গল্প: মায়ের শিক্ষার আলো
এক গ্রামে থাকত রিয়া নামে এক মেয়েটি। সে ছিল খুব শান্ত এবং মায়ের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তার মা ছিলেন একজন গৃহিণী, কিন্তু মায়ের শিক্ষা আর আদর্শ রিয়াকে জীবনের অনেক বড়ো শিক্ষা দিয়েছিল।
শৈশবের শিক্ষা
রিয়ার মা সব সময় তাকে শেখাতেন, "পুতুল, জ্ঞান আর ভালো চরিত্রের চেয়ে বড়ো ধন আর কিছুই নেই। ভালো মানুষ হও, তাহলে জীবন সুন্দর হবে।"
রিয়া মাের কথা মনে রেখে পড়াশোনা করত এবং মানুষের প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল ছিল।
ছোট্ট দয়া
একদিন রিয়া রাস্তায় হাঁটছিল। সে দেখল এক বৃদ্ধা অসহায় অবস্থায় ছিল, সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
রিয়া দৌড়ে গিয়ে তাকে সাহায্য করল, তার হাতে হাত ধুয়ে দিলো, ওষুধ এনে দিলো। বৃদ্ধা তার দিকে আশীর্বাদ করল।
এ ঘটনা দেখে গ্রামের সবাই রিয়ার ভূমিকাকে প্রশংসা করল।
শিক্ষার মাধ্যমে পরিবর্তন
রিয়া যখন বড় হলো, সে বুঝল যে শুধু নিজের জন্য জ্ঞান অর্জন করা যথেষ্ট নয়। সবাইকে শিক্ষার আলোতে আলোকিত করা দরকার।
সে গ্রামের ছোটো শিশুদের জন্য পাঠশালা খুলল। যেখানে পড়াশোনা ছাড়াও ভাল মানবিক শিক্ষা দেওয়া হত।
স্বপ্ন পূরণ
রিয়া বড় হয়ে শিক্ষিকা হলো। তার মায়ের শিক্ষা মেনে চলল এবং তার শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলল।
তার শিক্ষার্থীরা সবাই দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করল।
শিক্ষণীয় দিক:
ভালো চরিত্র সবকিছুর উপরে।
সহানুভূতি মানুষের জীবনে আলো নিয়ে আসে।
শিক্ষা কেবল বই পড়া নয়, জীবনের সব দিক উন্নত করার মাধ্যম।
মায়ের শিক্ষা জীবনের মূল ভিত্তি।