আমাদের দীন মসজিদে যেমন পালন করতে হয় ঠিক তেমনি হাটে-বাজারে, অফিস-আদালতে, সংসদ, গণভবন, বঙ্গভবন সর্বত্রই মানতে হবে। আল্লাহর বাণী, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন’- সূরা বাকারা ২০৮। হাটে- বাজারে, অফিস-আদালতে, সংসদ, গণভবন, বঙ্গভবনে আল্লাহকে মানা না হলে সেখানে মানা হয় শয়তানকে এবং যার পরিণতি এই দুঃশাসন। আংশিক মানার পরিণতিও আল্লাহপাক বলে দিয়েছেন, ‘তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশ মানবে এবং কিছু অংশ অমান্য করবে, তাহলে দুনিয়ার জীবনে রয়েছে জিল্লতি ও আখিরাতে রয়েছে ভয়াবহ আজাব’- সূরা বাকারা ৮৫। সারা বিশ্বে আমরা কোনো সম্মানের পাত্র নই। অপমান ও জিল্লতি পদে পদে ভোগ করছি। অথচ আল্লাহপাক আমাদেরকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দান করেছেন, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠতম জাতি, তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে মানবজাতির কল্যাণের জন্য, তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেবে ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে’- সূরা আলে ইমরান ১১০। যাদের হাতে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব কেবল তারাই নির্দেশ প্রদান করতে পারে এবং সম্মান ও মর্যাদা তাদেরই। ইবলিসের অনুসারিরা রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের অধিকারী হবে আর আল্লাহর খলিফারা তাদের আনুগত্য করবে- এটা একজন মুসলমানের জন্য কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। কালিমা তাইয়্যেবার দাবি সকল তাগুতকে অস্বীকার করে কেবল আল্লাহকে মানার নামই ঈমান। সেই হিসাবে বলা যায় কালিমা তাইয়্যেবা একটি পলিটিক্যাল স্লোগান যেটার উচ্চারণে তাগুত বেসামাল হয়ে পড়ে এবং অতীতে সকল যুগে হয়েছিল। সোজা-সাপটা বলা যায় আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু মানি না মানবো না।