গল্পের নাম: লাল কেল্লার শেষ রাত্রি
১৬৫৮ সালের এক অন্ধকার রাত্রি। মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী দিল্লির লাল কেল্লা তখন নিঃস্তব্ধ। সম্রাট শাহজাহান, যিনি এক সময় ছিলেন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী শাসক, এখন তার পুত্র আওরঙ্গজেবের আদেশে বন্দী কেল্লার এক কোণার ছোট কক্ষে।
তার পাশে পড়ে আছে একটি রুপোর আরশি—যেটাতে প্রতিদিন তাজমহলের প্রতিবিম্ব দেখা যেত। শাহজাহান কাঁপা হাতে সেই আয়নাটা তুললেন। কিন্তু আজ আর তিনি তাজমহল দেখতে পাচ্ছেন না—চোখে পানি, আর মন ভরা দুঃখে।
হঠাৎ দরজায় ধীরে ধীরে আওয়াজ—"আব্বাজান..."
সে তার ছোট মেয়ে জাহানারার কণ্ঠস্বর।
জাহানারা প্রতিদিন রাতের আঁধারে বাবার জন্য খাবার আর খবর নিয়ে আসত। আজ সে একখানা কাপড়ে মোড়ানো পুরনো কাগজ দিল বাবার হাতে।
"আব্বা, আগ্রার এক চিত্রশিল্পী আপনার শেষ ইচ্ছার কথা শুনে এটা এঁকেছে।"
শাহজাহান কাপড় খুলে দেখলেন—তাজমহলের জলরঙে আঁকা এক চিত্র। তিনি নিঃশব্দে কাঁদলেন।
"আমি তো আমার মমতাজকে চেয়েছিলাম অমর করে রাখতে। কিন্তু সময়... সব কিছু ধ্বংস করে দেয়, তাই না, জাহানারা?"
মেয়ে চোখের জল গোপন করে বলল, "কিন্তু তাজমহল এখনও দাঁড়িয়ে আছে, আব্বা। আপনি হয়তো বন্দী, কিন্তু আপনার ভালোবাসা নয়।"
সেই রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন সম্রাট শাহজাহান।
তাকে তার প্রিয় মমতাজের পাশে, তাজমহলের ভিতরে সমাধিস্থ করা হয়।
শিক্ষা: ইতিহাস শুধু যুদ্ধ আর ক্ষমতার নয়, ভালোবাসা, বিশ্বাস, এবং আত্মত্যাগেরও দলিল।
আপনি চাইলে আমি মুঘল যুগ, সেন রাজবংশ, পাল রাজত্ব, বা ব্রিটিশ আমলের ওপর ভিত্তি করে আরও ঐতিহাসিক গল্প তৈরি করতে পারি। কোন সময়কাল বা চরিত্র নিয়ে আগ্রহী আপনি?