ই থাকবে।সেদিন নওশাদ এম পি এর নমিনেশন পাবে।তাই নির্বাচন অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তায় শো ডাউন করছে।নাজিমুদ্দিনও সেখানে যাবে বলে পার্টি অফিস থেকে বের হবে তখনি নওফিল আসে।নওফিলকে দেখে নাজিমুদ্দিন অবাক হয়ে বলে সে এই সময় এখানে কেনো?তার তো এয়ারপোর্ট থেকে সোজা বাড়ি যাওয়ার কথা।নওফিল তখন বলে,
--আব্বু,আপনি সৎ,নিষ্ঠাবান একজন মুন্ত্রী।কখনো আপনি অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন নি।জনগনের সেবায় আপনার এক মাত্র ধর্ম বলে মেনেছেম।সব সময় সেটায় দেখে এসেছি।
--হ্যা,বেটা, কিন্তু এসব কথা বলছো কেনো?বেটা তুমি বাড়ি যাও।তোমার আম্মু তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।আমি এখন একটু নির্বাচন অফিসে যাবো।
--যাবেন,আগে আমার কথা শুনেন।
নাজিমুদ্দিন এগিয়ে এসে নওফিলের কাধে হাত রেখে বলে,কি হয়েছে বেটা?
--আব্বু,আপনি জেনে শুনে একজন অন্যায়কারীর হাতে জনগনের সেবার দায়িত্ব দিতে পারবেন?
--না,কখনো না।
--তবে আজ আপনাকে বলি,যে ছেলের নমিনেশনের জন্য যাচ্ছেন সে নওশাদ এখজন রে*পিস্ট।একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে।না জানি আর কত মেয়ের জীবন নষ্ট করে ও।একজন রেপিস্টের হাতে আপনি জনগনের দায়িত্ব দিবেন?তবে জনগণ ভরসা পাবে কোথায়?
--বেটা, তুমি এসব কি বলছো?
--হ্যা আব্বু,আমি সত্যিই বলছি।আপনি ওকে ডেকে পাঠান শুনেন ওর থেকে।মনে পড়ে আব্বু,আজ থেকে দুবছর আগে একটা মেয়েকে রেইপ করে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলো।পুরো দেশে তার নিউজ ছড়িয়ে পরেছিলো।সেটা আর কেউ না।আপনার ছেলেই নওশাদের কাজ।
নাজিমুদ্দিন নওশাদকে ডেকে পাঠায়।নওশাদ বাবার পার্টি অফিসে আসলে নওফিল গিয়ে ওর পাঞ্জাবির কলার ধরে বাবার সামনে দাঁড় করায়।সত্যতা প্রমান হলে নওফিলের বাবা নাজিমুদ্দিন নওশাদকে বহিষ্কার করে।নওফিল ওখানেই জেনো নওশাদকে বেধড়ক মা*রে।হাজার হলেও বাবা,চোখের সামনে এক ছেলে আরেক ছেলেকে মা*রতে দেখে নাজিমুদ্দিন বাঁধা দিতে গেলে নওফিল কোন বাঁধা মানে না।বরং বাবাকে নিয়ে গিয়ে আরেক রুমে আটকে দিয়ে নওশাদকে যা নয় তাই দিয়ে পিটায়।জানালা দিয়ে নাজিমুদ্দিন বার বার বলে এভাবে মেরো না,মরে যাবে।নওফিল কোন কথা কানে তুলে না।ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মত মারতেই থাকে আর ওর বাবাকে বলে
--ও আমার কলিজায় হাত দিয়েছে আব্বু।ওর সাহস হয় কি করে?
