বর্তমানে জাদুঘরে মাত্র ১৪শ স্মারক প্রদর্শিত হলেও সংগ্রহভান্ডারে জমা আছে ১৫ হাজারের অধিক স্মারক। শুধু স্থান স্বল্পতার দরুন এই বিশাল সংগ্রহভান্ডার প্রদর্শন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্থায়ী জাদুঘর নির্মাণের জন্য ০.৮২ একর ভূমি বরাদ্দ পেয়েছে জাদুঘর ট্রাস্ট। এমতাবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আগামী পরিকল্পনাসমূহ-
- বরাদ্দপ্রাপ্ত জমিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণ। ইতোমধ্যে এর কাজ শুরু হয়ে গেছে।
- নতুন জাদুঘর ভবনে ‘স্থায়ী’ ও ‘পরিবর্তনশীল’ দুই ধরণের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হবে।
- মূল স্থায়ী প্রদর্শনীর জায়গায় থাকবে দু’টি ভাগ: (ক) বাংলার জনপদ ও ঐতিহ্য এবং (খ) ইতিহাসের গতিধারা।
- প্রদর্শনীতে ইতিহাসের মূলধারার পাশাপাশি ব্যক্তি মানুষের জীবন ও আত্মদানের পরিচয় মেলে ধরা হবে বিশেষ গুরুত্বসহকারে।
উপসংহারঃ
বাঙালি জাতিসত্তার স্মৃতিবাহী প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। যুদ্ধদিনের আয়না মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হৃদয়ে ধারণ করে আছে মুক্তিযুদ্ধেও স্মারক চিহ্ন। এটি অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ এ তিন কালের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করে শেকড় সন্ধানী প্রজন্মকে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ জন্মের সঠিক ইতিহাস। তাই বহুমাত্রিক জাদুঘর না হলেও বাঙালির জীবনে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।