সাদা পাজামা পাঞ্জাবী কিনেছে হৃদ্য। বিয়ে তো সে একবারই করবে, একটু না সাজলে কি হয়। বাড়িতে আসার সময় হৃদ্য গার্ড দিয়ে পার্লার থেকে বিউটাশিয়ান ও ধরে নিয়ে এসেছে তুরকে সাজানোর জন্য।
বাড়িতে ফিরে তুরকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে হৃদ্যের খারাপ লাগলো। সে তার ব্ল্যাকবেরির উপর এতোটাই অত্যাচার করেছে যে মেয়েটা একেবারে দুর্বল হয়ে পড়েছে। মনে মনে অনুতপ্ত হলেও মুখে বললো, এই শাস্তি টা তোমার পাওনা ছিল ব্ল্যাকবেরি। তোমার জীবনের সবচাইতে বড় সত্যিটা ভুলে যাওয়ার শাস্তি, এই কায়ান মুনতাসির হৃদ্যকে ভুলে যাওয়ার শাস্তি।
হৃদ্য তুরের পাশে বসে আস্তে করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ডাকলো, তুর পাখি উঠো। দেখো কতো সময় হয়ে গেছে, এবার তো তোমার তৈরি হতে হবে। অনেক কাজ যে এখনো বাকি আছে বেবিডল।
Please wake up baby, we are getting late for our new life. I can't wait to see you as my bride baby.
পিটপিট করে চোখ মেলে তাকালো তুর। সামনে তাকিয়ে হৃদ্যকে পাশে বসা দেখেই লাফিয়ে উঠে বসলো সে। তরিঘরি করে পিছাতে পিছাতে বললো আ-আমাকে আর ছোবেন না প্লিজ। আ-আমর অনেক কষ্ট হয়। আমার সারা শরীরে ভিষন ব্যাথা। প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন, আমার বাড়িতে অসুস্থ আম্মু আছে। আমাকে না পেলে সে আরো অসুস্থ হয়ে যাবে।
হৃদ্য বুঝলো তুর এখনো ঘোরের মধ্যে আছে,ভয় পাচ্ছে তাকে। পাবে নাই বা কেন , সে তো করেছেই ভয় পাওয়ার মতো কাজ। হৃদ্য এগিয়ে গিয়ে তার বাহুডোরে আবদ্ধ করলো তুরকে। তাকে শান্ত করতে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো, শান্ত হও তুর পাখি। কিচ্ছু করবো না তোমায় আমি।
উত্তেজিত তুর হৃদ্যের ছোয়া পেয়ে যেন আরো উত্তেজিত হয়ে উঠলো। তার চোখের সামনে ভেসে উঠলো কয়েক ঘন্টা আগে হৃদ্যের করা নির্মম অত্যাচারের দৃশ্য। কিভাবে ঐ মানুষটা তার শরীরটাকে ছিঁড়ে খেয়েছে। অপবিত্র করেছে তার পবিত্র স্বত্বাকে। লোকটাকে দেখেই এখন ঘৃণায় গা গুলিয়ে উঠছে তুরের।
তুর নিজেকে হৃদ্যের বাধন থেকে ছারাতে ধস্তাধস্তি শুরু করে। রাগে জেদে দুই হাত দিয়ে আঘাত করতে থাকে হৃদ্যের বুকে। মুখে বলতে থাকে নানা প্রলাপ। কয়েক মুহুর্তেই হৃদ্যকে শখানেক গালি দেওয়া হয়ে গেছে তুরের। হৃদ্য বেচারা তুরের মুখের গালি শুনে হতভম্ব হয়ে গেছে। তার ঠিক কি করা উচিত বুঝতে পারছে না যেন। হুট করেই হৃদ্য নিজের ঠোট দিয়ে আঁকড়ে ধরে তুরের ঠোঁট জোড়া। তুরের ছটফটানি থামানোর এই একটাই উপায় যেন তার জানা।
নিজের ঠোঁটে হৃদ্যের ঠোঁটের ছোঁয়া পেতেই স্তব্ধ হয়ে গেছে তুর। থেমে গেছে তার সমস্ত ছটফটানি। রোবটের মত শক্ত হয়ে পরে রয়েছে হৃদ্যের বাহুডোরে। প্রায় মিনিট দুই পর হৃদ্য ছেড়ে দিলো তুরকে। নিজের দুই হাতের তালুতে শান্ত তুরের মুখটা নিয়ে বললো, আমি জানি তোমার মনে এখন কি চলছে তুর পাখি। কিন্তু তুমি যা ভাবছো তা সত্যি না। আর মাত্র কিছুক্ষণ, তারপর সবটা জানতে পারবে তুমি ব্ল্যাকবেরি।
তুরের দুচোখ বেয়ে পানি পরছে। সে হেঁচকি তুলে কাদতে কাদতে বললো, আর কি বাকি আছে আমার। সবটাই তো আপনি কেরে নিয়েছেন। আমার বেঁচে থাকার মানেটাই যে আপনি নষ্ট করে দিয়েছেন। আমাকে জিবন্ত লাশ বানিয়ে দিয়েও কি আপনার শান্তি হয়নি। আর কি চান আপনি আমার কাছে। এবার তো আমাকে মুক্তি দিন । যেতে দিন আমার মায়ের কাছে। নাকি আমার মৃত্যু টা নিজের চোখে দেখতে,,,,
ঠাসস, আর বলতে পারে না তুর। তার আগেই এক শক্ত পুরুষালী হাতের জোড়ালো থাপ্পড় এসে আছড়ে পরে তুরের বাম গালে। তুর ছিটকে পরে বিছানায়। হৃদ্য তুরের বাহু খামচে ধরে টেনে তুলে বসায়। একহাতে গাল চেপে ধরে বলে, খুব মরার শখ না তোর। তা তুই কি জানিস, তোর সবকিছুর অধিকার শুধুই আমার। আল্লাহর পর তোর উপর সবচাইতে বেশি অধিকার আমার। এতোটাই যে তুই নিজেও আমাকে বাধা দিতে পারবি না।
হৃদ্যের কথা তুর কিছুই বুঝতে পারলো না। গালে হাত দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল হৃদ্যের দিকে। কি বলছে কি লোকটা। তার উপর এই লোকটার কিসের এত অধিকার । সে তো এই লে