মেয়েটি শুধু একটা কথা বলে,
— "যে কথা দিয়েছিল, সে রাতের অন্ধকারে হারিয়ে গেছে… ঠিক দশ বছর আগে, এই জায়গাতেই।"
রাফি স্তব্ধ হয়ে যায়। তার মনে পড়ে যায়, এই পার্কে একসময় একটা ঘটনা ঘটেছিল—একটা প্রেমিক যুগল, যাদের একজন হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়েটিকে আর কেউ খুঁজে পায়নি। ঘটনাটা ছিল খুব রহস্যজনক, এখনো সমাধান হয়নি।
কিন্তু এটা তো সেই ঘটনার মেয়েটা হতে পারে না! কারণ তখনকার খবর অনুযায়ী, সে মেয়েটি মৃত…
রাফি ভয় আর বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করে,
— "আপনার নাম কি… লায়লা?"
মেয়েটি আস্তে তাকায় রাফির চোখে। তার ঠোঁটে এক হালকা হাসি, কিন্তু চোখে জল।
— "তুমি মনে রেখেছো… সবাই ভুলে গেছে… সবাই আমাকে মৃত ভেবেছে…"
হঠাৎ করেই মেয়েটির দেহ যেন ধীরে ধীরে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে থাকে, ঠিক ধোঁয়ার মতো। রাফি আতঙ্কে পেছনে সরে যায়। সে দেখতে পায়, মেয়েটি আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয়ে গেল—শুধু একটা কথা বাতাসে ভেসে এলো:
— “ভালোবাসা কখনো মরে না… শুধু অপেক্ষা করে।”
রাফি আর দাঁড়ায় না। দৌড়ে বাসায় ফিরে যায়। কিন্তু পরদিন সকালে, পত্রিকায় একটা খবর দেখে তার শরীর জমে যায়।
“দশ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া তরুণীর কঙ্কাল উদ্ধার, পার্কের পুরোনো ঝোপের নিচে। পরিচয়: লায়লা রহমান।”
রাফি জানে, সে যা দেখেছে সেটা বাস্তব না হলেও একটুও মিথ্যা ছিল না। সে জানে, কিছু প্রেম কখনো শেষ হয় না—ছায়ার নিচে তারা এখনো অপেক্ষা করে।
Yasin Islam
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