ইজরায়েলের চেলা | #তাহলে ঠ্যাকা হিজড়াদের ছেলা
ইজরায়েলের চেলা | #তাহলে ঠ্যাকা হিজড়াদের ছেলা
#র্ণ। দ্রুত পায়ে ঘুরে গিয়ে দাঁড়ালো জোহরার সিটের পাশের দরজার সামনে। চোখেমুখে দৃঢ় সংকল্প। এক নিঃশ্বাসে খুলে ফেলল দরজা। এরপর এক মুহূর্ত থমকালো। নিজের ইচ্ছারই বিচার করে নিচ্ছে মনে মনে। চোখেমুখে কি এক অদৃশ্য হিসেবের অঙ্কচিত্র। কিছু একটা ভেবে আর দেরি না করে জোহরার দিকে বাড়িয়ে দিলো দু’হাত। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তাকে ডেকে তুলতে নয় বরং কোলে তুলতে যাচ্ছে।
কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই চোখ মেলে ফেললো জোহরা।চোখেমুখে হতভম্ব ভয় আর ধাক্কার ছাপ। আতকে উঠে নিজেকে সরিয়ে নিতে নিতে জোর গলায় বলে উঠলো,
- এই এই কি করছেন আপনি? একটু ঘুমিয়ে গেছি বলে আমার ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নিচ্ছেন? সরুন বলছি আমার থেকে।
বর্ণ নির্বাক। আচমকা জোহরার ঝাঁঝালো প্রতিবাদে মুহূর্তের জন্য থমকে গেলো বর্ণ। ঘন শ্বাস টেনে নিজেকে সামলে নিলেও তার চোখেমুখে এক অদৃশ্য অস্বস্তির রেখা। অতর্কিতে উঠে বসা মেয়েটার কণ্ঠস্বর ঠাণ্ডা ছু/রি চালিয়ে দিলো আত্মসম্মানে। তবু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই রাগ চাপা দিয়ে ঠোঁট বেঁকিয়ে তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো,
- শুনো মেয়ে নিজেকে খুব বেশি স্পেশাল কিছু ভাবার দরকার নেই বুঝেছো? আমার ঠ্যাকা পড়েনি তোমার ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নেয়ার। এতটা নিম্নরুচির কেউ নই আমি।
জবাব দিতে একটুও দেরি করলো না জোহরা।ফটাফট বলে উঠলো,
- হ্যাঁ, ঠিক কী করছিলেন তা তো দেখতেই পাচ্ছি।
মুহূর্তেই একটা নিস্তব্ধতা ঘিরে ধরলো দু’জনকে। একপাশে আহত পুরুষের অহম, আরেক পাশে জেগে ওঠা নারীর আত্মসম্মান। দুটো আগুন, দুটি বিপরীত মেরু। সমান্তরালে হেঁটে চলছে সমঝোতার অনতিক্রম্য দূরত্বে। বর্ণের ভেতরের ক্ষোভ ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলো । চোখেমুখে রক্ত জমে উঠেছে, নাকের পাটায় ফুলে উঠেছে শ্বাসের প্রতিটি ধাক্কা। সে আরো কিছুটা এগিয়ে এলো জোহরার দিকে। কণ্ঠস্বরে চেপে রাখা আগুন ঝরে পড়ল,
- কাগজে-কলমে বলো আর সমাজের চোখেই বলো সব মানদণ্ডে, সব রীতিতে তুমি আমার বউ। আমার কোনো কিছুর ইচ্ছে হলে আমি এমনিতেই করতে পারি সুযোগ নেয়ার আমার কোনো প্রয়োজন নেই।
জোহরার ঠোঁট কাঁপছে, গলা শুকিয়ে গেছে। সে কিছু বলবে এমন সময় জিনিয়া বলে উঠলো,
- এই তোরা এখনো এখানে? আমরা সেই কবে এসে দাঁড়িয়ে আছি তোদের পাত্তাই নেই। চল, তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আয়।
- সরুন তো, যত্তসব!
বলে রাগে তর্জনিতে কাঁপন তুলে বর্ণের বুকের ওপর দু’হাতে এক দম হালকা ধাক্কা দিলো জোহরা। তারপর পরনের ভারী লেহেঙ্গার ভাঁজ সামলাতে সামলাতে তড়িঘড়ি করে নামতে শুরু করল। দ্রুততা রাগেরই একটি প্রকরণ, তাড়াহুড়োয় ঠিক গাড়ি থেকে নামতেই মাথাটা গিয়ে সজোরে ঠেকে গেলো দরজার ফ্রেমে।
- আউচ!
