তোমার দেহের ঘাঁটিতে
কয়েকগোছা ধানের আঁটিতে
তোমার গ্রস্ত উপত্যকায়
আর অলসতা জড়ানো সন্ধ্যায়
তোমার দেহ সাপ্টে
সমস্ত অঙ্গ জাপ্টে....
লিখবো চার অক্ষরের শব্দ
ভালোবাসি।
তোমার দেহের মাটিতে
লজ্জাবতী লতা জড়িয়ে
জোছনা দেয় ভরিয়ে
তোমার দেহবল্লরী
তখন মনে হয় মরি
তোমাতেই।
তোমার ঊরুসন্ধিতে
কর্পোরেট দস্যুর ফন্দিতে
বিপণন হয় সুগন্ধি
লাইন পড়ে লম্বা
কেনার জন্য হুড়োহুড়ি
তোমার পশম সবুজ খসখসে
জলের ছিটে দিলেই দহন থাকে বশে।
আমার প্রাচীন কেল্লা
হারিয়েছে সব জেল্লা
শীতের দুপুরে আর যাই না
মাঠ পাহারা দিতে
কেউ আর আসে না নিতে
সোনালী ধানের গন্ধ
আর কোরো না কপাট বন্ধ।
তোমার কস্তুরী নাভিতে দিলাম আমি ডুব
তোমার অধরে খুঁজে পেতে চাই খুব
তোমার ডুরে শাড়িতে
আমার প্ৰিয় নারীতে
তোমার আঁচলের প্রান্তে
বাউন্ডুলে একান্তে
মুছি দেহের ঘাম
ঝলকায় যাম
দুজনেই বদনাম।
অকাল অঝোরে বৃষ্টিতে
আকুল করা দৃষ্টিতে
বহু যোজন দূরে থেকেও
তোমাকে যখন ছুঁই
উম্মাদ হয় জুঁই
তুমি আমাকে সারাক্ষণ ভাবো জানি
আমিও শুধু তোমার কথাই ভাববো
যেদিন আমরা রইবো না.....
অমর হবে দুজনের প্রেম কাব্য।