“এক মুঠো ভালবাসা”
এক ছোট্ট গ্রামে বাস করত এক বালক, নাম তার রাহিম। রাহিম ছিল খুব গরিব, কিন্তু মনটা ছিল অঢেল ভালোবাসায় ভরা। প্রতিদিন সে তার মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করত, আর সময় পেলেই গ্রামের বয়স্কদের সাহায্য করত—কখনো পানি এনে দিত, কখনো জ্বালানি কাঠ কুড়াত।
একদিন গ্রামের বাজারে এক ধনী ব্যবসায়ী এল। লোকটা লোকজনকে তাচ্ছিল্য করত, টাকা ছাড়া কিছু বোঝত না। সে ঘোষণা দিল, “যে আমাকে সবচেয়ে দামী উপহার দিতে পারবে, তাকে আমি পুরস্কার দিবো।”
গ্রামের অনেকে সোনা-রূপা, মূল্যবান জিনিস এনে হাজির করল। ব্যবসায়ী সবাইকে দেখল, কিন্তু তেমন খুশি হল না।
শেষে রাহিম এল। তার হাতে কিছুই নেই, শুধু এক মুঠো মাটি। সে বলল,
“চাচা, আমার কিছু নেই, শুধু এই মাটি আছে। এই মাটি দিয়ে আমরা ফসল ফলাই, এতে আমার মা রুটি বানায়, আমি মানুষদের সাহায্য করি। এই মাটি আমাদের জীবন দেয়। আমার কাছে এটাই সবচেয়ে দামী।”
লোকটা প্রথমে হেসে উঠল, তারপর থেমে গেল। সে ভাবল—এই বাচ্চাটা যেটা দিয়েছে, সেটা শুধু মাটি নয়, সেটা ভালোবাসা, সম্মান, কৃতজ্ঞতা।
লোকটা চোখ ভিজে ফেলল। সে বলল,
“তুমি সত্যিই দামী জিনিস এনেছো—এক মুঠো ভালোবাসা।”
তারপর সে রাহিমকে পুরস্কার দিল, আর গ্রামে একটা ছোট স্কুল তৈরি করল—রাহিমের নামে।
শিক্ষা:
সত্যিকারের দান বা উপহার টাকার মূল্য দিয়ে নয়, হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়ে মাপা হয়।