গণতন্ত্র হলো,
ক্ষমতার অধিগ্রহণ।
প্রতিটা মত গোষ্ঠীর,
এই একই সূত্র যোগ!
সার্বজনীন সার্বভৌমত্ব,
এখানে অন্যায্য।
ঠিক ততক্ষণ গণতন্ত্র হয়ে ওঠে না,
যতক্ষণ ক্ষমতা মুষ্টিগত না হয়।
আর ক্ষমতায় অভিষিক্ত হবার পরেই,
গণতন্ত্র খুব অপরিচিত হয়ে দাঁড়ায়!!
তখন ক্ষমতা তন্ত্র আর পেশী তন্ত্রই,
একমাত্র প্রজ্ঞা হয়ে ওঠে।
জলে স্থলে গগনে,
কেবলই ক্ষমতার অধিকারের চর্চা!
যখন রাজত্বে রাজা হয়ে থাকা,
মনে মনে ভাবে আজন্মের এই সিংহাসন।
এ শুলে যে একবার বসে,
সে আর অবসান হতে চায় না।
গণপ্রজাতন্ত্রের মালা পরে,
স্বৈরাচার ভূমিকায় অলংকৃত হয়ে ওঠে।
এখানে আপাদমস্তক একই ভূমিকার অনুসারক!
শুধু পালা বদলের রাজনীতি।
দেশ প্রেমিক বলে কোথাও কেউ নেই,
শুধু ভোক্তার মত ভোগীদার।
লুন্ঠন আর আত্মসাৎ চর্চায়,
স্ফুলিঙ্গের মত নিবেদিত!
যেন নিষিদ্ধ পল্লীর বাসিন্দা।
এখানে ফুল থেকে গন্ধ আসে না!
বোতল ঢেলে গন্ধরসে,
ফুলের বাসে আদ্র হয়।
এখানে মঞ্চে বক্তৃতায়,
কেঁদে মাটিতে লুটায়ে পরে।
বিষ দাঁত লুকায়ে লালসার লালা ঢেকে হাসে,
আষ্টেপৃষ্ঠে এরা একই মনো ব্রতে রপ্ত।
একই চিন্তা স্থূলের লোভের ডিঙ্গার যাত্রী,
সমষ্টিগত এরা গৃহপালিত লেজের মত বাঁকা।
এরা স্বার্থের সুবিধার জন্য,
বদলে যেতে পারে নিজস্ব'তা ছেড়ে!
অস্বীকারে বিসর্জন দিয়ে।
গণতন্ত্রের সত্যের সততা'কে,
এরা কখনোই জানে না।
এদের গণতন্ত্র,
কেবল ক্ষমতার অধিকরন।।
দৈন বাত।