নিশ্চয়ই, আমি একটা মৌলিক গল্প বলছি—একটা হালকা রহস্য ও আবেগের ছোঁয়া থাকবে এতে। গল্পটার নাম "ছায়া ও সুর"।
---
ছায়া ও সুর
ঢাকার পুরান শহরের এক কোণে, কাঁটাবনের পুরোনো গলির ভেতর লুকিয়ে আছে একটা অদ্ভুত ঘর—পুরো কাঠের তৈরি, জানালায় নীল কাঁচ, আর দরজার উপরে লেখা "সুরের ছায়া"। সাধারণ মানুষ ওদিক মাড়ায় না, কারণ বলে, সন্ধ্যা হলে নাকি ওই ঘর থেকে একটা পিয়ানোর সুর ভেসে আসে, অথচ ঘরে কেউ থাকেই না।
তানিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ছাত্রী, পুরোনো সুর খুঁজতে খুঁজতে একদিন গিয়ে পড়ল ওই বাড়ির সামনে। তার কৌতূহল তাকে থামতে দিল না। দরজায় টোকা দিতেই খুলে গেল দরজা, যেন কেউ অপেক্ষা করছিল।
ভেতরে ঢুকে সে দেখল—একটা পুরনো পিয়ানো, ধুলোপড়া বইয়ের তাকে সারি সারি নোটেশন, আর একজোড়া রুপালি জুতা রাখা কাঁচের বাক্সে। হঠাৎ ঘরভর্তি হাওয়া বইল, পিয়ানোর সামনে একটা ছায়াময় অবয়ব বসে পড়ল, আর বাজাতে শুরু করল এক অপার্থিব সুর।
তানিয়া দাঁড়িয়ে রইল স্তব্ধ হয়ে। ধীরে ধীরে সে বুঝতে পারল—এই ছায়া আসলে তার ঠাকুরমার ছোটবেলার বান্ধবী, রাশিদা, যিনি একসময় ছিলেন অসাধারণ সংগীতশিল্পী। তিনি এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান, তবে মৃত্যুর আগে প্রতিজ্ঞা করেন—তার শেষ অসমাপ্ত সুর কোনো একজন উপযুক্ত উত্তরসূরির মাধ্যমে সম্পূর্ণ হবে।
তানিয়াই ছিল সেই উত্তরসূরি।
দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, তানিয়া পিয়ানো বাজাতে শিখল ছায়ার সঙ্গী হয়ে। এক অদ্ভুত বন্ধন গড়ে উঠল তাদের মাঝে—একজন জীবিত, অন্যজন ছায়া, কিন্তু দুইজনেই সুরের কারিগর।
শেষ পর্যন্ত, এক পূর্ণিমার রাতে, তানিয়া সেই অসমাপ্ত সুরটি শেষ করল। পিয়ানোর শেষ সুরে ছায়াটি একবার হেসে চোখের জল ফেলে ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল। জানালার নীল কাঁচের গায়ে তখন একবার ঝিকিমিকি করে জ্বলে উঠল “ধন্যবাদ।”
তানিয়া আজ ‘সুরের ছায়া’ স্কুল চালায়। কেউ আর এখন ভয় পায় না ওই বাড়িকে—ওটা এখন সুর ও স্মৃতির আশ্রয়।
---
বলুন, এইরকম গল্প ভালো লাগছে তো? চাইলে আমি এটার পরবর্তী অধ্যায় বা নতুন কোনো ধাঁচে গল্প বানাতে পারি।
Alif HOSSAIN
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