মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাহিনি তুলে ধরলাম:
---
🏺 মূসা (আলাইহিস সালাম)
উপাধি: ক্যালামুল্লাহ (আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলার অধিকারী)
পরিচিতি: তিনি ছিলেন আল্লাহর একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী এবং ইসরাইলি জনগণের উদ্ধারকর্তা। মূসা (আঃ)-এর গল্প কোরআন ও বাইবেলের অনেক অংশেই বর্ণিত।
---
📖 সংক্ষিপ্ত কাহিনি:
মূসা (আঃ)-এর জন্ম হয়েছিল এক কঠিন সময়ে।
ফারাও (মিশরের শাসক) সব শিশুকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছিল, কারণ তাকে একটি ভবিষ্যদ্বাণী বলা হয়েছিল যে, একজন ইসরায়েলি শিশু বড় হয়ে তার রাজত্ব কাঁপিয়ে দেবে।
মূসা (আঃ)-এর মাকে আল্লাহ নির্দেশ দেন তাঁকে নদীতে ভাসিয়ে দিতে।
এভাবে মূসা (আঃ)-এর ভাগ্য বদলে যায়, এবং তিনি ফারাওয়ের প্রাসাদে বড় হন।
একদিন মূসা (আঃ) দেখেন, একজন ইসরায়েলি মানুষকে মিশরীয় এক সেনা আহত করছে।
মূসা (আঃ) সেই সেনাকে হত্যা করে ফেলে দেন, এবং তাকে পালিয়ে যেতে হয়।
তাঁর পালানোর পর, আল্লাহ তাঁকে নবী হিসেবে মনোনীত করেন এবং ফিরাউন (ফারাও)-কে আল্লাহর পথে ডাকার নির্দেশ দেন।
ফিরাউন মূসা (আঃ)-এর বার্তা গ্রহণ না করে চ্যালেঞ্জ করল।
তবে মূসা (আঃ) আল্লাহর সাহায্যে নানা মুজিজা (অদ্ভুত ঘটনা) প্রদর্শন করেন, যেমন:
ক staff নকাটা সাপ হয়ে যায়
নদী পার হওয়া
মিশরের উপর কয়েকটি মহাপ্লাবন এবং অন্য বিপর্যয়
এবং শেষে রাতারাতি সাগরের পানি পার হয়ে ইসরাইলিরা নিরাপদে চলে যান,
যখন ফিরাউন ও তার সেনারা পানির মধ্যে ডুবে যায়।
---
🌱 শিক্ষা:
আল্লাহর সাহায্য একমাত্র শক্তি।
সত্যের পথে দাঁড়িয়ে থাকলে আল্লাহ কখনোই একা ফেলে দেন না।
প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যা সত্ত্বেও ধৈর্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
অহংকার ও গর্ব কখনো সফলতার দিকে নিয়ে যায় না (ফিরাউনের উদাহরণ)।
---
মূসা (আঃ)-এর কাহিনী আমাদের শিখায় যে, যদি আল্লাহর সাহায্য থাকে, তবে কোনো শক্তি আমাদের থামাতে পারে না।