কবিতা:দুঃখের চাঁদরে মোড়া ভালোবাসা
ভালোবাসা ছিল এক টুকরো সোনালি রোদ,
আজ তা ঢেকে গেছে মেঘে, নেই আর কোনো ছোঁব।
তোমার দেয়া “দুঃখের চাঁদর” মুড়িয়ে আছে হৃদয়,
হাসির খামে ভরা ছিল, এখন কাঁদে প্রতিদিনের সন্ধ্যায়।
তুমি ছিলে “জলের ফুল”—ছুঁলেই গলে যেতা,
আমি ছিলাম মাটির পুতুল, ভালোবেসে পথ হারাই ভেতরটা।
তোমার প্রতিটি কথা ছিল “চোখের মণি” মতন,
আজ তা “জলের মতো গড়িয়ে” যায় স্মৃতির রতন।
ভালোবাসা কি কেবল “মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি”?
না কি “রক্ত জল করা চোখের”—অপ্রকাশিত দৃষ্টি?
আমরা যে ভালোবেসেছিলাম “আকাশের রং ছুঁয়ে”,
শেষে দেখি, তুমি ছিলে “শূন্যে ফেলা জাল”—ফিরলে শুধু খুঁয়ে।
দুঃখের ছায়ায় এখন “পথ চলি একা একা”,
তুমি যে ভালোবেসে গেলে “পাতা ঝরার টিকা”।
“সাপের ছুঁচো গেলা” মন, না পারে ছাড়তে তোকে,
না পারে রাখতেও বুকের ভিতর—দুঃখে দুঃখ জোকে।
তুমি যে এখন “অচিন পাখি”, ডাকে না আর বারে বারে,
তবু আমি বসে থাকি, “পাহাড়ের মতো স্থির”—ভাঙার আশঙ্কায় আঁধারে।
ভালোবাসা ছিল, আছে, থাকবে…
তবে আজ তা শুধু “চোখের কাটা”, বুকে জমে থাকা ছাইয়ের ভাগে।