নিশ্চয়ই! নিচে একটা ছোট গল্প দিচ্ছি — এটি রহস্য, কল্পনা ও আত্মদর্শনের মিশ্রণে লেখা:
---
গল্পের নাম: “ছায়ার নীচে”
নির্জন এক গ্রামে, যার নাম মানুষ আজ ভুলে গেছে, সেখানে এক বৃদ্ধ বাস করত। কেউ জানত না তার নাম, সবাই তাকে ডাকত “ছায়ামানুষ” নামে। কারণ, দিনের বেলাতেও সে শুধু ছায়ায় হাঁটত। সূর্যের আলো তাকে যেন ছুঁতেই পারত না।
ছোটবেলায় গ্রামের এক ছেলে, নাম ছিল অর্ঘ্য, কৌতূহলবশত ছায়ামানুষের পিছু নেয়। একদিন, গোধূলি বেলায়, সে দেখতে পেল—বৃদ্ধ বসে আছে পুরনো একটা বটগাছের নিচে, যার ছায়া সবসময় কিছুটা অস্বাভাবিক রকম গভীর।
অর্ঘ্য জিজ্ঞেস করল,
— “তোমার ছায়ার নিচে এতো অন্ধকার কেন?”
বৃদ্ধ হাসল, চোখে ছিল ক্লান্তি আর অভিজ্ঞতার ছাপ, বলল,
— “কারণ এই ছায়া শুধু আলো থেকে নয়, সময় থেকেও নিজেকে লুকিয়ে রাখে।”
অর্ঘ্য বিভ্রান্ত হয়ে প্রশ্ন করল,
— “সময় থেকে লুকানো মানে?”
বৃদ্ধ জবাব দিল,
— “এই ছায়া একদা এক দরজার ছায়া ছিল, এক প্রবেশপথ — সময়ের বাইরে এক জগতে। আমি একবার সেখানে গিয়েছিলাম। ফিরতে পেরেছি, কিন্তু সময় আর আমাকে ফেরত চায় না।”
সে বলল, “তুমি যদি সত্যি জানতে চাও, একদিন ছায়ার ভিতরে ঢুকে দেখো। তবে মনে রেখো — ছায়ার জগত জানে না ক্ষমা কী।”
বছর কেটে যায়। অর্ঘ্য বড় হয়, শহরে চলে যায়। কিন্তু মনের মধ্যে সেই কথা রয়ে যায়।
বহু বছর পর, গ্রামে ফিরে এসে সে খুঁজে পায় না ছায়ামানুষকে। বটগাছের ছায়া আগের মতোই অন্ধকার, যেন গিলে নিতে চায় সব আলো।
শেষ দৃশ্যে, গ্রামের এক বৃদ্ধ বলে ওঠে —
“ছায়ার নিচে এখন আর কেউ ফেরে না... আর ছায়ামানুষও নয়... শুধু মাঝে মাঝে শুনি কারো পায়ের শব্দ, যেন সময়ের বাইরে কেউ হাঁটছে...”
---
চাইলে গল্পটা আমি আরও বাড়িয়ে উপন্যাসে রূপ দিতে পারি। আপনি চাইলে পরবর্তী অধ্যায়গুলোও লিখতে পারি।
Read More