ঢাকার ব্যস্ত শহরের এক প্রান্তে ইশিতা নামের এক তরুণী বাস করতেন। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, সে এক ছোট্ট ফ্ল্যাটে একা থাকত। তার জীবন একঘেয়ে হয়ে পড়ছিল। ইশিতা লেখালেখি করতেন, বিশেষ করে চিঠি লেখায় তার খুব আগ্রহ ছিল। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে কেউ আর চিঠি লেখে না। একদিন, তাকে বিরক্ত লাগছিল, তাই তিনি পুরোনো কাগজে একটি চিঠি লিখলেন। কিন্তু সেই চিঠি পোস্ট করতে পারেননি। কিছুদিন পরে, এক সকালে, একটি অচেনা চিঠি তার দরজায় পড়ে থাকতে দেখা গেল। চিঠিটা ইশিতার নামেই ছিল।
চিঠির লেখক জানায়, সে একজন অচেনা শহরের বাসিন্দা, যেখানে প্রেমের গল্পগুলি অজানা। লেখক তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছে, এবং ইশিতা অনুভব করে যেন লেখক তার মনের গভীরতম কথা বলে যাচ্ছে। চিঠির প্রতিটি শব্দ ইশিতার হৃদয়ে একটি নতুন আশা জাগিয়ে তোলে। কিন্তু সমস্যা হলো, লেখকটি কে? কীভাবে তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব?
প্রথমে ইশিতা ভেবেছিল যে এটা হয়তো কোনো রসিকতা। কিন্তু চিঠির কথাগুলো এত গভীর, এত আন্তরিক যে সে তা সহজে উপেক্ষা করতে পারছিল না। ইশিতা প্রতিদিন সেই চিঠি পড়তে শুরু করে, এবং তাতে উত্সাহিত হয়ে সে লেখককে খুঁজতে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে আশঙ্কা করে যে, হয়তো লেখক তাকে ভুল বুঝে ফেলতে পারে। কিন্তু তার মনে একটি আশা জেগে ওঠে— যদি লেখক তার কাছে আসেন?
সে সিদ্ধান্ত নেয়, কফিশপে যাবার পর প্রথমে শহরের কিছু স্থান খুঁজে বের করবে। তার মনে হয়, হয়তো লেখকও সেখানে আসেন। দিনগুলো চলে যেতে থাকে, আর ইশিতা প্রতিদিন সেই অচেনা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে থাকে। কিন্তু এখনও লেখকের কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। একদিন, কফিশপে বসে, সে ঠিক করে রেখেছে যে সে আরেকটি চিঠি লিখবে, যেখানে সে লেখককে খুঁজে বের করার জন্য নিজের মনের কথা প্রকাশ করবে।
একটি নতুন চিঠি লেখার সময়, সে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেয়—ভালোবাসা কি সত্যিই শুধু একটি গল্প? কি তার জীবনে নতুন কিছু ঘটতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নগুলোই তাকে বাড়িয়ে দেয়। ইশিতা তার জীবনে নতুন কিছু প্রত্যাশা নিয়ে, শহরের অজানা পথে হাঁটতে শুরু করে। তবে কল্পনার লেখক খুঁজে বের করা সম্ভব হবে কিনা, সে বিষয়টি এখনও অজানা