সেদিন ছিল পূর্ণিমা রাত। সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরেই পূর্বাকাশে চাঁদ মামা উঁকি দিলেন। সন্ধ্যা গাঢ় হওয়ার পর চাঁদ তার অপূর্ব জ্যোৎস্নালোকিত রূপ নিয়ে হাজির হলেন। নদীর বুকে জ্যোৎস্নার দৃশ্য যে কতখানি মনোমুগ্ধকর তা স্বচক্ষে না দেখলে বোঝা যায় না। আমরা এই প্রথম এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখে আশ্চর্য বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। জ্যোৎস্নালোকে নদীর দু’ধারে গাছপালা আর বাড়িঘরের দৃশ্যকে অপার্থিব মনে হচ্ছিল। সন্ধ্যার পরে নদীতে নৌকা চলাচল করছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই মাছ ধরার নৌকা। জেলেদের নৌকাগুলোতে কুপির টিমটিমে আলোগুলোকে মনে হচ্ছিল যেন মিটমিট করে তারা জ্বলছে। রাতের আঁধারে পাখির কলকাকলি থেমে গিয়ে নদী আবার শান্ত-নিশ্চুপ হয়ে গেছে। চারিদিকের নীরবতার মধ্যে পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দ এক অদ্ভূত সুরের মূর্ছনা সৃষ্টি করেছিলো।