অর্থাৎ একজন মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের ছয়টি অধিকার বা হক রয়েছে। আর এগুলো এমন কতগুলো অধিকার যার প্রত্যেকটি পৃথক পৃথক বিবেচনায় নিলে ইবাদতের দিক থেকে তার কোনটি সুন্নাত, কোনটি ওয়াজিবের পর্যায়ে পড়ে, ফরজের কাতারে নয়। কিন্তু একজন ব্যক্তি যখন ঈমানের ভিত্তিতে নিজেকে মুসলিম দাবী করে তখন তার ঈমানের দাবীই হলো অপর মুসলমানের প্রতি উল্লেখিত ছয়টি কর্তব্য পালন করা। আবার এগুলো কুরআন বা হাদীস কর্তৃক নির্ধারিত নিকট আত্মীয়দের জন্য কোন অধিকার নয়, বরং এটি আত্মীয়, অনাত্মীয়, ধনী-গরীব, পরিচিত-অপরিচিত সকল মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের ঈমানের দাবী যে, সে তার অন্য মুসলিম ভাই থেকে উল্লিখিত ছয়টি অধিকার লাভ করবে। মূলত ইসলাম যেমন রক্তের বা বংশের সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বারোপ করেছে ঈমানে ভিত্তিতে যে বন্ধন তৈরী হয়েছে তার ওপর।