শুধু এটুকু জেনে রাখ উনি এমনি এমনি বাড়িতে আসেনি। বাড়িতে আসার পিছনে একটা কারণ আছে। আর শুধু তাই নয় এখানে যে ঘুরতে নিয়ে এসেছে এটার পেছনে ও কোন না কোন কারণ তো অবশ্যই আছে। আর আমার কেন জানি না সব কিছু গোল মেলে লাগছে। মনে হচ্ছে সামনে বড় ঝড় আসছে চলেছে। এ ঝড় হয়তো সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিবে নয় তো সবকিছু গুছিয়ে দিবে। বা হয় তো রহস্যের জোট খুলবে নয়তো রহস্যের জোট পাকাবে। কিছু তো একটা ঘটবে কিন্তু সেটা কি ?
তামান্না আরশির বলার ভঙ্গিমা দেখে বলে "
_ আরে বাহ ননদিনী তুই তো অনেক ভালো
জ্যোতিষী হয়ে গেছিস। আগে থেকে ভবিষ্যৎ গণনা করছিস ? তা কবে থেকে এসব করা শুরু করেছিস তুই ?
তামান্নার কথায় আরশি বিরক্ত হয়ে বলে "
_ এই তুই এসব ফাউল কথা বন্ধ করবি। আমার এমনি কিছু ভালো লাগছে না। তোর আজগুবি কথা সোনার এখন মুড নেই।
আরশির কথায় তামান্না রাগ দেখিয়ে বলে "
_ একদম নাটক করবি না আজগুবি কথা আমি বলছি নাকি তুই বলছিস ? অযথা আগাম চিন্তা করে বসে আছিস। ভবিষ্যতে কি হবে সেটা কি তুই জানিস? এরপর একটু থেমে আবার বলে
জ্যোতিষীদের মত ভবিষ্যতের চিন্তা না করে বর্তমানে যে জট পাকিয়েছিস সেটা খোল।
বলে তামান্না উঠে চলে যাই ফ্রেশ হওয়ার জন্য। আরশি এখনো আগের ভঙ্গিতে বসে আছে। সে খুব ভালো করে জানে তামান্না তার কথাতে রাগ করেছে। কিন্তু সেই বা কি করবে ? তার যে ঐরকম ফিলিংস হচ্ছে মনে হচ্ছে তার জীবনের সত্যি কোন বড় ঝড় আসতে চলেছে।
অপরদিকে
বিহান আদিল নিহাল আকাশ মিতালী বর্ষা বসে আছে বিহানের রুমে। সবাইয়ের মুখ গম্ভীর কপালে চিন্তার ভাঁজ। সিরিয়াস কিছু একটা নিয়ে আলোচনা করছি সবাই। হয়তো আগাম বিপদের হাত থেকে বাঁচার পরিকল্পনা আটছে তারা ছয় বন্ধু মিলে।
সবার পরিকল্পনা কথাবার্তার মধ্যে বিহান বলে "
_ নিহাল কিছু কি খবর পেলি ?
নিহাল ব্যর্থ কন্ঠে বলে "
_ না ইয়ার কোন খবর পাইনি। যত বিষয়টা খোলাসার চেষ্টা করছি ততই যেন যাচ্ছে বিষয়টা জটিল হয়ে যাচ্ছে।
বর্ষা : আমার মনে হয় লোকটা খুব চতুর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।দেখছিস না কিভাবে আমাদের প্রত্যেকটা পদে পদে কাঁটা বিছিয়ে দিচ্ছে। কিছুতেই বিষয়টি উদঘাটন করতে দিচ্ছে না।
আকাশ : হুম ঠিকই বলেছিস লোকটা বহুৎ সেয়ানা মাল। আমাদের প্রত্যেকটা পায়ের ধাপের খবর রাখছে।
আদিল : রাখতে দে সময় আমাদেরও আসবে। এখন সময়টা ওই শা'লার ওই জন্য খেলছে, খেলতে দে। সময়টা একবার আমাদের হাতে আসুক তারপর দেখাবো আর্মিরা কি জিনিস।
সবার কথাবার্তার মাঝে এবার বিহার নিজে নীরবতা কেটে বলে "
_ ওদের কলিজা একটু বড় হয়ে গেছে একটু মাপতে হবে কত বড় হয়েছে। কত বড় কলিজা নিয়ে ক্যাপ্টেন বিহান চৌধুরীর পরিবারের দিকে হাত বাড়িয়েছে দেখতে হবে না ?
আদিল : আমার মনে হয় ব্যাটাদের শান্তির অনেক অভাব। এইজন্যই তো বাড়িতে হামলা করতে গিয়ে অ্যাসিড দিয়ে হাত পুড়িয়ে ও শান্তি হয়নি। আবার এখানে আসছে শান্তিতে মরার জন্য।
বিহান : কালকে যারা এখানে এসেছিল তাদের কোথায় রেখেছিস ?
বর্ষা : কোথায় আবার রিসোর্টের গুদাম ঘরে।
বিহান : ওদের একটু স্পেশাল আপ্যায়ন আপ্যায়নের প্রয়োজন। রাতে ভালো করে আপ্যায়নটা করে দেই তোরা কি বলিস ?
মিতালী : আমার তো মন চাচ্ছে এখনই কি ওদের আপ্যায়নটা সেরে আসি।
বিহান : এখন না মানুষ সন্দেহ করতে পারে। স্পেশাল আপ্যায়নটা রাতের জন্যই তোলা রাখ।
এখন তোরা সবাই যা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা টেবিলে আয়।
বিহারের কথায় সম্মতি দিয়ে সবাই ওখান থেকে ফ্রেশ হতে চলে যায়। বিহার নিজেও যায় ফ্রেশ হওয়ার জন্য।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে একদম রেডি হয়ে বাহিরে আসে। বিহান বাহিরে এসে দাঁড়াতেই এক এক করে সবাই রুম থেকে বাহিরে আসে। শুধু দেখা মিললো না আরশির। কিছুক্ষণ যাবৎ অপেক্ষা ক