চোখে-মুখে যন্ত্রণার ভারে ককিয়ে উঠল জোহরা। আর তাতেই সহসা গলায় হাসি চেপে রাখতে পারল না বর্ণ। ঠোঁটের কোণে খেলে গেলো একপাটি নিঃশব্দ হাসি। তবুও তড়িঘড়ি করে মুখ ঘুরিয়ে সে হাসি আড়াল করে নিলো।
কিন্তু সে চাহনি ফসকে গেল না জোহরার চোখ থেকে। একহাতে কপাল চেপে ধরে চোখ তুলে তাকাল বর্ণের দিকে। চোখেমুখে বিষ ঢালা ক্ষোভ। কিন্তু সেই অগ্নিগর্ভ দৃষ্টিকে পায়ে মাড়িয়ে একটুও দম না ফেলে নিজের মতো করেই হাঁটা ধরল বর্ণ। এক ফোঁটা দাম দিলো না জোহরার উটকো রাগকে ।
-------
- তুর্য, আমাদের কি সত্যিই উচিত হয়েছে জোহরার সঙ্গে এভাবে নাটক করা? আমরা ওকে... ঠকালাম না তো?
জিনিয়ার কণ্ঠে অনুশোচনার মিহি কম্পন। তার প্রশ্নে মুহূর্তেই থেমে গেল তুর্যর আঙুলের চলন। ফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে ধীর নিঃশ্বাসে পাশে তাকালো সে। জিনিয়া এসে বসেছে খাটের এক কোনায়, তারই ঠিক পাশে। ক্লান্ত আর চিন্তিত নয়নে তাকিয়ে আছে তুর্যর দিকে।
তুর্য ফোনটা পাশে রেখে এগিয়ে গেল। তার হাত দুটো দৃঢ়ভাবে চেপে ধরল জিনিয়ার মৃদু কাঁপা হাতজোড়া। কণ্ঠস্বর শান্ত রেখে বললো,
- জিনিয়া তুমি তো জানোই জোহরাকে আমি আমার নিজের বোনের মতো স্নেহ করি। আর বর্ণ আমার ভাই। ওরা দুজন দুজনের জন্য একদম পারফেক্ট। বর্ণ জোহরাকে খুব ভালো রাখবে দেখো।
এরপর একটু থেমে একটা শ্বাস ফেলে আবার বললো,
- আর তাছাড়া ফায়াজ ভালো ছেলে না এটা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায়ও ছিলো না। আমরা তো জেনে বুঝে জোহরার জীবনটা নষ্ট হতে দিতে পারি না। জোহরা নিশ্চয়ই বর্ণের জ
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরুর পর থেকেই নিক্যাপ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছে। ব্যান্ডটি বেশ কয়েকবার ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের সঙ্গে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে আইরিশদের দুঃখ-দুর্দশার তুলনা করেছে।
তাদের প্রায় সব কনসার্টেই ফিলিস্তিনপন্থি স্লোগান শোনা যায়। ব্যান্ডের দাবি, ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসায় একটি মহল তাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাস্ট থেকে উঠে আসা তিন সদস্যের ব্যান্ডের গানেও তাদের প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তাধারার ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়। তাদের গানের কথায় উঠে এসেছে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ও আইরিশ রিপাবলিকান আন্দোলনের নানা চিহ্ন।
উল্লেখ্য, ওই আন্দোলনের লক্ষ্য হলো উত্তর আয়ারল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য থেকে আলাদা করে স্বাধীন আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের অংশ করে নেওয়া।
আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আইআরএ), ব্রিটেনপন্থি মিলিশিয়া ও যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত-সহিংসতায় উত্তর আয়ারল্যান্ডে গত তিন দশকে তিন হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
গত মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার কোচেলার এক সংগীত উৎসবে গানের কথার মধ্যে ইসরায়েলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সংবাদের শিরোনাম হয় নিক্যাপ। তারা গানের মধ্যে 'ফা* ইসরায়েল, ফ্রি প্যালেস্টাইন' কথাগুলো জুড়ে দেয়।
গানের বাকি অংশে বলা হয়, 'আইরিশরাও নিকট অতীতে ব্রিটিশদের হাতে নির্যাতিত হয়েছে, কিন্তু আমাদের মাথার ওপর কখনো (গালি) আকাশ থেকে বোমা ফেলা হয়নি, আর বিষয়টি এমনও না যে আমাদের পালানোর পথ ছিল না। কিন্তু সেটা তাদের (গালি) নিজেদের বাড়ি এবং সেখানেই তাদের মাথার ওপর বোমা ফেলা হচ্ছে। যদি আপনারা একে গণহত্যা না বলেন, তা হলে এটাকে (গালি) কি বলবেন?'।