মারতে মারতে এক পর্যায়ে নওশাদ নিস্তেজ হয়ে পড়লে তখন নওফিল ওকে ছেড়ে দিয়ে পার্টি অফিস থেকে বেড়িয়ে যায়।নাজিমুদ্দিনকে তার পি.এ দরজা খুলে দিলে নওশাদকে হাসপাতলে পাঠায়।তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয়।
লাস্ট পেইগ ঢক ঢক করে গিলে ঠক শব্দ করে গ্লাসটা রেখে লালাভচক্ষু নিয়ে নওশাদ উঠে দাঁড়ায়।উদ্দেশ্য এই ভোর রাতে এখন সে বাড়ি ফিরবে।সারারাত মদের নেশায় উদ্বুদ্ধ ছিলো।এখন তার হুস উঠেছে বাড়ি ফেরার।
---++++++
পরের দিন ঠিক নওফিল এসে হাজির আমাদের বাসায়।ওর আসাতে অনেক খুশি হয়েছি আমি আবার মন খারাপও হয়েছে বাবা-মা,ভাইকে ছেড়ে যেতে হবে।সবার কাছে থেকে বিদায় নিতে কান্না করে দিলাম।তা দেখে নওফিল আব্বুকে বলল আবার রুপগঞ্জ নিজেদের বাড়িতে চলে যেতে।সব ত এখন ঠিকি হয়ে গেছে।একই জেলায় বাড়ি হলে তবে নাকি মন খারাপ হলে সকালে আমাকে বাপের বাড়ি রেখে আসবে আর বিকেলে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।তাহলে ওরও বউ ছাড়া সাত আট দিন থাকা লাগবে না।এ কথা শুনে তো তনু ভাবি হেসে কুটি কুটি।রসিকতা করে বলে,নৈশীকে চোখে হারান দেখছি।এই ছয়দিন নিশ্চয় দম আটকে ছিলো।ওদের রসিকথা শেষ হলে আব্বু নওফিলকে বলল খুব শিঘ্রই নাকি রুপগঞ্জ ট্রান্সফার নিবে।অত:পর হেলিকাপ্টারে করে আমরা বাড়ি চলে এলাম।আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েই নওফিল ছুটলো ফ্যাক্টরির দিকে।যাওয়ার আগে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে গেলো,
--ছয়দিনের জমিয়ে রাখা ভালোবাসাগুলো কিন্তু আজও সুদে-আসলে উসুল করবো।তৈরি থেকো রসমালাই।রাতে .......
এইটুকু বলতেই লজ্জায় আমি সরে গেলাম।লাজুক ভঙ্গিতে বললাম,যাহ।
মাথা চুলকে হাসতে হাসতে নওফিল গাড়িতে গিয়ে বসে।
নওফিল গাড়িতে উঠে বসলো।তবুও আমি ওর দিকে তাকিয়েই আছি।সাইড মিরোরে নওফিল আমাকে ইশারা করে বলল বাড়ি ভেতরে যেতে।আমি বললাম,দেখি না একটু।
নওফিল তখন গাড়ির নেমে এসে আবার আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,দেখাদেখি রাতে হবে।এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নাও।রাতে ভীষণ জ্বালাবো আজও।তখন জেনো বলো না আমি তোমায় রেস্ট নিয়ে দিয় না।কারন আমি সত্যিই তোমায় রাতে রেস্ট নিতে মানে ঘুমোতে দেবো না আজ।সাতদিনের সব ভালোবাসা দিনে দিনে উসুল করবো।আমাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি যাওয়া তাই না?এরপর নওফিল আমার নাক টেনে দিয়ে আদুরে স্বরে বলে,রসমালাই ছাড়া আমার ঘুম হয় না তা বুঝি তুমি বুঝো না হু।
আমি নাক ঘষতে ঘষতে বলি,হিংসুটে বর একটা আমার।বাপের বাড়ি যাওয়াও সহ্য করতে পারে না।
--নাহ সহ্য হয় না।এবার যাও বাড়ির মধ্যে যাও।আমি বেরোবো তো।
--হুম।
বলেই আমি সদর দরজার দিকে পা বাড়ালাম।
চলবে.
Tanzim Bin Helal
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?