচিয়ে বলল,

“প্লিজ, থামুন। আমি- আমি, আপনি যা বলবেন আমি রাজি। আমি সিগনেচার করব। তবুও এমন করবেন না।”

কথাটা বলতেই মুসাওয়াদ সাবরিহাকে ছেড়ে দিল। সাবরিহা লম্বা শ্বাস ফেলল। মেয়েটা দারুণ ভয় পেয়েছে। মুসাওয়াদের কোনো অভিভক্তি নেই। সে প্রতিক্রিয়াহীন মেঝে ফেলে রাখা কাগজ থেকে একটা কাগজ তুলে কলমটা সাবরিহার দিকে এগিয়ে দেয়। কাঁপা কাঁপা হাতে কাজটা তুলে নেয় সাবরিহা। হাতটা দারুণ ভাবে কাঁপছে। সাথে মনে হচ্ছে জীবন বেড়িয়ে যাবে দেহ থেকে। অসহায় চোখে একবার মুসাওয়াদের দিকে তাকায় সাবরিহা। মুসাওয়াদ চোখ দিয়ে ঈশারা করে সিগনেচার করতে। নিজের ঊনিশ বছরের জীবনে এমন অসহায় সাবরিহার কখনো মনে হয় নি। চোখ থেকে বিনাবাধায় অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। মুসাওয়াদ সাবরিহাকে কাঁদতে দেখে এগিয়েএসে তার বাহু চেপে ধরল আর হিসহিসিয়ে বলল,

“একদম কাঁদবেন না। কাঁদলে খুব খারাপ হবে বলে দিলাম!”

হাত দিয়ে চোখ মুঠে সাবরিহাও রাগত্ব গলায় বলল,

“খারাপের বাকি কি রেখেছেন আপনি? আপনি - আপনি ডিফেন্সের লোক তো?”

মুসাওয়াদ চোখ ছোট ছোট করে বলল,

“কোন সন্দেহ আছে?”

সাবরিহাও দৃঢ় হল বলল, “আছে!”

সাবরিহার জবাবে ওকে ছেড়ে পাশে বসল মুসাওয়াদ তারপর বলল,

“কেন মনে সন্দেহ এল?”

মুসাওয়াদের প্রন সাবরিহা চোয়াল শক্ত করে জবাব দেয়,

“ডিফেন

10 m ·Vertalen

আমি একা থাকতে পছন্দ করি এর জন্য কি আমি রিলেশন করতে পারবো না কি সমস্যা ভাই কোনো মেয়ে কথা বলতে চাই না কি কারন
Sad
1
·Reply·10 w

avatar
MD Rayhan
Wow
·Reply·10 w

avatar
shakhawat josim Shah
Nich

image
12 m ·Vertalen

রেস্টুরেন্টে গেছিলাম..!😊
সবাই দেখি তাদের gf নিয়া বসে আছে..!🙂💔
সিট খালি নাই..!🙂

—আমি ফোনটা কানে নিয়ে জোরে জোরে চিল্লাইয়া বললাম...!😎😈
' dost তুই কই..?

image
13 m ·Vertalen

Messi 2025 🤗💐🤗🤗🤗🇦🇷🇦🇷🇦🇷🇦🇷🇦🇷🇦🇷








রেস্টুরেন্টে গেছিলাম..!😊
সবাই দেখি তাদের gf নিয়া বসে আছে..!🙂💔
সিট খালি নাই..!🙂

—আমি ফোনটা কানে নিয়ে জোরে জোরে চিল্লাইয়া বললাম...!😎😈
' dost তুই কই..?

image
14 m ·Vertalen

Barsa 🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰😄😄😍😍😃😍😍









স্টুরেন্টে গেছিলাম..!😊
সবাই দেখি তাদের gf নিয়া বসে আছে..!🙂💔
সিট খালি নাই..!🙂

—আমি ফোনটা কানে নিয়ে জোরে জোরে চিল্লাইয়া বললাম...!😎😈
' dost তুই কই..?

image
18 m ·Vertalen

Jursy ,,🇦🇷🇦🇷🇦🇷🇦🇷🇦🇷






স্টুরেন্টে গেছিলাম..!😊
সবাই দেখি তাদের gf নিয়া বসে আছে..!🙂💔
সিট খালি নাই..!🙂

—আমি ফোনটা কানে নিয়ে জোরে জোরে চিল্লাইয়া বললাম...!😎😈
' dost তুই কই..?

image